নতুন ষড়যন্ত্র বিজেপি ও আরএসএসের ॥ কংগ্রেস
তারিখ: ১৩/০৪/২০১৫
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের ওপর ২০ বছর ধরে নজরদারি করেছে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পরবর্তী সরকার। এই তথ্য সামনে আসতেই দেশটিজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর তীব্র সমালোচনা করে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস বলেছে, গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তির ওপর সরাসরি আঘাত হানতে এটা ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) নতুন ষড়যন্ত্র। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
কংগ্রেসের অনেক নেতাই মনে করেন, কংগ্রেসকে সুসংহত বা চাঙ্গা করে তুলতে গান্ধী পরিবারের বিকল্প নেই দলে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমি নীতির বিরোধিতা করে ১৯ এপ্রিল কৃষক সভার ডাক দিয়েছেন তিনি। মূলত ওই সভার মাধ্যমে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারকে ফের পুরনো মহিমায় তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টায় নেমেছেন সোনিয়া। সেই চেষ্টা নস্যাত করতেই মোদিরা গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তির ওপরেই সরাসরি আঘাত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের নেতাদের। কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করে দিতেই গান্ধী পরিবার সম্পর্কে বিদ্বেষের বীজ বুনছে মোদি-জেটলি-সঙ্ঘ পরিবার।
নেহরু-গান্ধী পরিবার সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত কংগ্রেস। মূলত দু'টি প্রশ্ন তুলছে তারা। কেন ঠিক এই সময়েই এসব ঘটছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, মোদির জার্মানি সফরের সময় তাঁর সঙ্গে নেতাজির পৌত্র দেখা করে নেতাজি সম্পর্কিত সব ফাইল প্রকাশের দাবি জানাবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তার ঠিক আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মহাফেজখানায় পাঠানো দু'টি ফাইলের বিষয় সামনে আনা হলো। এগুলোকে মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে না কংগ্রেস। দ্বিতীয় প্রশ্ন বল্লভভাই প্যাটেলকে নিয়ে। নেহরু আমলের প্রথম তিন বছর, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেসের প্রশ্ন, নেহরু জমানায় আইবির নজরদারি কি প্যাটেলের অগোচরে হয়েছে? প্যাটেলের সুবিশাল মূর্তি তৈরি করছে মোদি সরকার।
এদিকে নজরদারি নিয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের প্রতিক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, নজর রাখে সব সরকারই। নজর রাখা মানেই চরবৃত্তি নয়। তবে এত দিন পরে এখন কেন এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে বিজেপি নেতাজি পরিবারের ওপরে নজরদারির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কংগ্রেসের মনোভাব ও আচরণ কতটা নেতিবাচক তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। নজরদারির বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলব।
http://allbanglanewspapers.com/janakantha/কংগ্রেসের অনেক নেতাই মনে করেন, কংগ্রেসকে সুসংহত বা চাঙ্গা করে তুলতে গান্ধী পরিবারের বিকল্প নেই দলে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন দলের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমি নীতির বিরোধিতা করে ১৯ এপ্রিল কৃষক সভার ডাক দিয়েছেন তিনি। মূলত ওই সভার মাধ্যমে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারকে ফের পুরনো মহিমায় তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টায় নেমেছেন সোনিয়া। সেই চেষ্টা নস্যাত করতেই মোদিরা গান্ধী পরিবারের ভাবমূর্তির ওপরেই সরাসরি আঘাত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের নেতাদের। কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে আরও দুর্বল করে দিতেই গান্ধী পরিবার সম্পর্কে বিদ্বেষের বীজ বুনছে মোদি-জেটলি-সঙ্ঘ পরিবার।
নেহরু-গান্ধী পরিবার সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত কংগ্রেস। মূলত দু'টি প্রশ্ন তুলছে তারা। কেন ঠিক এই সময়েই এসব ঘটছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, মোদির জার্মানি সফরের সময় তাঁর সঙ্গে নেতাজির পৌত্র দেখা করে নেতাজি সম্পর্কিত সব ফাইল প্রকাশের দাবি জানাবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তার ঠিক আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে মহাফেজখানায় পাঠানো দু'টি ফাইলের বিষয় সামনে আনা হলো। এগুলোকে মোটেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করছে না কংগ্রেস। দ্বিতীয় প্রশ্ন বল্লভভাই প্যাটেলকে নিয়ে। নেহরু আমলের প্রথম তিন বছর, ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কংগ্রেসের প্রশ্ন, নেহরু জমানায় আইবির নজরদারি কি প্যাটেলের অগোচরে হয়েছে? প্যাটেলের সুবিশাল মূর্তি তৈরি করছে মোদি সরকার।
এদিকে নজরদারি নিয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের প্রতিক্রিয়া কিছুটা ভিন্ন। তিনি বলেন, নজর রাখে সব সরকারই। নজর রাখা মানেই চরবৃত্তি নয়। তবে এত দিন পরে এখন কেন এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে বিজেপি নেতাজি পরিবারের ওপরে নজরদারির প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কংগ্রেসের মনোভাব ও আচরণ কতটা নেতিবাচক তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। নজরদারির বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলব।
No comments:
Post a Comment