মহালয়ের আগেই বিসর্জনের বাজনা, মগের মল্লুক তাই দিতেই হবে খাজনা
যাদবপুর: পাঁচদিনের জন্য বিশ্রামে যাচ্ছেন উপাচার্য
কবি বন্ধু হিন্দোলের কথায় প্রতিধ্বনিত হোক,প্রতিরোধ তোমায় সেলাম
ওপার বাংলা এপার বাংলা নৈরাজ্যের অন্ধকারে একাকার আজ,সীমানা পেরিয়ে হিংসা,সন্ত্রাস,সাঁঢ় সংস্ক-তিক লীলাক্ষেত্র ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র রানীতিতে মগের মুলুক
এপার বাংলার দাদা দিদিরা ওপারবাংলার সন্ত্রীসিদের লজ্জিত করছে আজকাল সবই সারদা মার অহন্কার অলন্কার
আমাদের লজ্জা
আমাদের নপুংসত্ব
আমাদের নারিত্বর চরম অবমানা
সভ্যতার আদিম অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রগতিশীল বৌদ্ধ ঐতিহ্যর আলোকিত বাংলা বাংলা দেশ
পলাশ বিশ্বাস
মহালয়ের আগেই বিসর্জনের বাজনা, মগের মল্লুক তাই দিতেই হবে খাজনা
ময়ুখ ব্যানার্জির মন্তব্য আমিও সহমতঃ
শিক্ষামন্ত্রীর মতে, VC হলেন বাড়ির মালিক!
সেই হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী কি রাজ্যের মালিক!
শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করছি এই কারনে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। অশিক্ষিত শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারা এর সর্বনাশ হতে দেওয়া চলবে না।
যাদবপুর: পাঁচদিনের জন্য বিশ্রামে যাচ্ছেন উপাচার্য
ওপার বাংলা এপার বাংলা নৈরাজ্যের অন্ধকারে একাকার আজ,সীমানা পেরিয়ে হিংসা,সন্ত্রাস,সাঁঢ় সংস্ক-তিক লীলাক্ষেত্র ধর্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র রানীতিতে মগের মুলুক
এপার বাংলার দাদা দিদিরা ওপারবাংলার সন্ত্রীসিদের লজ্জিত করছে আজকাল সবই সারদা মার অহন্কার অলন্কার
আমাদের লজ্জা
আমাদের নপুংসত্ব
আমাদের নারিত্বর চরম অবমানা
সভ্যতার আদিম অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রগতিশীল বৌদ্ধ ঐতিহ্যর আলোকিত বাংলা বাংলা দেশ
আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৪ বামপম্হী সংগঠন৷ বুধবার এস এফ আইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মধুজা সেনরায় এই নজিরবিহীন ঘটনার নিন্দা করেন৷ তাঁর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে শ্লীলতাহানির ঘটনাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমরা আচার্যের হস্তক্ষেপ দাবি করেছি৷ এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না৷ শিক্ষামন্ত্রী এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মম্তব্য করেছেন, ছাত্রদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক৷ আমার শিক্ষামন্ত্রীর মম্তব্যের বিরোধিতা করছি৷ শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের মম্তব্য মোটেই কাম্য নয়৷ এই মম্তব্য করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত৷ পাশাপাশি আমরা দাবি জানিয়েছি, মঙ্গলবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত যে দুষ্কৃতীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায় তাদের শাস্তি দেওয়া হোক৷ যারা নিজেদের পুলিস পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের প্রমাণ করতে হবে, তারা আসলে পুলিস কিনা৷ বৃহস্পতিবার ঢাকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ধিক্কার মিছিল বের হবে৷ মিছিলে পা মেলাবেন ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক-সহ বিভিন্ন মহলের মানুষ৷ এদিন যাদবপুর বাসস্ট্যান্ডে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে৷
দিল্লিতেও
বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের প্রতি সংহতি জানাতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ফেডারেশন এক সমাবেশের আয়োজন করে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি হামলার ঘটনায় দিল্লিতেও সরব ছাত্ররা৷ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জিকো দাশগুপ্তর অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডা ও পুলিস সঙঘবদ্ধভাবে যে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে যাদবপুরের ছাত্রদের ওপর, তার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ তিনি জানান, সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়৷
