আর্থিক ঘাটতি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিল ফিচ, ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর দাবি
নয়াদিল্লি: গত চার মাসে ডলারের নিরিখে টাকার বিনিময় দর ১২ শতাংশ পড়েছে৷ এর ফলে তেল আমদানির খরচ বেড়ে গেছে দেশের তেল বিপণন সংস্থাগুলির৷ কিন্ত্ত, সরকারের নির্ধারিত দামে বাজারে ডিজেল, কেরোসিন এবং এলপিজি বিক্রি করতে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ তাদের ক্রমেই বাড়ছে৷ এই ক্ষতির পরিমাণ কমাতে ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর দাবি জানাল দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি৷
ভর্তুকি পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি প্রতি মাসে ৫০ পয়সা করে ডিজেলের দাম বাড়াবে বলে জানুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সেইমতো, ধাপে ধাপে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩.৭৫ টাকা৷ এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ ডিজেলে লিটার প্রতি ভর্তুকির পরিমাণ নেমে এসেছিল ৩ টাকায়৷ কিন্ত্ত, মে মাসের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত ডলার সাপেক্ষে টাকার দাম ১২ শতাংশ পড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ভর্তুকির পরিমাণ ফের ১০.২২ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে৷ ডিজেল ছাড়াও প্রতি লিটার কেরোসিনে তেল ও রান্নার গ্যাস (১৪.২ কেজির সিলিন্ডার) বিক্রিতে তেল সংস্থাগুলির যথাক্রমে ৩৩.৫৪ টাকা এবং ৪১২ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে৷
রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ডিরেক্টর (ফিনান্স) পি কে গোয়েল বলেন, 'ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি৷ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে৷' গোয়েল বলেন, 'ডিজেল, রান্নার গ্যাস (১৪.২ কেজির সিলিন্ডার) ও কেরোসিনের জন্য চলতি অর্থবর্ষে সরকারকে ৮০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছিল৷ এখন ওই ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪০,০০০ কোটি টাকায়৷' ডলারের তুলনায় টাকার বিনিময় দর ১ শতাংশ পড়লে তেল সংস্থাগুলিকে দেয় ভর্তুকির পরিমাণ ৮,০০০ কোটি টাকা বেড়ে যায়৷
টাকার দরে পতনের কারণে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো তেল সংস্থাগুলি চায় ডিজেলের এককালীন দাম প্রতি মাসে আরেকটু বাড়ানো হোক৷ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে, তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ মইলি অবশ্য জানিয়েছিলেন, 'এলপিজি এবং কেরোসিনের দাম বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই৷'
সরকারের নির্ধারিত দামে সস্তায় ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন বিক্রি করার জন্য ভর্তুকি বাবদ তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাকে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮,০০০ কোটি টাকা দেবে সরকার৷ ওই টাকা দেওয়া হবে ১৭ সেপ্টেম্বর৷ আইওসি পাবে ৪,২৬১.২৯ কোটি টাকা, বিপিসিএল পাবে ১,৯১৬.৫৭ কোটি টাকা, এইচপিসিএল পাবে ১,৮২২.১৪ কোটি টাকা৷
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল) ও ভারত পেট্রোলিয়ামের (বিপিসিএল) লোকসান হয়েছে ২৫,৫৭৯ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ৮,০০০ কোটি টাকা বাদে, তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে ওএনজিসি দেবে ১২,৬২১.৭৮ কোটি টাকা, অয়েল ইন্ডিয়া দেবে ১,৯৮২.০৬ কোটি টাকা এবং গেইল দেবে ৭০০ কোটি টাকা৷ এর থেকে আইওসি পাবে ৮,১৫১.৭৭ কোটি টাকা, বিপিসিএল ৩,৬৬৬.৩৬ কোটি টাকা এবং এইচপিসিএল পাবে ৩৪৮৫.৭১ কোটি টাকা৷
তেল আমদানি বাবদ এবং তেলের ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে চলতি খাতে ঘাটতি জাতীয় উত্পাদনের ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা ভারতের সরকার নিয়েছে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে রেটিং সংস্থা ফিচ৷ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়ও কমছে৷ সেই কারণেই আর্থিক ঘাটতি বাড়তে পারে বলে মনে করে ফিচ৷ সংস্থাটি জানিয়েছে, আর্থিক ঘাটতি নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে না রাখতে পারলে তারা ভারতের 'ক্রেডিট রেটিং' কমাতে পারে৷ ভারতের জাতীয় উত্পাদন বৃদ্ধির হার, মূল্যবৃদ্ধি, চলতি খাতে ঘাটতি প্রভৃতির উপরেও তাদের নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিচের বিশ্লেষক আর্ট উ৷ এই মুহূর্তে ভারতের ঋণযোগ্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি৷ কিন্ত্ত, সরকার বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে ঋণযোগ্যতা কমিয়ে দেবে বলে সতর্ক করেছে ফিচ৷
