তবে কেন জনগণের গুচ্ছের টাকা দিয়ে পুলিশ পোষা?
ছাত্র ঠেঙানোর জন্যে নাকি শ্লীলতহানির জন্য?
বাংলায় এখন বউ পালালেও সিবিআই,আইতে যাইতে বারো আনা
কলা,কিচ্ছু উসুল হইব না
পলাশ বিশ্বাস
তবে কেন জনগণের গুচ্ছের টাকা দিয়ে পুলিশ পোষা?
ছাত্র ঠেঙানোর জন্যে নাকি শ্লীলতহানির জন্য?
খবরে প্রকাশ,পদত্যাগ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত। পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী কারনে পদত্যাগ সেবিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি সহ উপাচার্য। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ।
যে পুলিশি তান্ডবের প্রতিবাদে সহ উপাচার্যের এি পদত্যাগ মনে করা হছ্চে,সেই পুলিশের কাছে পরিচিতি যাচাই করিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন ছাত্র ছাত্রীরা।
আবার পুলিশি তান্ডবের দায়িত্ব নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্বজোড়া যে ছাত্র আন্দোলন সে ই উপাচার্য নবান্নে বৈঠক করে পুলিশের প্রহরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে বহাল।
ছাত্রেরা এবারও প্রতিবাদ করলে হত ডান্ডা মেরে করে দেবে ঠান্ডা।
এই হল পশ্চিমবঙ্গে আইনের রাজত্ব ও পুলিশের একমাত্র ভূমিকা।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল যাদবপুর। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যপালকে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠালেন সহ উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত। জানা গেছে, সহ উপাচার্য চিঠিতে রাজ্যপালকে ষোল তারিখের রাতের ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি একথাও জানিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই কারণেই তিনি সহ উপাচার্যের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সহ উপাচার্যের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে চাপ বাড়াল উপাচার্যের ওপর। কারন সহ উপাচার্য রাজ্যপালকে যা জানিয়েছেন তাতে দায় এড়াতে পারেন না উপাচার্য। তাছাড়া, তাঁর এই সিদ্ধান্ত উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিকে আরও জোরালো করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রশ্ন উঠছে, সহ উপাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন গোটা ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তবে তখনই তিনি কেন পদত্যাগ করলেন না? জানা গেছে, আন্দোলনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন নি উপাচার্য । প্রশাসনিক কাজের দায়িত্বভার বহন করতে হচ্ছিলতাঁকেই। সেকারণেই পদত্যাগ করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার উপাচার্য কাজে যোগ দেওয়ার পরেই তিনি রাজ্যপালের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন উপাচার্য, অরবিন্দ ভবনের সামনে ফের বিক্ষোভ পড়ুয়ারাদের
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। অন্যদিকে, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার পর পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল। অরবিন্দ ভবনের সামনে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগ না পর্যন্ত চলবে যাদবপুরের আন্দোলন। পড়ুয়াদের দাবি তাদের লুকিয়ে চুপি চুপি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন উপাচার্য।
উপাচার্য জানিয়েছেন আজ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী, সংবাদমাধ্যম বা ছাত্র-ছাত্রী প্রতিনিধি, কারোর সঙ্গেই কোনও কথা বলবেন না।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন সার্চ কমিটির পক্ষ থেকে যাদবপুরের উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে কোনও চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন ।
কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে তবেই বিক্ষোভ আন্দোলন করতে পারবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আন্দোলন কোথায় করা হবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সেটাও আগে থেকে ঠিক করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় আজ এই নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বভাবতই অখুশি ছাত্রছাত্রীরা। নির্দেশ দুঃখজনক মত বিশিষ্টদের।
