২৬শে নভেম্বর "সংবিধান জাগৃতি অভিযান"
November 3 at 6:41am
ভারতের সংবিধান গণতন্ত্রের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। এই সংবিধানের জন্য ভারতের ২৯টি রাজ্য, ৭টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, ২২টি মূখ্য ভাষা, ১৭০০র বেশি মাতৃভাষা, ৭টি মূখ্য ধর্ম এবং ৬৭৪৮টির বেশি জাতি গোষ্ঠীর বিভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও এ দেশের মানুষ সংঘবদ্ধ নাগরিক হিসেবে নিজেদের জীবন উপভোগ করছেন। ভারতের সংবিধানের ভিত এমন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যে যাতে প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, বৌদ্ধিক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে। এই সংবিধান দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ, ভাষা এবং আঞ্চলিকতার উর্দ্ধে এসে সদ্ভাবনার সাথে জীবন অতিবাহিত করার মৌলিক অধিকার প্রদান করেছে।
কিন্তু অত্যন্ত বেদনার সাথে জানাচ্ছি যে, দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি কায়েম হওয়ার পরে প্রতিনিয়ত এই সংবিধানের অবমাননা চলছে।
সংসদীয় গণতন্ত্রে যে জনকল্যাণকারী নির্ণয় সংসদের অভ্যন্তরে নেওয়ার কথা তার সমস্তটাই ভ্রষ্টাচারী নেতা ও পুঁজিবাদী সংগঠনের দ্বারা সংসদের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। শাসকবর্গ অসমানতা এবং বর্বরতাপূর্ণ ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য সংসদীয় গণতন্ত্র, ভারতীয় সংবিধান এবং জনগণের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এরা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গণতন্ত্রকে মনুবাদী বিচারধারা এবং ব্রাহ্মন্যবাদী একনায়কতন্ত্র এবং ফ্যাসিবাদের যূপকাষ্ঠে বলি চড়াতে চাইছে। এদের কাজকর্মে প্রমানিত হচ্ছে যে এই অমানবিক পুঁজিবাদ–ব্রাহ্মন্যবাদ দেশদ্রোহী গাটবন্ধন ভারতীয় সংবিধানকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে ফেলেছে।
এমন বিকট পরিস্থিতিতে ভারতের একজন গণতন্ত্র প্রেমী সচেতন নাগরিক হিসেবে সংবিধান তথা সংসদীয় গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি উপলব্ধি করে আমরা ন্যাশনাল সোশাল মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আগামী ২৬শে নভেম্বর এক ঐতিহাসিক "সংবিধান জাগৃতি অভিযান" এর ডাক দিয়েছি।
সমতা, স্বতন্ত্রতা, ন্যায় এবং বন্ধুত্বপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য সকলকে একত্রিত হয়ে এই ঐতিহাসিক "সংবিধান জাগৃতি অভিযান" মহামিছিলে বিপুল সমাবেশ ঘটিয়ে ভারতীয় সংবিধানের শত্রু ও বিশ্বাসঘাতকদের সমুচিত জবাব দেবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের বিশাল উপস্থিতি এবং সোচ্চার প্রতিবাদে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র ধ্বংস হবে বলে বিশ্বাস রাখি।
জয় ভীম, জয় ভারত
পুনশ্চ ঃ সকাল ১১টায় ওয়াই চ্যানেল থেকে এই পদযাত্রা শুরু হবে। র্যালি শেষ হবে রেডরোড অবস্থিত বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে। আপনারা জাতীয় পতাকা এবং সংবিধানের প্রতিলিপি নিয়ে এই মহার্যালিতে যোগ দিন।
No comments:
Post a Comment