মেয়েকে গণধর্ষণ, স্ত্রীকে খুন--ন্যায় বিচারের আশায় সুপ্রিম কোর্টে
নয়াদিল্লি: গত বছর ডিসেম্বর মাসে নির্ভয়ার উপরে হয়ে যাওয়া নারকীয় ধর্ষণ এবং সম্প্রতি এক চিত্র সাংবাদিকের উপরে হওয়া একই ঘটনার জেরে প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছিল সারা দেশে। কিন্তু সেই একই দেশের অজ্ঞাত এক প্রান্তে এক বছর আগে ঘটে গিয়েছে একই লজ্জাজনক ও নারকীয় ঘটনা। তবে ন্যায়বিচার তো দূরের কথা প্রাণ হারাতে হয়েছে নির্যাতিতার মাকে এবং ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পেতে হয়েছে বাবা ও মেয়েকে। দিল্লি থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দূরে হরিয়ানার ছোটিকলসি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
২০১২ সালের ৬ অগস্ট এই গ্রামের দলিত পরিবারের ১৫ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল গ্রামেরই প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ছেলেরা। তবে শুধু গণধর্ষণ করেই রেহাই দেওয়া হয়নি সেই নাবালিকাকে। তাকে শাসানো হয়েছিল যে দশ দিন অন্তর যদি সে নিজে তাদের কাছে না আসে, তাহলে তার মা-বাবাকেও খুন করা হবে।
বাড়ি এসে মেয়েটি সব কথা তার মাকে জানায়। স্ত্রীর থেকে এই ঘটনার কথা জেনে নির্যাতিতার বাবা পুলিশে রিপোর্ট করেন। মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হলে জানা যায় যে ধর্ষণের এই অভিযোগ সত্যি। কিন্তু তাতে হল হিতে বিপরীত! স্কুলের প্রিন্সিপাল মেয়েটির পাশে এসে না দাঁড়িয়ে উল্টে তাকেই বের করে দিলেন স্কুল থেকে!
তবে এর থেকে ভয়াবহ পরিণতি হল মেয়েটির মায়ের। যেমন কথা তেমন কাজ, ধর্ষকরা প্রতিশোধ নিতে মেয়েটির মাকে অপহরণ করে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশে এফআইআর করাতে গেলে পুলিশ তো সহযোগিতা করেইনি, উপরন্তু রিপোর্টের কপি ছিঁড়ে ফেলে দেয়! কিন্তু হাল ছেড়ে দিননি ভদ্রলোক। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ কার্নালের ভুটানা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তিনি গণধর্ষণ এবং খুনের এফআইআর করেন। অবশেষে ১ নভেম্বর তৈরি হয় চার্জশিট। তবে এর পর থেকেই শুরু হয় আরও এক অধ্যায়ের। ক্রমাগত শাসানি এবং হুমকির মুখোমুখি হতে হয় বাবা-মেয়েকে। বিশেষ করে সমাজের উপর তলা থেকে। কারণ ধর্ষকরা সেই উচ্চ সমাজেরই প্রতিনিধি। ফলে নিরুপায় হয়ে ভদ্রলোক মেয়ের এবং নিজের প্রাণ বাঁচাতে দারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের। অন্যতম অভিযুক্ত আমন-এর বাবা এবং কাকা এঁদের হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পক্ষের উকিল কলিন গনসালভেজ বিচারক আর এম লোধা এবং মদন বি লোকুর-কে অনুরোধ করে জানান যে এখনওঅভিযোগকারীদের প্রাণ সংশয় আছে, ফলে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন কোর্টের তরফ থেকে নেওয়া হয়। --সংবাদসংস্থা
২০১২ সালের ৬ অগস্ট এই গ্রামের দলিত পরিবারের ১৫ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল গ্রামেরই প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির ছেলেরা। তবে শুধু গণধর্ষণ করেই রেহাই দেওয়া হয়নি সেই নাবালিকাকে। তাকে শাসানো হয়েছিল যে দশ দিন অন্তর যদি সে নিজে তাদের কাছে না আসে, তাহলে তার মা-বাবাকেও খুন করা হবে।
বাড়ি এসে মেয়েটি সব কথা তার মাকে জানায়। স্ত্রীর থেকে এই ঘটনার কথা জেনে নির্যাতিতার বাবা পুলিশে রিপোর্ট করেন। মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট করানো হলে জানা যায় যে ধর্ষণের এই অভিযোগ সত্যি। কিন্তু তাতে হল হিতে বিপরীত! স্কুলের প্রিন্সিপাল মেয়েটির পাশে এসে না দাঁড়িয়ে উল্টে তাকেই বের করে দিলেন স্কুল থেকে!
তবে এর থেকে ভয়াবহ পরিণতি হল মেয়েটির মায়ের। যেমন কথা তেমন কাজ, ধর্ষকরা প্রতিশোধ নিতে মেয়েটির মাকে অপহরণ করে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। পুলিশে এফআইআর করাতে গেলে পুলিশ তো সহযোগিতা করেইনি, উপরন্তু রিপোর্টের কপি ছিঁড়ে ফেলে দেয়! কিন্তু হাল ছেড়ে দিননি ভদ্রলোক। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২ কার্নালের ভুটানা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তিনি গণধর্ষণ এবং খুনের এফআইআর করেন। অবশেষে ১ নভেম্বর তৈরি হয় চার্জশিট। তবে এর পর থেকেই শুরু হয় আরও এক অধ্যায়ের। ক্রমাগত শাসানি এবং হুমকির মুখোমুখি হতে হয় বাবা-মেয়েকে। বিশেষ করে সমাজের উপর তলা থেকে। কারণ ধর্ষকরা সেই উচ্চ সমাজেরই প্রতিনিধি। ফলে নিরুপায় হয়ে ভদ্রলোক মেয়ের এবং নিজের প্রাণ বাঁচাতে দারস্থ হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের। অন্যতম অভিযুক্ত আমন-এর বাবা এবং কাকা এঁদের হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার পক্ষের উকিল কলিন গনসালভেজ বিচারক আর এম লোধা এবং মদন বি লোকুর-কে অনুরোধ করে জানান যে এখনওঅভিযোগকারীদের প্রাণ সংশয় আছে, ফলে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব যেন কোর্টের তরফ থেকে নেওয়া হয়। --সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment