নির্বাচন নিয়ে মুক্ত আলোচনা ?
প্যানেল সদস্যরা, বাঁ দিক থেকে: সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোজাফ্ফর আহমেদ, উপস্থাপক কামাল আহমেদ, তাজমেরী ইসলাম ও মঞ্জুরুল আহসান খান
কথা ও ছবি: রাসেল মাহমুদ
বিবিসি বাংলার বিশেষ আয়োজন বাংলাদেশ সংলাপের গত ২রা ফেব্রুয়ারী ২০০৮ আয়োজনের আমন্ত্রিত প্যানেল সদস্যরা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান, দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সী ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদেশ শাখার ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সহ সভাপতি তাজমেরী এস এ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত দর্শকদের জমা দেয়া প্রশ্ন থেকে বাছাই করে নেয়া হয় প্রশ্ন সমুহ। আর তার উপর আমন্ত্রিত দর্শক ও প্যানেল সদস্যরা তাদের মতামত দেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন বিবিসি বাংলার কামাল আহমেদ।
অডিও শুনতে চাইলে ক্লিক করুন
অনুষ্ঠানের প্রথম প্রশ্ন করেন ফারজানা হক। তিনি জানতে চান তত্ত্বাবধায়ক সরকার শর্ত আরোপ করে কি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ সম্পন্ন করতে পারবে?
প্রথমেই মতামত দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান। তিনি মনে করেন সংলাপে কোন শর্ত থাকা উচিত না। তিনি বলেন সংলাপের উদ্যোগ সঠিক হলেও এর উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে দেরী হয়ে গিয়েছে। তিনি মনে করেন, সংলাপের প্রধান বিষয় হওয়া উচিত কিভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
মি খান বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং দ্রব্যমুল্য নিয়েও এতে আলোচনা করা উচিত। আর সে সংলাপ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল নয় সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সাথেও অর্থাৎ তাঁর ভাষায় জনগনের বিভিন্ন অংশের সাথে হওয়া উচিত।
এছাড়াও সংলাপের সাথে সাথে রাজনীতিকেও উন্মুক্ত করে দিতে হবে বলে মি খান বলেন মন্তব্য করেন।
মুক্ত চিন্তা
মুক্ত চিন্তা নিয়ে মুক্তভাবে আলাপ আলোচনা করা উচিত আর সেখানে নির্বচান অবশ্যই একটি এজেন্ডা হওয়া উচিত
তাজমেরী ইসলাম
মোজাফ্ফর আহমেদ মনে করেন মুক্ত সংলাপ হওয়া উচিত, সেখানে সব পক্ষের কথা শুনলে সরকারের কার্যক্রম আরো পরিশীলিত হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। আর যে কোন ধরনের শর্ত দেয়া হলে সংলাপ সফল হবে না বলেই তিনি মনে করেন।
দর্শকদের একজন এসময় বলেন যে তারা কার্যকর সংলাপ চান আর তা যেন সং না হয়ে সংলাপই হয়ে ওঠে। আর এক জন দর্শক বলেন যে সংলাপের মুল এজেন্ডা হওয়া উচিত একটি জাতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি ঠিক করা। অন্য এক দর্শক সংলাপের প্রয়োজন নিয়েই সংশয় প্রকাশ করে বলেন এখন জনগন নির্বাচন চায়।
অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন সংলাপকে কার্যকরী করতে হলে কোন শর্ত দেয়া যাবে না। তিনি মনে করেন মুক্ত চিন্তা নিয়ে মুক্তভাবে আলাপ আলোচনা করা উচিত আর সেখানে নির্বচান অবশ্যই একটি এজেন্ডা হওয়া উচিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংলাপ নিয়ে তাঁর দলের বক্তব্য জানিয়ে দেন আবার। তিনি বলেন সংলাপে শর্ত না রাখাই ভালো কারন শর্ত দিলে তার পরিধী সীমিত হয়ে যাবে। তিনি বলেন এটি একটি জাতীয় সংলাপ হবে এবং তাতে বিভিন্ন পেশা এবং জনগনের বিভিন্ন স্তরের মানুষের অংশ থাকা উচিত।
