BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Sunday, March 8, 2015

আমরাও অভিজিতের হত্যাকারী

0

1 Vote

লিখেছেনঃরাজু আলাউদ্দিন।।

বহু বছর পর বই মেলার প্রলোভনে আমেরিকা থেকে ছুটি এসেছিল অভিজিৎ, 'মুক্তমনা'র প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ, বিজ্ঞান আর সাহিত্য নিয়ে লেখার জন্য ইতোমধ্যে বিখ্যাত অভিজিৎ রায়। কিন্তু যে স্বদেশকে মাতৃতুল্য আশ্রয়ের জন্য 'মাতৃভূমি' হিসেবে অভিহিত করা হয়, সেই 'নিরাপদ' আশ্রয়েই অভিজিতকে প্রাণ হারাতে হল। দেশে নয়, বিদেশে থাকলেই মা-বাবারা সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগে থাকেন। এখন অভিজিতের এই হত্যাকাণ্ড মা-বাবাদের উদ্বেগের ধারণাকে উল্টো স্রোতে বইয়ে দেবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাহলে এই মাতৃভূমিই আমরা চেয়েছিলাম দেশ স্বাধীন হওয়ার পর?
আমাদের বার্তা-সম্পাদক গাজী নাসিরুদ্দিন আহমেদ খোকনের কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রথম শোনার পর আমি স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম। অভিজিতকেও তাহলে হুমায়ুন আজাদের পরিণতি বরণ করতে হল? দুঃখ, বেদনা, ক্ষোভ, হতাশা আর নিরুপায় অনুভূতির মিশ্র চাপে আমার তন্ত্রিগুলো চিৎকারে ফেটে পড়তে চাচ্ছিল। ঘৃণায় কুকড়ে যাচ্ছিল আমার শরীর। নিজের জীবিত শরীরটা ওর মৃত্যুর সংবাদের কাছে অপমানজনক মনে হচ্ছিল।
images
ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়নি কখনও, হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু না হলেও মুক্তচিন্তার জন্য, সুস্নিগ্ধ ও সুসজ্জিত গদ্য ভাষায় বিজ্ঞান ও সাহিত্য বিষয়ক লেখার জন্য ও আমার আত্মীয় হয়ে উঠেছিল। একই ভাষার গর্ভজাত অভিজিত ছিল আমার সাহিত্যভ্রাতা। প্রখর যুক্তিবোধে স্নাত কুসংস্কারভেদী মুক্তচিন্তাগুলো ওকে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত করে তুলেছিল। ওর গদ্য আর চিন্তায় ছিল যত্নের ছাপ।
একই ভাষার গর্ভজাত অভিজিত ছিল আমার সাহিত্যভ্রাতা
একই ভাষার গর্ভজাত অভিজিত ছিল আমার সাহিত্যভ্রাতা
আর তাই মুক্তবুদ্ধির মানুষের ভালোবাসা ও প্রীতি অর্জন করেছিল সে বিপুলভাবে। ফেসবুকে ওকে নিয়ে বহু ভক্ত-অনুরাগীর শোকবার্তামূলক পোস্টগুলো দেখলেই তা বুঝা যায়। কিন্তু এই বিপুল জনপ্রিয়তা আর খ্যাতিই ওর জন্য মৃত্যুর ফাঁদ তৈরি করে দিয়েছে। চরমপন্থী দুর্বৃত্তরা অভিজিতের অদম্য আলোয় ভীত হয়ে মধ্যযুগীয় বর্বর অন্ধকার দিয়ে ওকে প্রতিহত করেছে, চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেছে ওর মাথায়। আঘাত করেছে ওর স্ত্রী বন্যাকেও। বন্যা বেঁচে গেছে সৌভাগ্যক্রমে, কিন্তু অভিজিৎ বাঁচেনি। বাঁচানো সম্ভব ছিল না; কারণ আঘাত এত তীব্র আর লক্ষ্যভেদী ছিল যে মাথা থেকে মগজের অংশবিশেষ বেরিয়ে পড়েছিল।
avijit
সংবাদপত্র থেকে জানা যাচ্ছে, অভিজিৎকে ওর লেখালেখির জন্য হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। অভিজিৎ এই হুমকি উপেক্ষা করেই দেশে এসেছিল আত্মীয়-স্বজন আর বইমেলার টানে। ওর সঙ্গে আমার দেখা হওয়ার কথা ছিল এই মেলাতেই। দেশে ফেরার আগেই ফেসবুকে ওর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। বললেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি দেশে ফিরবে ১৫/২০ দিনের জন্য। বলেছিল, আমার জন্য কিছু সময় রাখবেন। আপনার সঙ্গে অনেক কথা আছে। অবশ্যই, আমিও আপনার সঙ্গে আড্ডার জন্য মুখিয়ে আছি।
ফোন, ইমেইল আর ফেসবুকের বাইরে আমাদের আগে কখনও পরিচয় হয়নি। তবে লেখার মাধ্যমে পরস্পরকে চিনি অনেক দিন থেকেই। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে যোগ দেওয়ার পর ওর কিছু অসাধারণ লেখা প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছিলাম আমি। অভিজিৎ ছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিয়মিত লেখক। কতটা নিয়মিত তার প্রমাণ মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই প্রকাশিত আমাদের পত্রিকায় ওর সর্বশেষ লেখাটি। এত সুলিখিত গদ্য আর সুসজ্জিত ভাবনায় সমৃদ্ধ লেখা খুব কমই দেখেছি ওর বয়সের তরুণদের মধ্যে।
ওর লেখা পড়তও প্রচুর পাঠক। গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ একদিন 'ওকাম্পো ও রবীন্দ্রনাথ: কিছু অশ্রুত গুঞ্জন' (১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ আর্টস বিডিতে প্রকাশিত) শিরোনামে একটি লেখা পাঠিয়েছিল আমাকে। সদ্য আর্হেন্তিনা ফেরার অভিজ্ঞতা এবং ওকাম্পো রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে পূর্বপাঠের এক মিশ্র রূপ ছিল লেখাটি। পড়ে মুগ্ধ হয়ে ওকে চিঠিতে দুয়েকটি তথ্য সম্পর্কে আরেকটু যথাযথ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। যেমন লেখাটির এক জায়গায় উল্লেখ ছিল রবীন্দ্রনাথ বুয়েনোস আইরেসে তিন মাস ছিলেন। আমি বলেছিলাম, তথ্যটি সঠিক নয়। ফিরতি মেইলে অভিজিৎ আমাকে মনোরঞ্জন গুপ্তের 'রবীন্দ্র-চিত্রকলা' বইয়ের একটি পৃষ্ঠা স্ক্যান করে পাঠাল যেখানে তার কথার পক্ষে সমর্থন রয়েছে।
অভিজিৎকে বললাম, তথ্যটা সঠিক নয় এই কারণে যে, তিনি নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথের অবস্থানকাল হিসাব করে তিন মাস বলেছেন। আসলে ছিলেন দুই মাস, অর্থাৎ নভেম্বরের ৬ তারিখ থেকে জানুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত। মোট দিনের সংখ্যা হিসাব করলে দু'মাসের বেশি হবে না। এর পক্ষে আমি ওকে ফার্স্টহ্যান্ড কিছু তথ্য সরবরাহ করে বুঝাতে সক্ষম হই। আমার মত পরে ও মেনে নিয়ে সংশোধন করে লেখাটি আবার পাঠায়। আমরা লেখাটি প্রকাশ করে পাঠকদের পক্ষ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছিলাম।
শুধু এই লেখাই নয়, আমাদের 'মতামত-বিশ্লেষণ' বিভাগেও ও যেসব লেখা লিখেছে সেগুলোও অসম্ভব পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। ওর লেখার মেজাজে ছিল জনপ্রিয়তার ধারা, কিন্তু তাই বলে অগভীর ছিল না। রবীন্দ্রনাথ-ওকাম্পো বিষয়ক লেখাটিও প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। লেখাটা প্রকাশের আগেই অভিজিৎকে বলেছিলাম লেখাটি পুস্তকদীর্ঘ করার জন্য। বললাম, আমি আপনাকে এই বইয়ের প্রকাশক যোগাড় করে দেব। ওর লেখাটা আমার এতই ভালো লেগেছিল যে আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, যে কোনো প্রকাশক এই বই প্রকাশে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