ভর্তুকি পুরোপুরি না ওঠা পর্যন্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি প্রতি মাসে ৫০ পয়সা করে ডিজেলের দাম বাড়াবে বলে জানুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সেইমতো, ধাপে ধাপে ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩.৭৫ টাকা৷ এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ ডিজেলে লিটার প্রতি ভর্তুকির পরিমাণ নেমে এসেছিল ৩ টাকায়৷ কিন্ত্ত, মে মাসের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত ডলার সাপেক্ষে টাকার দাম ১২ শতাংশ পড়ে যাওয়ায় আমদানি খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ভর্তুকির পরিমাণ ফের ১০.২২ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে৷ ডিজেল ছাড়াও প্রতি লিটার কেরোসিনে তেল ও রান্নার গ্যাস (১৪.২ কেজির সিলিন্ডার) বিক্রিতে তেল সংস্থাগুলির যথাক্রমে ৩৩.৫৪ টাকা এবং ৪১২ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে৷
রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ডিরেক্টর (ফিনান্স) পি কে গোয়েল বলেন, 'ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি৷ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে৷' গোয়েল বলেন, 'ডিজেল, রান্নার গ্যাস (১৪.২ কেজির সিলিন্ডার) ও কেরোসিনের জন্য চলতি অর্থবর্ষে সরকারকে ৮০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়েছিল৷ এখন ওই ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪০,০০০ কোটি টাকায়৷' ডলারের তুলনায় টাকার বিনিময় দর ১ শতাংশ পড়লে তেল সংস্থাগুলিকে দেয় ভর্তুকির পরিমাণ ৮,০০০ কোটি টাকা বেড়ে যায়৷
টাকার দরে পতনের কারণে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম ও হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো তেল সংস্থাগুলি চায় ডিজেলের এককালীন দাম প্রতি মাসে আরেকটু বাড়ানো হোক৷ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন ডিজেলের এককালীন দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে, তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি৷ মইলি অবশ্য জানিয়েছিলেন, 'এলপিজি এবং কেরোসিনের দাম বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই৷'
সরকারের নির্ধারিত দামে সস্তায় ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন বিক্রি করার জন্য ভর্তুকি বাবদ তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাকে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮,০০০ কোটি টাকা দেবে সরকার৷ ওই টাকা দেওয়া হবে ১৭ সেপ্টেম্বর৷ আইওসি পাবে ৪,২৬১.২৯ কোটি টাকা, বিপিসিএল পাবে ১,৯১৬.৫৭ কোটি টাকা, এইচপিসিএল পাবে ১,৮২২.১৪ কোটি টাকা৷
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল) ও ভারত পেট্রোলিয়ামের (বিপিসিএল) লোকসান হয়েছে ২৫,৫৭৯ কোটি টাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ৮,০০০ কোটি টাকা বাদে, তেল বিপণন সংস্থাগুলিকে ওএনজিসি দেবে ১২,৬২১.৭৮ কোটি টাকা, অয়েল ইন্ডিয়া দেবে ১,৯৮২.০৬ কোটি টাকা এবং গেইল দেবে ৭০০ কোটি টাকা৷ এর থেকে আইওসি পাবে ৮,১৫১.৭৭ কোটি টাকা, বিপিসিএল ৩,৬৬৬.৩৬ কোটি টাকা এবং এইচপিসিএল পাবে ৩৪৮৫.৭১ কোটি টাকা৷
তেল আমদানি বাবদ এবং তেলের ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে চলতি খাতে ঘাটতি জাতীয় উত্পাদনের ৪.৮ শতাংশে বেঁধে রাখার যে লক্ষ্যমাত্রা ভারতের সরকার নিয়েছে তা পূরণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে রেটিং সংস্থা ফিচ৷ বিভিন্ন খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায়ও কমছে৷ সেই কারণেই আর্থিক ঘাটতি বাড়তে পারে বলে মনে করে ফিচ৷ সংস্থাটি জানিয়েছে, আর্থিক ঘাটতি নির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে না রাখতে পারলে তারা ভারতের 'ক্রেডিট রেটিং' কমাতে পারে৷ ভারতের জাতীয় উত্পাদন বৃদ্ধির হার, মূল্যবৃদ্ধি, চলতি খাতে ঘাটতি প্রভৃতির উপরেও তাদের নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিচের বিশ্লেষক আর্ট উ৷ এই মুহূর্তে ভারতের ঋণযোগ্যতা নিয়ে কোনও সংশয় নেই বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি৷ কিন্ত্ত, সরকার বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় ব্যর্থ হলে ঋণযোগ্যতা কমিয়ে দেবে বলে সতর্ক করেছে ফিচ৷
No comments:
Post a Comment