Fatwa issued against celebration of Bangla NABA BARSHA in Bangladehs
পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ইহুদী-নাছারা, মজুসী ও মুশরিকদের খিলাফ করো।
কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, আরবী নববর্ষ ইত্যাদি সবই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা।
অতএব, কোনো মুসলমানের পক্ষে বিধর্মীদের কোনো তর্জ-তরীক্বা পালন করা কখনোই জায়েয নেই; বরং পালন করা কাট্টা কুফরী।
কাজেই যে মুসলমান পহেলা বৈশাখ পালন করবে সে মুরতাদ হবে। ফলে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তার ওয়ারিছস্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে। সে হজ্জ করে থাকলে তার হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং সে বিবাহ করে থাকলে তার বিবাহও ফাছেদ হয়ে যাবে।
সুতরাং পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
উল্লেখ্য, পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ পালনের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, হুজ্জোতি, বেলেল্লাপনা, মাতলামি করাও সম্পূর্ণরূপে হারাম।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সরকারিভাবে এ সমস্ত হারাম ও কুফরী কাজ থেকে সকল মুসলমানদেরকে বিরত রাখা।
পহেলা বৈশাখ পালনের ইতিহাস পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানগণ উনাদের কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, নওরোজ বা পহেলা বৈশাখ পালনের সংস্কৃতি মজুসি, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের থেকে এসেছে। মনে রাখতে হবে, ফসলী সন বা পহেলা বৈশাখ বাঙালি দ্বারা প্রবর্তিত নয়। বাদশাহ আকবর ফসলী সন হিসেবে এর প্রবর্তন করে। আর বাদশাহ আকবর ছিল মঙ্গলীয় এবং ফারসী ভাষী। তাহলে এটা কি করে বাঙালি সংস্কৃতি হতে পারে? কাজেই বাঙালিদের জন্য এটা অনুসরণীয় নয়, আর মুসলমানগণ উনাদের জন্য তো এটা অনুসরণ করার প্রশ্নই আসে না। কারণ মুসলমানগণ উনাদের জন্য বিধর্মী ও বিজাতীদের অনুসরণ করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী।
সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। ইরান থেকেই এটা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে।
ফসলী সনের পহেলা বৈশাখ বা ফসলী নববর্ষ উপলক্ষে শহরে ও গ্রামে যে ভোজ, মেলা উৎসব হয় তাও ইরানের নওরোজ হতে পরোক্ষভাবে এদেশে এসেছে। মোঘল পূর্ববর্তী আমলে এদেশে নওরোজ বা নববর্ষ পালনের রীতি প্রচলিত ছিল না।
ফসলী নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘটপূজার দিন।
হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, 'নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে।' অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আজকে অনেক মুসলমান কথিত বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে। আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই মিল রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিরেরাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।" (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
আর নববর্ষ বা নওরোজ পালনের দ্বারা সেই কাফিরদেরই অনুসরণ-অনুকরণ করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।" (সুনানে আহমদ শরীফ, সুনানে আবূ দাউদ শরীফ)
বর্তমান যামানার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসাকারীদের মুখপত্র দৈনিক-মাসিক পত্রিকাগুলো ফসলী নববর্ষকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত বলে তা পালন করার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে; নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এটা সম্পূর্ণ কুফরী কাজ। প্রকৃতপক্ষে তারাসাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে কুফরী, শিরকী ও বেশরা-বিদয়াতের দিকে আহ্বান করছে।
তাদের হাক্বীক্বত প্রকাশ করা না পর্যন্ত মুসলমান উনাদের আমল নিরাপদ নয়। ধর্মব্যবসায়ীরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট। এদের চিহ্নিত করতে পারলেই মুসলমান সত্যিকার ইসলামী চেতনা ও আক্বীদা ফিরে পাবে, মুসলমান উনাদের আমল ইছলাহ হবে। ফলে পহেলা জানুয়ারি ও পহেলা বৈশাখের মতো হারাম আমল ও তার আবহ থেকে তারা নাজাত পাবে।
কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, আরবী নববর্ষ ইত্যাদি সবই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা। অতএব, কোনো মুসলমানের পক্ষে বিধর্মীদের কোনো তর্জ-তরীক্বা পালন করা কখনোই জায়িয নেই; বরং পালন করা কাট্টা কুফরী। কাজেই যে মুসলমান পহেলা বৈশাখ পালন করবে সে মুরতাদ হবে। ফলে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তার ওয়ারিছস্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে। সে হজ্জ করে থাকলে তার হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং সে বিবাহ করে থাকলে তার বিবাহও ফাছেদ হয়ে যাবে। সুতরাং পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, আরবী নববর্ষ ইত্যাদি সবই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা।
অতএব, কোনো মুসলমানের পক্ষে বিধর্মীদের কোনো তর্জ-তরীক্বা পালন করা কখনোই জায়েয নেই; বরং পালন করা কাট্টা কুফরী।
কাজেই যে মুসলমান পহেলা বৈশাখ পালন করবে সে মুরতাদ হবে। ফলে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তার ওয়ারিছস্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে। সে হজ্জ করে থাকলে তার হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং সে বিবাহ করে থাকলে তার বিবাহও ফাছেদ হয়ে যাবে।
সুতরাং পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
উল্লেখ্য, পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ পালনের নামে বেপর্দা, বেহায়াপনা, হুজ্জোতি, বেলেল্লাপনা, মাতলামি করাও সম্পূর্ণরূপে হারাম।
অতএব, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- সরকারিভাবে এ সমস্ত হারাম ও কুফরী কাজ থেকে সকল মুসলমানদেরকে বিরত রাখা।
পহেলা বৈশাখ পালনের ইতিহাস পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে সম্পৃক্ত নয়। এটা পালন মুসলমানগণ উনাদের কাজ নয়। ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, নওরোজ বা পহেলা বৈশাখ পালনের সংস্কৃতি মজুসি, বৌদ্ধ ও হিন্দুদের থেকে এসেছে। মনে রাখতে হবে, ফসলী সন বা পহেলা বৈশাখ বাঙালি দ্বারা প্রবর্তিত নয়। বাদশাহ আকবর ফসলী সন হিসেবে এর প্রবর্তন করে। আর বাদশাহ আকবর ছিল মঙ্গলীয় এবং ফারসী ভাষী। তাহলে এটা কি করে বাঙালি সংস্কৃতি হতে পারে? কাজেই বাঙালিদের জন্য এটা অনুসরণীয় নয়, আর মুসলমানগণ উনাদের জন্য তো এটা অনুসরণ করার প্রশ্নই আসে না। কারণ মুসলমানগণ উনাদের জন্য বিধর্মী ও বিজাতীদের অনুসরণ করা কাট্টা হারাম, নাজায়িয ও কুফরী।
সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব পালিত হয়। ইরান থেকেই এটা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে।
ফসলী সনের পহেলা বৈশাখ বা ফসলী নববর্ষ উপলক্ষে শহরে ও গ্রামে যে ভোজ, মেলা উৎসব হয় তাও ইরানের নওরোজ হতে পরোক্ষভাবে এদেশে এসেছে। মোঘল পূর্ববর্তী আমলে এদেশে নওরোজ বা নববর্ষ পালনের রীতি প্রচলিত ছিল না।
ফসলী নববর্ষ হিন্দুদের খাছ ধর্মীয় উৎসবের দিন। এর আগের দিন তাদের চৈত্র সংক্রান্তি। আর পহেলা বৈশাখ হলো ঘটপূজার দিন।
হযরত ইমাম আবু হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, 'নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে যদি কেউ একটা ডিমও দান করে তবে তার ৫০ বৎসরের আমল থাকলে তা বরবাদ হয়ে যাবে।' অর্থাৎ নওরোজ বা নববর্ষ পালনের কারণে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
আজকে অনেক মুসলমান কথিত বাংলা নববর্ষসহ বিভিন্ন নববর্ষ পালন করছে। আর এতে করে তারা বিজাতি ও বিধর্মীদের সাথেই মিল রাখছে। তাদেরই অনুসরণ অনুকরণ করছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কাফিরেরাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।" (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
আর নববর্ষ বা নওরোজ পালনের দ্বারা সেই কাফিরদেরই অনুসরণ-অনুকরণ করা হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, "হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।" (সুনানে আহমদ শরীফ, সুনানে আবূ দাউদ শরীফ)
বর্তমান যামানার পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যবসাকারীদের মুখপত্র দৈনিক-মাসিক পত্রিকাগুলো ফসলী নববর্ষকে মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত বলে তা পালন করার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে; নাঊযুবিল্লাহ! অথচ এটা সম্পূর্ণ কুফরী কাজ। প্রকৃতপক্ষে তারাসাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে কুফরী, শিরকী ও বেশরা-বিদয়াতের দিকে আহ্বান করছে।
তাদের হাক্বীক্বত প্রকাশ করা না পর্যন্ত মুসলমান উনাদের আমল নিরাপদ নয়। ধর্মব্যবসায়ীরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট। এদের চিহ্নিত করতে পারলেই মুসলমান সত্যিকার ইসলামী চেতনা ও আক্বীদা ফিরে পাবে, মুসলমান উনাদের আমল ইছলাহ হবে। ফলে পহেলা জানুয়ারি ও পহেলা বৈশাখের মতো হারাম আমল ও তার আবহ থেকে তারা নাজাত পাবে।
কথিত বাংলা প্রকৃতপক্ষে ফসলী নববর্ষ, ইংরেজি নববর্ষ, আরবী নববর্ষ ইত্যাদি সবই মজুসী-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা তথা বিধর্মীদের তর্জ-তরীক্বা। অতএব, কোনো মুসলমানের পক্ষে বিধর্মীদের কোনো তর্জ-তরীক্বা পালন করা কখনোই জায়িয নেই; বরং পালন করা কাট্টা কুফরী। কাজেই যে মুসলমান পহেলা বৈশাখ পালন করবে সে মুরতাদ হবে। ফলে তার জিন্দেগীর সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তার ওয়ারিছস্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে। সে হজ্জ করে থাকলে তার হজ্জ বাতিল হয়ে যাবে এবং সে বিবাহ করে থাকলে তার বিবাহও ফাছেদ হয়ে যাবে। সুতরাং পহেলা বৈশাখ পালন করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয।
No comments:
Post a Comment