অভিজিৎ আমার এই ভালো লাগা আর প্রস্তাবে খুবই উদ্দীপ্ত হয়েছিল। আমি যে গোপনে গোপনে ওর লেখার খুব অনুরাগী, ওই প্রথম ওটা টের পেল। বই করতে রাজি হওয়ায় আমি ওর উপর আরেকটা পরিকল্পনার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বললাম, বই-ই যদি করেন তাহলে রবীন্দ্রনাথ-ওকাম্পোর চিঠিগুলোর তর্জমাও সঙ্গে দিয়ে দিতে পারেন। তাতে বইটা পূর্ণাঙ্গ হয়ে উঠবে।
প্রস্তাবটা ওর মনে ধরল এবং সত্যি সত্যি সে সবগুলো চিঠি অনুবাদ করল। কিন্তু ওকে এসব প্রস্তাব দেওয়ায় শেষে দাবি করে বসল, ভবিষ্যতে বইটি যদি বের হয়, তাহলে আমাকেই এর ভূমিকা লিখে দিতে হবে। আমি সানন্দে ওর প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলাম। আমি কখনও কারও বইয়ের ভূমিকা লিখিনি, আমাকে কেউ বলেওনি কখনও। বলবার কথাও নয়; কারণ আমি, ডিগ্রি-বাহিত, খ্যাতিগ্রস্ত কেউ নই। আমি কেবল আমার বইয়ের ভূমিকাই লিখেছি। কিন্তু অভিজিতের দাবির আন্তরিকতা মেনে নিয়েছিলাম সঙ্গে সঙ্গেই। মানার কারণ, বইটা যে রকম পরিকল্পনামতো এগুচ্ছে তাতে এটি যে একটি অসাধারণ বই হতে যাচ্ছে সে সন্দেহ ছিল না।
তাই এই বইয়ের ভূমিকা লেখা আমার জন্য কেবল আনন্দেরই নয়, শ্লাঘার ব্যাপারও। চার কী পাঁচ পৃষ্ঠার একটি নাতিদীর্ঘ ভূমিকা লিখেছিলাম বইটির জন্য। আমি ভাবতেই পারিনি এটা অভিজিৎ এত পছন্দ করবে। আমি ওকে বলেছিলামও, অভিজিৎ পছন্দ না হলে দেবেন না। আমি তাতে নাখোশ হব না মোটেই। অভিজিৎ লেখাটি পছন্দ করেছিল দেখে আমি স্বস্তি পেয়েছিলাম।
ঘটনাটা বলবার কারণ এই যে, অভিজিৎ কেন আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল কিংবা আমিই-বা কেন ভাষা, সাহিত্য ও জ্ঞানরসে মুগ্ধ এই অভিজিতের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলাম তার মূল কারণটা বুঝাবার জন্য। আর এটাই ছিল ওর মতো মেধাবী একজন লেখকের সঙ্গে আমার হৃদ্যতা গড়ে ওঠার মূল কারণ। বিজ্ঞান বিষয়ক লেখায় ওর তুল্য জনপ্রিয় লেখক এ দেশে খুব কমই আছে। আমি মনে করি, বিজ্ঞান বিষয়ক এবং ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখির কারণে যে জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিল তা চরমপন্থী ও ধর্মান্ধদের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিল।
তাহলে কি ওরাই হত্যা করেছে অভিজিৎ রায়কে? অভিজিতের নিকট ও দূরবর্তী হত্যাকারী কি আমরাও নই যারা রাজনীতি ও সংস্কৃতির শীর্ষ পাণ্ডা? আমরা কি স্বাধীনতার পর পর গত ত্রিশ চল্লিশ বছরে রাজনীতিকে ধর্মান্ধ মেফিস্টোফেলিসের কাছে বন্ধক দিয়ে তাৎক্ষণিক সুবিধা গ্রহণ করিনি? আমাদের গ্রগতিশীল ধারার মানুষদের কাউকে কাউকে মসজিদের খতিবের কাছে মুক্তচিন্তা প্রকাশের অপরাধে করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে দেখিনি?
যে মুক্তচিন্তাকে প্রতিক্রিয়াশীলরা শান্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাদের কাছেই যদি তথাকথিত মুক্তবুদ্ধির গোষ্ঠীগুলো নিজেদের অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে তাহলে এর অর্থ দাঁড়ায়, আপনি প্রতিক্রিয়াশীলদের কর্মকাণ্ডেই সমর্থন জানাচ্ছেন। আর আপনার হাতে যদি সংবাদমাধ্যম থাকে তাহলে সেখানে মুক্তচিন্তা রুদ্ধ করে রাখবেন। আমাদের ভয়ের সুযোগ নিয়ে কি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির এবং নামে-বেনামে একাধিক মৌলবাদী রাজনৈতিক সংগঠনের উত্থান ঘটেনি গত কয়েক দশকে?
আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল এখন এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আস্তিক-নাস্তিক বিষয়টি প্রধান হয়ে উঠেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার যে অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উত্থান ঘটেছিল তা থেকে আমরা সরে গেছি অনেক দূরে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনার জায়গা সংকুচিত হতে হতে এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে গেছে। শিল্প, সাহিত্য ও বুদ্ধিজীবিতার ক্ষেত্রে যারা শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত তারা একে প্রসারের ক্ষেত্রে যদি সত্যি সত্যি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন তাহলে হুমায়ুন আজাদ, রাজীব এবং সর্বশেষ এই অভিজিৎকে নির্মম হত্যার শিকার হতে হত না।
আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতাই অভিজিতের হত্যাকারী। আমরাও অভিজিতের হত্যাকারী। আমাদের সম্মিলিত নিরবতা, সুযোগ-সুবিধা, খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার লালসার বিনিময়ে ধীরে ধীরে পশুদের ধর্মান্ধতার অস্ত্র শাণিত করার সুযোগ করে দিয়েছি। মনে পড়ছে, প্রিয় কবি শঙ্খ ঘোষের সেই অমোঘ, নির্ভুল আর মুখোশ-উন্মোচনকারী হিরন্ময় পংক্তিগুলো, যেখানে দেখা যাবে ভালো-মন্দে একাকার এক কুটিল প্রহেলিকা:
কে ওকে মেরেছে, সে কথার কোনো উত্তর নেই আজ।
এ মুখে ও মুখে তাকিয়ে এখন চুপ করে থাকা শ্রেয়।
আমি কি জানি না আমিই যে সেই ঘাতক? অথবা তুমি
তুমি কি জান না তুমিও যে সেই ঘাতক? অথবা সেও
সেও কি জানে না তারা সবাই যে ঘাতক? কিন্তু তার
চোখ আজও আছে পথ চেয়ে কোনো অবোধ বন্ধুতার।
ঘুমের ভিতরে মনে হয়েছিল নাম জানি আমি তার।
(শঙ্খ ঘোষ, ঘাতক, শঙ্খ ঘোষের শ্রেষ্ঠ কবিতা, জানুয়ারি ২০১১, পৃ: ১৬৮)
অভিজিৎ গ্রীক বিদুষী হাইপেশিয়ার কথা লিখেছিল। কিন্তু জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসার জন্য আজ এই হাজার হাজার বছর পরও যে হাইপেশিয়ার পরিণতি তাকে ভোগ করতে হবে, অভিজিৎ তা কখনও ভাবেননি।
প্রিয় অভিজিৎ, হাইপেশিয়ার সহোদর, হুমায়ুন আজাদের নিকটতম স্পন্দন, প্রিয় ভাই আমার, এই পশু, ভণ্ড আর সুবিধাবাদী কীটের জগতে আমরা যারা অসহায় তাদের অশ্রু আর ভালোবাসার শয্যায় আপনার শেষ আশ্রয় রচিত হয়েছে। আপনি আমার আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে আছেন। কোনো অন্ধকার চাপাতি, কোনো হিংসা, নিষ্ঠুরতা এই আলিঙ্গন থেকে আপনাকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...