পরের প্রশ্ন করেন শারমীন সুলতানা। তিনি জানতে চান আইনজীবি হিসেবে কাজ করার জন্য যথাযথ আনুমতি পাওয়ার আগেই বিচারাধীন একটি মামলা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার বিদেশী কোন আইনজীবীর আছে কি? তিনি এসময় মন্তব্য করে বলেন কানাডীয় একজন আইনজীবী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কাজ করার জন্য এসেছিলেন তার কর্মকান্ডের প্রেক্ষিতেই এ প্রশ্ন করেছেন।
মি সেনগুপ্ত এসময় জানান যে কানাডায় থাকা তাদের দলীয় কর্মীরা শেখ হাসিনার জন্য একজন আইনজীবী পাঠিয়েছিলেন, তিনি এদেশের আদালতে কাজ করতে চাইলে অবশ্যই অনুমতি নিতেন।
মি সেনগুপ্ত বলেন যে একটি গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ তাঁর মন্তব্য প্রকাশ করতেই পারেন। তিনি আরো বলেন সেই আইনজীবী মামলার বিষয় নিয়ে কিছু বলেন নাই, শুধুমাত্র বিচারের বাইরে বাদীর করা মন্তব্য নিয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন।
মোজাফ্ফর আহমেদ
একই মত দেন তাজমেরী ইসলাম। তিনিও মনে করেন এই ব্যাপারটি আদালত অবমাননা নয়। তিনি আরো বলেন বিদেশী সেই আইনজীবী পর্যবেক্ষক হিসেবে এমন মন্তব্য করেছেন।
এক দর্শক এসময় বলেন আদালতে বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করা আইন বিরোধী এবং যদি দেশের কোন মানুষ এমন মন্তব্য করতো তাহলে তাও আদালত অবমাননা হতো সেহেতু একজন বিদেশীর মন্তব্য কেন আদালত অবমাননা হবে না? আরো এক দর্শক বলেন যেহেতু সেই আইনজীবী বলেছেন যে তিনি শেখ হাসিনার একজন বন্ধু হিসেবে এসেছেন সেহেতু তিনি কিভাবে নিরপেক্ষ থাকবেন।
মি খান মনে করেন না যে এ বিষয়টিতে কোন ধরনের আদালত অবমাননা হয়েছে। তিনি বলেন একজন ব্যক্তি হিসেবে এসে সেই আইনজীবী কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন আন্তর্জাতিক ভাবে বহু মামলা সম্বন্ধে এমন মন্তব্য করা হয়েছে, তবে যদি কানাডীয় সরকার এমন ধরনের মন্তব্য করতো তাহলে তা অন্য কথা ছিলো। তিনি আরো মনে করিয়ে দেন যে এমন কথা পাশ্চাত্যের অনেক দেশের কুটনীতিবিদরা মাঝে মাঝেই বলেন তা নিয়ে আমরা কখনোই প্রতিবাদ করি না।
মি সেনগুপ্ত এসময় আবার বলেন বিদেশী ভদ্রলোক কেবলমাত্র একজন আইনজীবীই নন, তিনি মানবাধিকার কর্মী এবং জাতিসংঘের প্যানেল কর্মী। তিনি বলেছেন ন্যায় বিচার হলে শেখ হাসিনা মুক্তি পাবেন, যেটি একধরনের আশাবাদ মাত্র।
মি আহমেদ বলেন কানাডার সেই আইনজীবী যদি সংবাদ সম্মেলন না করে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে তার মন্তব্য করতেন সেটি অনেক শোভন হতো। তিনি আরো বলেন এমন ঘটনা আমাদের দেশে অনেক কুটনৈতিক ব্যক্তিগনও করে থাকেন যেটি অনভিপ্রেত।
পরের প্রশ্ন করেন মো জাহাঙ্গীর আলম। সেনাপ্রধান বলেছেন যে তারা বেশি সময় থাকবেন না, তবে কিছু ভালো কাজের শুরু করে দিচ্ছেন এমন কথা উল্লেখ করে তিনি জানতে চান যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা কি সেই ভালো কাজের মধ্যে পরে কি না?