আজকালের প্রতিবেদন: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিসের আচরণে গন্ডগোল থাকলে দেখব৷’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বুধবার এ কথা বলেন৷ এদিকে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুলিসের আরও একটু ধৈর্য দেখানো উচিত ছিল৷’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রী রাজভবনে যান, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন৷ তিনি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন৷ তিনি বলেছেন, ‘ছাত্ররা যে ধারাবাহিকভাবে ঘেরাও করে চলেছে তা নিন্দনীয়, তারা উপাচার্যকে কটূ কথা বলছে৷ আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ-সব সমর্থন করি না৷ ঘেরাও বেআইনি৷ তাই ঘেরাও চলবে না৷ আমরা চাই, ছাত্ররা ছাত্রদের মতো আচরণ করুক৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা নিয়ে ছাত্ররা থানায় অভিযোগ জানিয়েছে৷ কিন্তু আমার কাছে কোনও অভিযোগ করেনি৷ আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি তা খতিয়ে দেখব৷ পুলিসের আচরণ কেমন ছিল তা-ও দেখা হবে৷ আমাদের কাছে গোটা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে৷’ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কথা হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী তাঁকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন৷ ‘ইতিমধ্যেই উপাচার্যকে বলেছি সব ঘটনার লিখিত বিবরণ দিন৷ উপাচার্যের স্বাস্হ্যের খোঁজ নিয়েছি৷ তিনি সুস্হ হলে রিপোর্ট দেবেন৷ ছাত্ররা শ্লীলতাহানির ঘটনার কোনও তদম্ত চায়নি৷ আমরাই তদম্তের নির্দেশ দিয়েছি৷ সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তদম্ত হচ্ছে৷ আবারও বলছি, ছাত্রদের ঘেরাও কোনও প্রত্যুক্তর হতে পারে না৷ কয়েকদিন আগে উপাচার্য ও অধ্যাপকদের যেভাবে প্রায় ঘরবন্দী করে রাখা হয়েছিল তাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বাড়েনি৷ রাজ্যপালের কাছে এ-সব কথাই জানিয়েছি৷’ এদিকে এ বিষয় নিয়ে ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও শিক্ষামন্ত্রীর কথা হয়েছে৷ ফিরহাদ হাকিমও শিক্ষামন্ত্রীকে উপাচার্যের কাছে রিপোর্ট চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন৷ তিনি পুলিসের সমালোচনা করে বলেছেন, পুলিসের আরও ধৈর্য দেখানো উচিত ছিল৷
| ||
আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ওপর পুলিস ও বহিরাগতদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাল পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন৷ বুধবার ৫ সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান৷ এই ঘটনার নিন্দা জানান৷ পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন নীলাঞ্জন গুহরায়, আবদুল কাফি, গৌতম গুপ্ত, নন্দিনী মুখার্জি ও দীপকেশ৷ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রুতিনাথ প্রহরাজ জানান, পড়ুয়াদের ওপর নৃশংসভাবে হামলার প্রতিবাদে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক সমিতির ডাকে ধিক্কার মিছিলে সামিল হবেন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষাবিদ, পড়ুয়া ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ৷ ওই দিন বিকেল ৪টেয় ঢাকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যম্ত মিছিল করা হবে৷ যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডেই একটি প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন৷ এই ঘটনার যথাযথ তদম্ত এবং দোষীদের দৃষ্টাম্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ঘটনায় আচার্যের হস্তক্ষেপও দাবি করা হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন হেনস্হার প্রতিবাদ এবং তদম্ত কমিটির দুই সদস্যকে অপসারণের দাবিতে উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা৷ সন্ধের পর তাদের ঘেরাও তোলার জন্য একদল বহিরাগত দুষ্কৃতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালায়৷
আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝরাতে পুলিসের লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল রাজ্যের ডান, বাম-সহ বিরোধী দলগুলি৷ রাজ্যপাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বি জে পি নেতারা৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান৷ সেখানেই রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, অন্ধকারের জীবরা বেরিয়ে পড়েছে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তা ফের একবার প্রমাণিত৷ যাদবপুরের আহত ছাত্রছাত্রীদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে একথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ডা৷ সূর্যকাম্ত মিশ্র৷ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্ধকার আকাশ থেকে আসেনি৷ ইচ্ছে করে আলো নিভিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মারা হয়েছে৷ রাজ্যে অন্ধকারের রাজত্ব চলছে, তাই অন্ধকারের জীবরা বেরিয়ে পড়েছে বলে তিনি মম্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, পুরুষ পুলিসরাই মহিলাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে দিয়েছে৷ এর থেকে লজ্জার আর কিছুই হতে পারে না৷ উপাচার্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই উপাচার্যের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না৷ আচার্য রাজ্যপাল একবার এই উপাচার্যের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিলেন৷ তারপরও সরকার এই উপাচার্যকেই নিয়োগ করেছে৷ এখন বোঝা যাচ্ছে আই আই টি থেকে যে অধ্যাপক এসেছিলেন তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, যাতে এই উপাচার্যকে ফিরিয়ে আনা যায়৷ বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে গেলেই মঙ্গল হয়৷ তিনি জানান, এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পেছনে উপাচার্য, পুলিস, শাসকদল, সরকার একসঙ্গে রয়েছে৷ সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তী এদিন বলেছেন, ছাত্রছাত্রীরা তো গণটোকাটুকির দাবিতে বা উপাচার্যকে নিগ্রহ করার জন্য আন্দোলন করছিল না৷ তাঁরা ন্যায্য একটি দাবিতে, এক ছাত্রীর নিগ্রহের প্রতিবাদে কিছু দাবিদাওয়া পেশ করছিল৷ এতে একেবারে পুলিস ডাকতে হল? আই এন টি ইউ সি নেতা রমেন পান্ডে বলেন, আমরা সারাবছর শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করি৷ কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তাতে চুপ করে থাকা যাচ্ছে না৷ আমরা এর প্রতিবাদে ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে তার পাশে আছি৷ বামফ্রন্টের সমস্ত শরিকদল এদিন তীব্র নিন্দা করেছে এই ঘটনার৷ চেয়ারম্যান বিমান বসু সাংবাদিকদের বলেছেন, রাতে আলো নিভিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পুলিস এসে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের মারধর করছে! এমন ঘটনা অতীতে ঘটেছে বলে মনে করতে পারছি না৷ উত্তাল দিনে ছাত্র আন্দোলন করা বিমান বসু এদিন বলেন, আমরাও আন্দোলন করেছি৷ কংগ্রেস আমলে ক্যাম্পাসে পুলিস ঢোকার ঘটনা ঘটলেও এভাবে মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করতে পারছি না৷ ছাত্রছাত্রীরা তো উপাচার্যের সম্তানসম৷ তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলতন্ত্র কায়েম করার ফল এই ঘটনা৷ নির্বাচিত সমস্ত সংস্হার ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে মনোনীতদের প্রাধান্য দিয়েছে এই সরকার৷ সে জন্যই একজন উপাচার্য তাঁর সম্তানসম ছাত্রছাত্রীদের ওপর এমন করতে পেরেছেন৷ তাদের এভাবে পুলিস দিয়ে মার খাওয়ানো যায়? তাঁর প্রশ্ন, ২৮ আগস্ট এই আন্দোলন শুরু হয়েছে বলে জানি৷ আজ ১৭ সেপ্টেম্বর৷ ছাত্রদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন এতদিন ধরে চলছে কেন? কর্তৃপক্ষ কী করছিল? সমস্যা তো আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যায়৷ ছাত্ররা কী এমন দাবিতে আন্দোলন করছিল? আসলে এটা শিক্ষায় দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠারই ফল৷ তিনি বলেন, নিন্দা জানানো ছাড়া আর কোনও কোনও ভাষা আসে না মুখে৷ বিমান বসুর আবেদন, ছাত্র-যুব সংগঠনের সমস্ত সদস্য তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হোন৷ আমাদের সমর্থন থাকবে৷ বি জে পি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করি৷ ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের সম্মান নষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল৷ তাঁর অভিযোগ, বহিরাগতদের পাঠিয়ে পুলিসের সঙ্গে হামলা চালানো হয়েছে৷ উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন তিনি৷ সি পি আই (এম এল) লিবারেশন রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, অবিলম্বে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া উচিত৷ রাজ্য সরকারটা কীভাবে চলছে, তা এই ঘটনা দেখে বোঝা যাচ্ছে৷ এদিন যাদবপুর নিয়ে তীব্র আন্দোলনের নির্দেশ দেন বিমান বসু৷ বুধবার আলিমুদ্দিনে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের দিন ছিল না, তবু মদন ঘোষ ও অন্যদের ডেকে নেন বিমানবাবু৷ ডাকেন যাদবপুরের প্রাক্তনী, বর্তমানে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী, আরেক প্রাক্তনী শমীক লাহিড়ীকে৷ আলোচনার পরই অন্য দুই বাম ছাত্র সংগঠন পি এস ইউ এবং এ আই এস এফের সঙ্গে ডি এস ও-কে সঙ্গে নিয়ে টানা ক্লাস বয়কটের ডাক দেওয়া হয়৷ ঠিক হয়েছে ছাত্রদের এই আন্দোলনকে অন্যদের নিয়ে বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে৷ কিন্তু এতে সাধারণ ছাত্রদের অভিমত নিতে আজ বিকেলে আবার ছাত্র সভার বৈঠক ডাকা হয়েছে৷ জুটার বামপম্হী অধ্যাপক নেতৃত্বকেও সক্রিয় করা হয়েছে৷ এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, শুধু যাদবপুরে নয়, গোটা বাংলা জুড়েই সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে৷ শিক্ষা ব্যবস্হায় নৈরাজ্য চলছে৷ আইন নেই, শৃঙ্খলা নেই৷ পুলিসের অস্তিত্ব নেই৷ সবাই সারদা নিয়েই ব্যস্ত৷ সারদা-কাণ্ড থেকে বাঁচতে মন্ত্রীরা প্রতিদিনই হয় দক্ষিণেশ্বর, নয় কালীঘাটে যাচ্ছেন৷ নকশালপম্হী নেতা অসীম চ্যাটার্জি বলেন, এই আন্দোলন সারা বাংলার ছাত্রদের আন্দোলন৷ এখান থেকেই তৃণমূল সরকারের শেষের শুরু হয়েছে৷ উপাচার্য তৃণমূলের ক্যাডারের মতো ব্যবহার করছেন৷ রাতের অন্ধকারে পুলিসকে ডেকে তিনি যা করেছেন, ইতিহাসে তার নজির নেই৷ সি পি এম সাংসদ, এস এফ আই সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী সর্বত্র অত্যাচার চালাচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসও বাদ যাচ্ছে না৷ এর প্রতিবাদে আন্দোলন করতেই হবে৷ সরকার যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই প্রতিবাদ করতে হবে৷ এস ইউ সি-র রাজ্য কমিটির সম্পাদক সৌমেন বসু এই ঘটনার নিন্দা করেছেন৷ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পুলিসের এই আচরণ গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চূড়াম্ত পরিপম্হী৷ স্বাধীনতার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন৷ স্বাধীনতার পরেও ছাত্র আন্দোলন হয়েছে৷ কিন্তু পুলিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাঁদের মারধর করবে সেটা ভাবাই যেত না৷ কিন্তু গত এক দশকে বার বার পুলিস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে মারধর করেছে৷ ২০০৫-এও ফ্রন্ট সরকারের সময় একই ঘটনা ঘটেছিল৷ বন্দীমুক্তি কমিটির পক্ষে ছোটন দাস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন৷
টিভির খবরে প্রকাশঃ