অন্যদিকে গতকাল, ছাত্র আন্দোলনের জেরে যাদবপুরের পঠন পাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ,এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শিক্ষাবিদ বিমলশঙ্কর নন্দ। সেই মামলায় বুধবার অন্তবর্তী নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। নির্দেশে বিচারপতি বলেছেন
কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিয়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন করতে পারবে ছাত্ররা। ক্যাম্পাসে যেখানে সেখানে আন্দোলন-বিক্ষোভ করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে হবে
নিয়ন্ত্রিত হবে বহিরাগতদের প্রবেশও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি গেটের বাইরেই রাখতে হবে অস্থায়ী পুলিস ফাঁড়ি, বসাতে হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
হাইকোর্টের অন্তবর্তী নির্দেশে অখুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। আদালতের নির্দেশে মেনে কর্মসূচি পরিকল্পনা করলেও, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে কোনওমতেই সরছেন না তাঁরা। আদালতের নির্দেশ দুঃখজনক বলছেন বিশিষ্টরা। বুধবার যাদবপুরে একটি গণকনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালযের ছাত্রছাত্রীরাও।
বাংলায় এখন বউ পালালেও সিবিআই,আইতে যাইতে বারো আনা
কলা,কিচ্ছু উসুল হইবনা।
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে রয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তার ওপর বুধবার আরেকটি মামলায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার।
তাপস পালের মস্তানি মামলায় এখনো সিবিআই হয় নি,বলা যায় না হবে না।পুলিশের কার্যকরি ভূমিকা প্রেক্ষিতে বলা অসম্ভব কোন মামলায় সিবিআই হবে,কোনটায় হবে না।
আগে জনতাম বাড়িতে দমবন্ধ পরিবেশ থেকে বেরিয়ে কেউ ট্রেনে কাটা পড়লে ট্রেন অবরোধ,এখন দেখচি,বউ পালালেও সিবিআই।
প্রত্যেকটি মামলায় আদালতের রায়ে সিবিআইকে ডাক,তার অর্থই হল বাংলার ডাকাবুকো পুলিশ,সেই লাল বাজার যার তুলনা কখনো স্কট ল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে করা হত,কার্যতঃ এখন ঠুঠো জগন্নাথ।
সাতের দশকে টাটকা ছেলেমেয়েদের এনকাউন্টারে মারার জন্য বিশ্ববন্দিত কলকাতা পুলিশ এখন নবারুণদার কাঙাল মালসাট।
বাম শাসনে লোকাল কমিটির পারমিশান ছাড়া এফআইআর না হওয়ার গপ্পো ছাড়িয়ে বাংলা পুলিশের গপ্পো এখন শাসকের পায়ের চটিতে পরিণত, চটিচাটাই যোগ্যাতার মাপকাঠি।
ঔ মাপকাঠিতে ফেল মেরে গেলে মনমোতাবিক তদন্তের রেজাল্ট না পেলে শাসকের রোষাণলে সেই সত্তর দশখ থেকে জ্বলতে জ্বলতে বাংলার পুলিশ জমিদারের লেঠেল এখন।
কর্তা কর্তীর হুকুম তামিল করাই একমাত্র যোগ্যতা এবং অবশ্যই অবশ্য কর্তব্য তাই রোজই কাগজ খুলে পড়তে হয় একের পর এককান্ডে রাজ্য সরকারের স্বস্তি ও অস্বস্তি।
প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে এবং ধামাধরাদের কর্তৃত্বের খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা পুলিশ বাহিনীকে।
কষ্ট করে আইপিএস হয়ে চটির তলায় জীবনযাপনের জৌলুষ কতটা আকর্ষণীয় তাঁরাই বলতে পারেন,কিন্তু স্বাধীন নাগরিক হিসেবে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয় যে পুলিশকর্তারা এখন উপাচার্য হয়ে যাচ্ছেন।সুশীল সমাজ দশা সিট মারাত্মক।
স্বাধীন নাগরিক হিসেবে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয় যে এই বঙ্গে আইনের শাসণ বলতে কিছু রইল না, পুলিশ প্রশাসনও এখন বাকি জনগণের মতই ক্ষমতার রাজনীতির দখলে- হয়ত এই ভাবে সন্তানথাকবে দুধে ভাতে।
তবে স্বস্তি একটাই লাল বাজারে বা থানায় থানায় আন্দোলন করার জন্য বেয়াড়া ছাত্রেরা নেই।
শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে রং বেরং যত অভিযুক্ত তাঁরা সারি দিযে সারদা আশ্রম থেকে বেকসুর খালাশ হলেন,খিস্তি খেউড় সন্ত্রাস বিধবার থান ও রক্তগঙ্গার অভিযুক্তরাও বহাল তবিয়তে রইলেন।
ভারতবর্ষে প্রতিটি কলেন্কারিতে যাদের নাম,যাদেরজিজ্ঞাসাবাদ না করলে কিনারা হয় না কোনো মামলার,তাঁরা সবাই সংবৈধানিক রক্ষাকবচের আওতায় ছিঁচকে চোর ধরেই ধন্য ধন্য লালু যদব ছাড়া আজ অবধি কোনো শাসকের জেল হয়নি,তিনিও এখন দাপিয়ে রাজনীতি করছেন।
এই ত কয়লা কেলেন্কারিতে কি ঘোড়া ডিমই না হল,স্পেক্ট্রামের মত সব কযলাব্লক আবন্টন বাতিল,প্রশ্ন হল তাহলে কি গ্যাস তেল ক্ষেত্রের আবন্টনও বাতিল প্রতিরক্ষা কেলেন্কারির আওতায় যাবতীয় ডিল বাতিল?
জবাব নেই।
অথচ কয়লা আমদানির মাশুল সাধারণ মানুষকে দিতে হবে।
প্রাইভেট কম্পানী এখন বিদ্যুত সংযোগের মালিক যাবতীয় গ্রিড তাঁদের দখলে,ইলেক্টিক শক ত খেতেই হচ্ছে।
তাছাড়া সরকারী ব্যান্ক থেকে কয়লা আবন্টনের এগনেস্ট যে লক্ষ লক্ষ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছে,বাতিল বাহানায় সেটাও ডুবল।
শুধু স্টেট ব্যান্কের লোকসান সত্তর হাজার কোটি।
বুঝুন ঠ্যালা।
সিবিআই সিবিআই করে যারা বিশ হাত লাফাচ্চেন,পুরোনো মামলার হিসেব মিলিয়ে দেখুন কোন ঈলিশে কতটা কচুর মিশেল।
সিবিআই আটকাতে জনগণের খরচ।
সিবিআই হলে জনগণের খরচ।
প্রাপ্তি ঔ ঘোড়ার ডিম।
গত নির্বাচনে কমিশনের রোষের মুখে পড়লেন জেলার সাত পুলিশ সুপার। জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত। বৈঠকে কমিশনের রোষের মুখে পড়ে সাত-জেলার পুলিশ সুপাররা। জেলাগুলির মধ্যে সাতটি জেলা হল, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং উত্তর ২৪ পরগণা। এই সাত-জেলার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে একাধিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই কমিশনের নজরে পরে এই সাত জেলার আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, হাবড়া থেকে হাওড়া-কাণ্ডে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসক। এই প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কড়া মন্তব্য, হাবড়া-কাণ্ডে আক্রান্ত বিডিও যখন অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ভয় পান। তাহলেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের গণতন্ত্রের কি অবস্থা। এমনকি, ঘটনায় হাওড়া জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে ভর্ৎসনাও করে কমিশন।
বাংলা পুলিশের এই হাল।
যাদবপুর কলরব থামাতে সেই পুলিশকেই আবার লগ্নি করছে শাসক,ভেবে দেখুন ইহা দনগণের বিপর্যয় না তাং চেয়ে রাজ্য পুলিশের বিপদ অতিঘন।
নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি না৷ শিক্ষা থেকে প্রশাসন– রাজ্যের সর্বত্র নৈরাজ্য৷ এই পরিস্হিতি থেকে সমাজকে বাঁচাতে সংগঠিত বামপম্হী আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই৷ বুধবার কলকাতায় এক আলোচনাসভায় এই মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্র৷
আজকালের প্রতিবেদন: নিঃশ্বাস ফেলতে পারছি না৷ শিক্ষা থেকে প্রশাসন– রাজ্যের সর্বত্র নৈরাজ্য৷ এই পরিস্হিতি থেকে সমাজকে বাঁচাতে সংগঠিত বামপম্হী আন্দোলন ছাড়া মুক্তি নেই৷ বুধবার কলকাতায় এক আলোচনাসভায় এই মত প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অশোক মিত্র৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারছেন কিছু দুষ্কৃতী সম্প্রদায়কে রাজ্যের প্রশাসনে বসিয়েছি৷ বিভিন্ন ধরনের দুষ্কৃতী৷ পয়সাকড়ি নিয়ে প্রতারণা করছে৷ যারা খুন, ডাকাতি করে৷ যারা পকেট কাটে৷ স্বভাব উদ্ধত৷ সকলের সুমিশ্রণে একটা দল প্রশাসন চালাচ্ছে৷ তার ভয়াবহ পরিণাম আমরা দেখতে পাচ্ছি৷ এদিন কলকাতার রোটারি সদনে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে সমাজ চর্চা ট্রাস্ট৷ আলোচনার বিষয়বস্তু ‘সমাজ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি’৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষ৷ তিনি বলেন, এখন উদ্বেগের সময়৷ উপস্হিত ছিলেন অমিয় বাগচী, যশোধরা বাগচী, অমিয় দেব, রাজা মিত্র, ‘আরেক রকম’ পত্রিকার সম্পাদক কালীকৃষ্ণ গুহ, ইমানুল হক প্রমুখ৷ অশোক মিত্র বলেন, ‘শিবে গুন্ডা’ যতই ‘শিবপ্রসাদ’ হোক সে শিবে গুন্ডাই থাকে৷ তিনি কেষ্ট হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, আমরা ভুক্তভোগী৷ বামেদের আরও নম্র হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি৷ তাঁর মতে, বামপম্হীরা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন৷ সেটা ফিরে পেতে বিশেষ কিছু করেননি৷ মানুষ ভালবেসে তাঁদের ভোট দিয়েছিলেন৷ কিন্তু ভালবাসা ফিরিয়ে নিয়েছেন৷ দেশ, সমাজ বাঁচাতে পারে বামপম্হীরাই৷ সমাজে আলোড়ন হতে থাকবে অথচ বামপম্হীরা বসে থাকবেন, এমন হলে বামপম্হীরা অপাঙ্ক্তেয় হয়ে যাবে৷ বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হবে৷ ছুটকো-ছাটকা আন্দোলন দিয়ে কিছু হবে না৷ সংগঠিত বামপম্হী আন্দোলন ছাড়া দেশের মুক্তি নেই৷ আমাদের বহু বিভক্ত সমাজ৷ বর্ণ, শ্রেণী, বর্গ, বিভাগ আছে৷ এই সমাজে মুক্তি, প্রগতি আনতে সংগঠিত বামশক্তি প্রয়োজন৷ মাথা উঁচু করে সংগঠন তৈরি করতে হবে৷ মানুষদের বোঝাতে হবে৷ সবাইকে নিয়ে চলতে হবে৷ সাম্প্রদায়িক শক্তির বিপদ নিয়ে সতর্ক করেন তিনি৷ তাঁরা কথায়, অনেকে সাম্প্রদায়িক শক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ছে৷ সাম্প্রদায়িক শক্তি রাজ্যে ঠাঁই পেলে আমাদের রক্ষে নেই৷ সাম্প্রদায়িক প্রতিশক্তির জন্ম দেবে৷ তৈরি হবে অস্হিরতা নৈরাজ্য৷ তিনি বলেন, ২০ বছরে সংগঠিত শিল্পে কর্মসংস্হান বাড়েনি বরং কমেছে৷ গুণী মানুষকে সব জায়গায় বসাতে পারছি কি না, তাঁদের কাছ থেকে পাঠ নিতে পারছি কি না, এটাই শিক্ষা৷
দীপংকর গৌতম যাদবপুর ঘটনার যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন,সেটা পড়লেই পুলিশের ভূমিকা বোঝা যায়ঃ
জাহাঙ্গীর নগর কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না এবার ছাত্র আন্দোলন ভিত কাঁপিয়ে দিচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত 'হোক কলরব' ছাত্রআন্দোলন । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় ভারতের কলকাতা শহরের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু ছাত্রের বিরুদ্ধে তার উপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনলে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সেই অভিযোগের যথাযথ মর্যাদা দেননি বলে জানা যায়। কতৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার নিরপেক্ষ বিচারের দাবি নিয়ে প্রতিবাদে এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রছাত্রী। এরপর তাদের এই ধারাবাহিক বিক্ষোভ ও অবস্থানের খবর ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায়, যেখানে প্রতিবাদজনিত যাবতীয় সংবাদ পর্যায়ক্রমিক ভাবে সম্প্রচারিত হতে থাকে #হোককলরব (#hokkolorob) হ্যাশট্যাগের সাথে। সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ঘটতে থাকা ধারাবাহিক বিক্ষোভের পরও সমঝোতার সিদ্ধান্তে না-পৌঁছনো গেলে উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু অধ্যাপককে ঘেরাও করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের দল।
১৭ তারিখ মধ্যরাত্রে এই বিক্ষোভ সামলানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে পুলিশের দল আসে এবং নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের উপর। পুলিশের লাঠিচার্জের সাথে সাথে তৃণমুল কংগ্রেসের কর্মচারীরাও ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্র দের গায়ে হাত তোলেন বলে জানা যায়। সংঘর্ষে গুরুতর ভাবে জখম হন ৪০ জন ছাত্র, সাথে গ্রেপ্তার করা হয় ৩৭ ছাত্রকে। এই ঘটনা সংবাদমাধ্যম এবং সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হলে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিবাদ সংক্রামিত হতে থাকে কলকাতার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। আন্দোলনে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে দিল্লি, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, বেংগালুরু সহ ভারতের বিভিন্ন শহরের আপামর ছাত্রসমাজ।আন্দোলনের ঢেউ এমনকি ছড়াতে থাকে দেশের বাইরেও। অচিরেই হোক কলরব শব্দবন্ধটি হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী এক ছাত্র আন্দোলনের মুখে মুখে ফেরা স্লোগান। ১৭ তারিখের পর থেকেই ধারাবাহিক ভাবে নানান মিছিল সংগঠিত হতে থাকে কোলকাতা শহরে, তা বিপুল আকার নেয় ২০ সেপ্টেম্বরের মহামিছিলে। ঐদিন দুপুর ২'টোয় নন্দন থেকে যে মিছিলটি বেরোয় তাতে হাঁটতে দেখা যায় অসংখ্য মানুষকে, কোলকাতা শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, মিছিলে ওদের সমর্থনে পা মেলান নানা বয়সের ও নানা পেশার মানুষও। মিছিলের শেষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের প্রতিনিধিদল দল যখন দেখা করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠির সাথে, বাকিরা তখন অবস্থানে বসেন কলকাতার মেয়ো রোডে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কতৃক প্রচারিত পরিসংখ্যান গুলি থেকে অনুমান করা যায় ঐদিনে মিছিলের জনসমুদ্রে ছিলেন ত্রিশ হাজার থেকে এক লক্ষ মানুষ। বিক্ষুব্ধ মানুষের জোট ঐদিন একসাথে দাবি জানিয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে লাঠিচার্জের মত ঘটনার প্রতিবাদে তার যোগ্য বিচার হিসেবে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর পদত্যাগ এবং নির্যাতিতা মেয়েটির শ্লীলতাহানির উপযুক্ত নিরপেক্ষ তদন্ত জন্য।
এই আন্দোলনের মূল ধারা কোনও রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত নয়। লক্ষ্য করার মত বিষয় হল এই যে আন্দোলনের ধারায়, প্রথম দিন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের তৈরি অগণিত গান, ছড়া, কবিতা, পথনাটিকাই ছিল এই আন্দোলনের প্রধান হাতিয়ার। স্বভাবতই এই আন্দোলনের সাথে বারংবার তুলনা টানা হয়েছে সত্তরের দশকের ছাত্র আন্দোলনগুলির। সোস্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য অনলাইল কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান অবশ্য ইতিপূর্বে ভারতে খুব বিশেষ দেখা যায়নি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই ছাত্রদের ধারাবাহিক বিক্ষোভ সামান্য কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যব্যাপী এক ছাত্র অভ্যুত্থানের চেহারা নেয়। রাজ্যের বিভিন্ন ছোট-বড় স্কুল কলেজ তো বটেই আন্দোলনে অংশ নেয় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, ইংলিশ আণ্ড ফরেন ল্যাঙ্গোয়েজ ইউনিভার্সিটি, আই আই টি বম্বে, প্রমুখ জাতীয় স্ততরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও। আন্দোলন ক্রমশই দানা বাঁধতে থাকলে পাশে এসে দাঁড়ায় বিদেশের বহু স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছাত্রছাত্রীদের দল।এ ধরনের আন্দোলন করতে করতে আমরা অভ্যস্ত। পুলিম বা বিশেষ বাহিনী দিয়ে লাঠিপেটা করা , জেল -হাজতে নেয়া বা প্রচার করা যে এটা বহিরাগত ছাত্রদের সরকার বিরোধী কার্যকলাপ।তাই দলন পীড়ন চলবে।ভিসিশীঢতের দিনের ছাগলের জলবিমুখ খামি দিয়ে বলবেন-তিনি পদত্যাগ করবেন না।রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীনদের কোলে কোলে ঘুরবেন আর ময়না পাখির মতো শিখিয়ে দেয়া বুলি বলবেন- এই হলো ঘটনার ঘনঘটা।২০০৩ সালের ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে পুলিশ ঢুকে ছাত্রীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করলে আমরা গর্জে উঠেছিলাম।সবকিছুর পরে ভিসি আনোয়ারউল্লাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিলো।ক্ষমা চাইতে হয়েছিলো প্রশাসনকে। যাদবপুরের সংগ্রামী বন্ধুরা ,এখানেও তাই ঘটবে।পিছুহটার বা হানোর কিছু নেই। আপনাদের জয় সুনিশ্চিত।বাংলাদেশ থেকে আমরা আপনাদের আন্দোলনে সংহতি জানাই।
- See more at: http://www.bengalinews24.com/selecter-news-very-popular-scoop-exclusive-news/2014/09/25/64260#sthash.Gnr8HWJ0.dpuf
আইতে যাইতে বারো আনা
কলা,কিচ্ছু উসুল হইব না
কোলকাতা হাইকোর্ট পুরনো একটি খুনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই তদন্তের নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে এই মামলায় এ পর্যন্ত যেসব তদন্ত হয়েছে সে সম্পর্কেও তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত। রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই আদেশের স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করলেও আদালতের বিচারপতি তা খারিজ করে দেন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বীরভুম জেলার পাড়ুইয়ে খুন হন সাগর ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। এরপর সঠিক তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। আজ সেই মামলার রায় দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। এর আগে পুলিশি তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে গত ২৪ ডিসেম্বর সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জিব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে এই মামলা বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাশে এলে সিআইডি তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করেন বিচারপতি দত্ত। এর পরেই গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ডিজি’র নেতৃত্বে ‘সিট’ গঠন করে দেন তিনি। দু’মাস বাদে এদের তদন্তেও অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। গত জুন মাসে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে সরে যান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সবশেষে মামলা যায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাশে।
সিট- এর তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, ডিজি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। রাজনৈতিক কারণে একপেশে তদন্ত করেছে সিট। বীরভূমের দুই নেতার (তৃণমূল দলের) ভুমিকা কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি। একই সাথে বিচারপতির মন্তব্য- মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মন্ডলের বয়ান রেকর্ড করেন নি বিশেষ তদন্তকারী দল। অনুব্রতের উস্কানিমূলক মন্তব্যকেও রিপোর্টে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল আজ বলেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, তদন্তে সব রকমভাবে সাহায্য করা হবে।
কলকাতা হাইকোর্টে তাপস পাল মামলার রায় দিলেন তৃতীয় বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন তিনি। তবে আদালতের নজরদারি চলবে না এই তদন্তে। দুই বিচারপতির রায়কে পর্যবেক্ষণ করে আংশিক কিছু পরিবর্তন ছাড়া বজায় রইল বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের রায়।
ডিভিশন বেঞ্চে মতভেদ হওয়ায় ওই মামলা যায় বিচারপতি নিশীথা মাত্রের সিঙ্গল বেঞ্চে। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের কোনও একটি সিদ্ধান্তকে বেছে নিতে পারেন। তবে রেফারি বিচারপতি হিসেবে তিনি আদৌ কী নতুন করে কোনওসিদ্ধান্ত নিতে পারেন ? শুনানির সময় এপ্রশ্ন নিজেই তোলেন বিচারপতি নিশীথা মাত্রে।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরেও নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলা গড়ায় তৃতীয় বিচারপতি ঘরে।উস্কানিমূলক এই মন্তব্যের জেরে ২৩ শে জুলাই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি শুরু হয়। ২৮ শে জুলাই বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তাপস পালের বিরুদ্ধে আদালতের নজরদারিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিসকে এফআইআর দায়ের করা নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একদিন পরই বিচাপরতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত ও তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য। আপিল করেন তাপস পালও। পয়লা অগাস্ট ওই মামলার শুনানি শেষ হয়।
১৩ অগাষ্ট মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে দুই বিচারপতির মতপার্থক্য তৈরি হয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী সিঙ্গলবেঞ্চের রায় বহাল রাখলেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দেন বিচাপরতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত।
মতপার্থক্য তৈরি হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ঘরে। মামলা শুরুর পরই তাপস পালের বিরুদ্ধে এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন তিনি। তৃতীয় বিচারপতির ঘরে মামলা চলাকালীনই সরকারের তরফে জানানো হয়, সিআইডি তদন্তে তাদের কোনও আপত্তি নেই। শুনানির সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য বিচারপতি নিশীথা মাত্রে একাধিকবার কাঠগড়ায় তোলেন তাপস পালকে। পুলিস ও সরকারের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা শোনা যায় বিচারপতির গলায়। তাপস পালকে সরকার আড়াল করছে বলেও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
No comments:
Post a Comment