ভূস্বর্গে হিন্দু সাম্রাজ্যবাদের পতাকা,পূর্ব ভারতে দই বাংলা এক করার গুন্জন কলরব
উত্তরের এই গেরুয়া সুনামি দুই বাংলা এক করিবার স্বপ্ন সন্ধানে কি রঙ্গ দেখায় বঙ্গে,শীঘ্রই প্রকাশ্য।
কোথাকার কে হরিদাস পাল,যাকে কোমরে দড়ি বাঁধিয়া জেলে ভরিবার হুন্কারে সেই কাল অবধি আকাশ বাতাসে আগুন ধরাতে কসুর করেননি বাংলার অগ্নিকন্যা।
অবশ্য শাস্ত্রমতে ভূভারতে অগ্নিকন্যা বলিতে একজনকেই বোঝায়,তিনি হলেন দ্রোপদী,অগ্নিগর্ভে যার জন্ম কুরুবংশ নিধন প্রয়োজনে,এবং তাহাতেই মহাভারত ও কুরুক্ষেত্রে গীতা বচন।
আমাদের অগ্নিকন্যা দুই বাংলায় কোন মহাভারত রচিয়া রাখিলেন,কি কহিব,বলাই মুশকিল।
পলাশ বিশ্বাস
কাশ্মীরে শুরু হয়েছে প্রবল তুষারপাত৷ রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া তুষার ঝড়ের জেরে ২-৩ ইঞ্চি পুরু বরফের নিচে চলে গিয়েছে শ্রীনগর৷ বৃষ্টির দাপটে বিপর্যস্ত জম্মুও৷ বৃষ্টির জেরে সোমবার সকালে বিভিন্ন্ এলাকায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক৷ দিল্লি, কর্ণাটকের ভারী বর্ষণ হচ্ছে। গতকাল রোববার দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ সোমবারও ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।জম্মু-কাশ্মীরে ৪৯ দিনের রাষ্ট্রপতি শাসনে যবনিকা টেনে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন প্রবীণ পিডিপি নেতা মুফতি মহম্মদ সৈয়দ। মুফতি ছাড়াও এদিন শপথ নেন পিডিপি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রিসভার আরও ২৪ জন সদস্য।
ভারতে একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো জোট সরকার গঠন করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল। খবর এএফপি ও আনন্দবাজার পত্রিকার। কিছু বিষয়ে মত বিরোধ সত্ত্বেও ন্যূনতম কয়েকটি কর্মসূচীর ভিত্তিতে কাশ্মীর উপত্যকায় জোট সরকার গড়তে রাজি হয় বিজেপি ও পিডিপি।
বাংলায় এখন খবরের শিরোনামে মমতা মকুল রসায়ন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেন মুকুল রায়। গত কয়েকদিনে মুকুলের রাজনৈতিক কফিনে একের পর এক পেরেক তৃণমূলের।মুকুল ঝরিছে কি না,বাঙালির রাজনীতির সারতত্ব ইহাই।ইতিমধ্যে বাঙালির রসনাতৃপ্তির সাধ মিটাইতে বাংলাদেশ সফরও সাঙ্গ হল দিদির।
ঈলিশের তত্বতালাশ ব্যর্থ দিদির যেহেতু তিস্তা এখন কার্যতঃ সুখা নদী।দিদির আবদারে হাসিনা কহিলেন,পানি কই,ঈলিশ কি ভাইস্যা যাইব।
দিদির পাল্টা উবাচন,ঈলিশ পদ্মায় হয়,তিস্তাতে নয়।
চিঁড়া কিন্তু ভিজিল না।
উপরন্তু খালেদার সঙ্গে দেখা না করে সদল বলে গানে বাজনায় ভুলভাল সোনার বাংলা কথনে দিদি হাসিনার সঙ্গে সেল্ফি তুলিয়া যে সারদা প্রসঙ্গে তণমূল জামাত যোগাযোগ ধামাচাপার প্রয়োজনে অতীব দুঃসময়ে বাংলাদেশ সফরে ঢাকায় দিদির গমন ও খালি হাতে প্রত্যাবর্তন,তাহাতে দিদির উপস্থিতিতে দেব বিবেকান্নদ যে দুই বাংলার স্বপ্ন দেখিলেন,তাহা একান্তই জামাতের স্বপ্ন যে অবিলম্বে বাংলাদেশে যোগ দিক ভারত।
ওপার বাংলায় দিদিকে অনুরোধ করা হল,কলকাতায় ফিরে অবিলম্বে বাংলাদেশ জয়েন করার আন্দোলন শুরু করুন।
সারা দেশে এখন হনুমান লীলা চলছে।চলছে গীতা মহোত্সব।চলছে ঘর ওয়াপসী।দেশটা হাজারো হাজার কম্পানীর কব্জায় বেদখল,জাতের নামে বজ্জাতি এই দখলদারির অশ্বমেধ অভিযান।সঙ্ঘ পরিবারের বঙ্গ বিজয়ের তুরুপতাস দিদির সাধের দুই নাম্বার,সারদা কান্ডে ক্লিন চিট মিলিলেই তিনি বিজেপি জয়েন করবেন।
কোথাকার কে হরিদাস পাল,যাকে কোমরে দড়ি বাঁধিয়া জেলে ভরিবার হুন্কারে সেই কাল অবধি আকাশ বাতাসে আগুন ধরাতে কসুর করেননি বাংলার অগ্নিকন্যা।
অবশ্য শাস্ত্রমতে ভূভারতে অগ্নিকন্যা বলিতে একজনকেই বোঝায়,তিনি হলেন দ্রোপদী,অগ্নিগর্ভে যার জন্ম কুরুবংশ নিধন প্রয়োজনে,এবং তাহাতেই মহাভারত ও কুরুক্ষেত্রে গীতা বচন।
আমাদের অগ্নিকন্যা দুই বাংলায় কোন মহাভারত রচিয়া রাখিলেন,কি কহিব,বলাই মুশকিল।
ব্লগার রাজীব নিধনে সহবাগ আন্দোলন সারা দুনিয়া দেখিল,ব্লগার অভিজিত রায় হত্যার বিরুদ্ধে সারা পৃথীবী তোলপাড়।যাদবপুর পাশে আছে,কোলকাতায় মিছিলে ব্যানার,এত লাশ কোথায় রাখিব।দিদির ফেসবুকে কিছু কিন্তু পাইলাম না।
বাংলাদেশে আগুন লেগেছে।বাংলাদেশ গণতন্ত্র বিপর্যস্ত ও ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও মুক্তি যুদ্ধের রক্তঝরা দিনের স্মৃতিতে জীবন মরণ লড়াই চলছে বাংলা জাতীয়তাবাদের।
কিন্তু এপার বাংলায় দিদির কৃতিত্বে এক চতুর্থাংশ মানুষ এখন বিজেপি ভোটার।
কোমরে যাহার দড়ি পরানোর সংকল্প,যে দাঙ্গাবাজ সরকারকের স্পর্শ ভাঁচিয়ে চলার এত আয়োজন,সেই নমো মহারাজকে দিদি চিঠি লিখিয়া ফেলিলেন ফেসবুকে,যে দেখা করিতে চাই।
তোমার দেখা নাই অতি প্রাসঙ্গিক এখন।সমাজবাদিদের যদুবংশ এখন কংসমামার সংসার।দিদির মন বড়ই উতলা।কালো হাঁঢ়ি,কালো কম্বল,কালো ঝুড়ি না হয় সংসদে টিভি চ্যানেলে হইস কিন্তু বাংলার গৌরিকীকরণে তৃণমূলি আত্মঘাতের কথা কি ভোলানো যাবে।
অর্ডিন্যান্স রাজের প্রয়োজন নেই।রেল বাজেট,বাজেটে সংসকার সুনামি ও সংসদে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের ঝাঁঝে,বেপরোয়া ভাবে কাশ্মীরে হিন্দু সাম্রাজ্যবাদের পতাকা উত্তোলনে বোঝাই যাচ্ছে মিলিয়নার বিলিয়নার কাদেক কুলের কারা কারা কুল কুল করে কুল ভাঙ্গিয়া যাবতীয় সংস্কার লাগু করিবার সংসদীয় সহমতিতে ভারতীয় জনগণের নরকবাস যথার্থ করিবেন।
মুফ্তি সাহেব মুখ্যমন্ত্রী হয়েই,বিজেপি সহবাসের জন্য পাকিস্তানকে ধন্যবাদ কহিলেন।মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য মুফতি মহম্মদ সঈদের। উপত্যকায় ভোটের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে পাকিস্তান,হুরিয়ত ও জঙ্গি সংগঠনগুলিকে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন। PDP নেতা মুফতির এই বক্তব্যে কার্যতই কাল বিড়ম্বনায় ফেলেছে জোটসঙ্গী বিজেপিকে। রবিবার জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন মুফতি মহম্মদ সৈঈদ। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটের কৃতিত্ব দিয়ে বসলেন পাকিস্তান, আর জঙ্গিদের।
মুফতির এই মন্তব্য দিয়ে কড়া সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে বিরোধীরা। মুফতির জোটসঙ্গী বিজেপির কাছে জবাব চেয়েছেন তাঁরা। টুইটারে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সমানোচনার মুখে জোট সঙ্গীর বক্তব্যের দায় ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি।
দায় এড়াতে চাইলেও বিরোধীদের সমালোচনা পিছু ছাড়ছেনা বিজেপির। জোটসঙ্গী PDP নেতার এমন মন্তব্যে এখন কার্যত অস্বস্তিতে মোদী ,অমিত শাহরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, আজ রোববার পিডিপির বর্ষীয়ান নেতা মুফতি মোহাম্মদ সাঈদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে যৌথ সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। ২৫ সদস্যের এ মন্ত্রিসভায় বিজেপির বেশ কয়েকজন সদস্যরা আছেন।
রাজ্যের জোরাওয়ার স্টেডিয়ামে এ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এল কে আদবানি, মুরলি মনোহর জোশি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ও সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। শপথ গ্রহণের পর মুফতি সাঈদকে জড়িয়ে ধরেন নরেন্দ্র মোদি।
ওই সরকারে বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা নির্মল সিং সহকারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সরকারের অন্য কয়েকজন মন্ত্রী হলেন পিডিপির আবদুল রেহমান বিরী, হাসিব দ্রাবু, নাঈম আখতার, বাসারাত বুখারী। এ ছাড়া বিজেপির মন্ত্রীরা হলেন লাল সিং, চন্দ্র প্রকাশ, সুখনন্দন চৌধুরী ও বালি ভগত। বিজেপির প্রিয়া শেঠি ও পিডিপির আসিয়া নাক্কাশ দুই নারী আইনপ্রণেতা।
শপথ অনুষ্ঠান বর্জন করেছে কয়েকটি দলের জোট ন্যাশনাল কনফারেন্স।
১২তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সাঈদের শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে ৪৯ দিনের গভর্নর শাসনের অবসান ঘটল। ২৪ ডিসেম্বর রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর পদত্যাগ করেছিলেন।
উত্তরের এই গেরুয়া সুনামি দুই বাংলা এক করিবার স্বপ্ন সন্ধানে কি রঙ্গ দেখায় বঙ্গে,শীঘ্রই প্রকাশ্য।
No comments:
Post a Comment