পুলিসি তাণ্ডবের পর এ বার অচলাবস্থার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাঁচ দিনের জন্য বিশ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সবকটি বাম ছাত্র সংগঠন। অধ্যাপকদের বড় অংশ ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। ছাত্রদের সুরে সুর মিলিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। রাতভর পুলিসের তাণ্ডব চলল তাঁদের ওপর। প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের রাস্তায় ছাত্রছাত্রীরা। শুধু ক্লাস বয়কটই নয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। কারণ, উপাচার্যই ক্যাম্পাসে পুলিস ডেকে আনেন।
খোদ উপাচার্য টের পাচ্ছেন এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আপাতত বিশ্রামে যাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারায় পরিষ্কার সেখানে আর যাই হোক পড়াশোনা বা গবেষণার অবস্থা নেই। বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিস অরবিন্দ ভবনে ছিল তালা। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার কেউই আসেননি। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে সারাদিন ছাত্রছাত্রীদের মিছিল, স্লোগানে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।
বুধবার সারাদিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ক্লাস হয়নি। এ দিন আহত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান যাদবপুরের অধ্যাপকরা। ভোররাত থেকে ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে যাদবপুর থানা ঘেরাও করেন। বিকেলে এইট বি বাসস্ট্যান্ডে পথ অবরোধ করে এসএফআই। যাদবপুর থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কবে আবার দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিরোপা পাওয়া যাদবপুরে পড়াশোনা শুরু হবে তার উত্তর জানা নেই কারও।
আজকালের প্রতিবেদন: গভীর রাতে ছাত্রদের হাতে উপাচার্য-সহ কার্যকরী কমিটির সদস্যদের ঘেরাও নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে৷ মঙ্গলবার রাত আড়াইটে নাগাদ বিশাল পুলিস বাহিনী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এই সময় অরবিন্দ ভবনের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ উর্দি পরা এবং উর্দিবিহীন পুলিসকর্মীরা লাঠি দিয়ে এবং হাত দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রছাত্রীদের বলেও আন্দোলনকারীদের অভিযোগ৷ শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের টেনে-হিঁচড়ে ভবনের দরজার সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷ ছাত্রীদের জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেন পুলিসকর্মীরা৷ তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে৷ গোটা ঘটনায় ওই রাতেই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে৷ তার জের চলে বুধবার দিনভর৷ এই ঘটনায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়৷ তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হযেছে৷ আশঙ্কাজনক দু’জনের চিকিৎসা চলছে৷ পুলিস ৩৭ জন ছাত্রছাত্রীকে মঙ্গলবার রাতেই আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায়৷ অন্যদিকে ১১ জন পুলিসকর্মী এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে৷ এরপরই উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী-সহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা ঘেরাওমুক্ত হন৷ তাঁদের পুলিসি পাহারায় রাতেই গাড়িতে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী এদিন জানান, বাধ্য হয়েই তিনি পুলিসকে বিষয়টি জানিয়ে ছিলেন৷ ঘেরাওমুক্ত হতে চেয়েছিলেন৷ অভিজিৎবাবু বলেন, এরকম আমি কোথাও দেখিনি৷ ছাত্রছাত্রীরাই লাইট ভেঙ্গেছে৷ পুলিসকে মারতে দেখিনি৷ মহিলা পুলিস ছিল কিনা জানি না৷ তবে আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনিয়ে নোআর চেষ্টা করছিল৷ প্রাণ সংশয় হতে পারত৷ এই ঘটনায় তিনি অসুস্হ বোধ করায় আগামী কয়েকদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন না বলেও জানা গেছে৷ ছুটিতে থাকবেন৷