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
তাজমেরী ইসলাম মনে করেন এই বিচার শুরু করলে এই সরকার অবশ্যই একটি ভালো কাজ করবেন।
মি আহমেদ এই বিচার হওয়া উচিত মনে করলেও তিনি বলেন যে এই সরকারের সেই ম্যান্ডেট নেই। তিনি বলেন যে ম্যান্ডেট নিয়ে এসে আগামীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তাদেরই এই কাজটি করা উচিত। তাঁর মতে নির্বাচন সম্পৃক্ত নয় এমন আনেক কাজের সাথে জড়িয়ে এই সরকার অনেক সমস্যা সৃস্টি করেছেন এবং এটি করা হলে আবারো একই সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
এক জন দর্শক বলেন সারাদেশের মানুষ যখন চাইছে তখন কেন এই বিচার করা হবে না। অন্য এক দর্শক বলেন যে বিচার ৩৬ বছরে হয়নি তা এই স্বল্প মেয়াদের সরকার কিভাবে করবে। তিনি মনে করেন এই ব্যাপারটি এই সরকারের জন্য নয়, এটি করা উচিত নির্বাচিত সরকারের। আবারো ভিন্নমত পোষন করে এক দর্শক বলেন যে অন্তত বিচারের শুরুটা এই সরকার করে দিতে পারে, যাতে পরের সরকার সেই কাজ শেষ করতে পারে।
মি খান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে খুব জরুরী কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব ঠিক রাখতেই এই বিচারের কাজ শুরু করা উচিত। তিনি প্রশ্ন করে জানতে চান এই সরকার কেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারবে না। দেরী হয়েছে তারপরও এই বিচার হওয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।
মি সেনগুপ্ত বলেন যুদ্ধাপরাধ হচ্ছে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তিনি বলেন এধরনের অপরাধ আরো অনেক ছোটখাট অপরাধের জন্ম দিচ্ছে। তিনি বলেন যেহেতু আইন রয়েছে সেহেতু প্রক্রিয়াটি শুরু হতে পারে এবং পরের সরকার এসে তা শেষ করবে।
পরের প্রশ্ন করেন মো তাজুল ইসলাম। তিনি জানতে চান গার্মেন্টস শিল্পে সহিংসত নিরসনে সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কতটুকু?
শ্রমিক অসন্তোষ
অন্য শিল্পগুলিতে ট্রেড ইউনিয়ন আছে কিন্তু পোষাক শিল্পে তা নেই, এমন ব্যবস্থা থাকলে এ ধরনের সমস্যা কমে আসবে
মঞ্জুরুল আহসান খান
মি খান মনে করেন এই শিল্পের সমস্যার প্রধান একটি কারন হলো শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও আরেকটি সমস্যা হলো বিদ্যমান দ্রব্যমুল্যের সংকটও তাদের রাস্তায় নামাচ্ছে। তিনি বলেন অন্য শিল্পগুলিতে ট্রেড ইউনিয়ন আছে কিন্তু পোষাক শিল্পে তা নেই, এমন ব্যবস্থা থাকলে এ ধরনের সমস্যা কমে আসবে।
তাজমেরী ইসলাম বলেন রাজনৈতিক দলগুলো খোলামেলা ভাবে এদিকে এগিয়ে আসতে পারছে না। তিনি আরো বলেন শ্রমিকদের জন্য নেতৃত্ব দরকার যেটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আসার কথা ছিলো। তিনি মনে করেন সঠিক নেতৃত্ব থাকলে রাস্তায় নামার আগেই অনেক সমস্যার সমাধঅন হয়ে যেতো।
দর্শকদের একজন এসময় বলেন গার্মেন্টস মালিকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ফলে সরকারে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করে থাকে। অন্য এক দর্শকও একই কথা উল্লেখ করে বলেন প্রতিটি গার্মেন্টস শিল্পে কমপ্লায়েন্স ব্যাপারটিকে যদি বাস্তবায়িত করা হয় তাহলেই শ্রমিকদের অনেক দাবী মিটে যায়।
মি সেনগুপ্ত বলেন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে পোষাক শিল্প বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন। আর এই ক্ষেত্র শ্রমিকদের কথা বলার জন্য ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া আর কেউ নেই। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ভুমিকাও ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়া বাস্তবায়িত হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মি আহমদ বলেন গার্মেন্টস মালিকরা যদি শিল্পপতি হতেন তাহলে এমন অবস্থা হতো না। এরা মুলত ব্যবসায়ী, শিল্পপতি হলে এরা শ্রমিকের স্বার্থ দেখতেন।
পরের প্রশ্ন করেন এস এম মহিউদ্দিন ভুঞা তিনি জানতে চান সার বীজ এবং ডিজেল এর সংকটের ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো কি পর্যাপ্ত?
মি খান এসময় বলেন সার সংকটের সময় সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন সংকট নেই। তিনি বলেন এ ধরনের সংকট এড়ানোর জন্য দেশে সার বন্টন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো দরকার। তিনি এ প্রসঙ্গে বিএডিসি’র উদাহরন টেনে বলেন এমন ব্যবস্থা তৈরী করতে হবে যার মাধ্যমে শুধু সার নয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বন্টন করা সম্ভব হবে।
সংলাপে আসা দর্শকদের একাংশ
মি সেনগুপ্ত বলেন সরকার এদিকে আগে গুরুত্ব দেয় নাই। এখানে তিনি জরুরী ভাবে সবাইকে সম্পৃক্ত করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন।
তাজমেরী ইসলাম বলেন কৃষির দিকে মনোযোগ না দেয়ায় সে ভোগান্তি হয়েছে তা তো আর ফিরিয়ে নেয়া যাবে না। ভবিষ্যতে যেন এমটি আর না হয় তার দিকে খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি। তিনি আরো বলেন সারের ঘাটতি হবে এমন কথা অনেক আগেই বলা হয়েছিল কিন্তু সরকার তা কানে নেয় নি।
মি আহমদ বলেন এক সময় সার বন্টনের কাজটি করতো বিএডিসি এবং তাকে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন এখন আমরা কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমানও কমিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন এই সংকট এখন গভীর হয়ে গেছে।
পরের প্রশ্ন করেন তানিয়া ইসলাম। তিনি জানতে চান সরকারী আমলাদের দুর্নীতি কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?
মি আহমদ তাদের গবেষনার কথা উল্লেখ করে বলেন দুর্নীতির তিনটি পক্ষ থাকে, সরকারী আমলা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী। তিনি বলেন দুর্নীতি দমন অভিযানে শুধু রাজনীতিবিদরাই প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি মনে করেন প্রশাসন অচল হয়ে যাবার ভয়েই সরকার আমলাদের ছাড় দেয়।
মি সেনগুপ্ত দু:খ করে বলেন দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের পরও দুর্নীতি কমে নাই বরং আরো বেড়েছে। উদাহরন হিসেবে তিনি বলেন আগে যে কাজ পাঁচ টাকায় করা যেত সেকাজ করতে এখন ১৫টাকা লাগে। তিনি বলেন নিষ্ঠুরভাবে দলীয় করনের কারনে অযোগ্য লোকজ এত বেশী এসেছে যে এখন প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
দর্শকদের একজন বলেন সরকারী সকল কর্মচারীর বার্ষিক আয়ের রেকর্ড রাখা উচিত এবং তা সাধারন নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত। দলীয় করন নিয়ে কথা বলেন আরেকজন, তিনি বলেন আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আর ভালো মানুষ নাই।
তাজমেরী ইসলাম বলেন দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে একটিমাত্র গোষ্ঠিকে টার্গেট করা ঠিক না। আমলাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন সত্যিই যদি তাদের মধ্যে দুর্নীতি থাকে তবে তা প্রকাশ করা উচিত।
মি খান এসময় বলেন দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে শুধুমাত্র রাজনীতিবিদদেরই টর্গেট করা হয়েছে যাতে মনে হয়েছে এর পেছনে কোন রাজনৈতিক কারন দায়ী। কিন্তু বারবারই প্রশাসনকে বাদ দিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন সরকার এখন ট্রুথ কমিশন করছে যাতে কোটিপতিদের ছেড়ে দেয়া হবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হয় তেসরা ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ বিবিসি বাংলার ‘প্রবাহ‘ অধিবেশনে৻
বাংলাদেশ সংলাপ প্রযোজনা করছেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ৻
No comments:
Post a Comment