এদিকে, রাতের অন্ধকারে এভাবে পুলিসি অভিযানের প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীর ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷ কাকভোরেই তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছেড়ে যাদবপুর থানার সামনে গিয়ে অবস্হান বিক্ষোভ ও পথ-অবরোধ শুরু করেন৷ ধৃত ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং উপাচার্য-সহ দুই পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দাবিতে এই অবরোধ ও অবস্হান চলতে থাকে৷ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিস অভিযোগ নেওয়ার পর এবং ধৃত ছাত্রছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হলে অবরোধ ওঠে৷ সকাল ১২টা নাগাদ লালবাজার থেকে ছাত্রছাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়৷ এদিকে, ছাত্রছাত্রীদের ওপর এই ধরনের পুলিসি অভিযানের কথা ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রচুর মানুষজন এসে জড়ো হতে থাকেন৷ সকালেই নকশাল নেতা অসীম চ্যাটার্জি এবং সি পি এম নেত্রী নন্দিনী মুখার্জি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন৷ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যান৷ ঘটনার খবর করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং চিত্রগ্রাহকরাও আক্রাম্ত হয়েছেন৷ তাঁদেরও এই অভিযানের ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রচার করতে নিষেধ করেন পুলিসকর্মীরা বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে তোলপাড় শুরু হয়৷ রবীন্দ্রভারতী, প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংগঠনগুলি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছেন বলে সম্মতি জানান৷ ঘটনার প্রতিবাদে এস এফ আইয়ের পক্ষ থেকে বুধবার দুপুরে যাদবপুরে পথ-অবরোধ করা হয়৷ ডি এস ও এবং ছাত্র পরিষদ যাদবপুর থানায় ডেপুটেশন দেয়৷ অধ্যাপক সংগঠন জুটার প্রতিনিধিরাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন৷ তাঁরা আক্রাম্ত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান৷ ছাত্রদের ওপর এই জঘন্য কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকাম্ত মিশ্রও৷ তিনিও যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান৷ ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেন, যেভাবে তাঁদের শাম্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিসি অভিযান চালানো হয়েছে, তা নজিরবিহীন৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই নজির নেই৷ ২০০৫ সালের জুন মাসেও ছাত্রদের আন্দোলন হটাতে পুলিস ঢুকেছিল৷ তবে সেবার এমন অবস্হা হয়নি৷ এবার যেভাবে পুলিস নৃশংস ব্যবহার করেছে তা অকল্পনীয়৷ পর্যাপ্ত মহিলা পুলিস ছাড়াই ছাত্রীদের হটাতে পুরুষ পুলিসকর্মীরা তাঁদের গায়ে হাত দেয়৷ তাঁদের শ্লীলতাহানি করে৷ ছাত্রছাত্রীদের মতে, সব থেকে বড় কথা উপাচার্য নিজে পুলিস ডেকে এনে ছাত্রছাত্রীদের ওপর এই অভিযান চালিয়েছেন৷ তাই তাঁরা উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী, সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্ত এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ দাবি করেন৷ পাশাপাশি তাঁরা বুধবার বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘটনার প্রতিবাদে বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন৷ এই মিছিলে সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন৷ অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিল্পী সমীর আইচ, অভিনেতা কৌশিক সেন প্রমুখ বিশিষ্টজন পা মেলান৷
আমায় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, দাবি উপাচার্যর, পড়ুয়াদের দুষলেন শিক্ষামন্ত্রীও
ওয়েব ডেস্ক,এবিপি আনন্দ
Wednesday, 17 September 2014 02:05 PM
শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি! বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবে একাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হওয়ার পরও, পুলিশের পাশে উপাচার্য! সমস্ত ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়া প্রমাণের তোয়াক্কা না করেই বলে দিলেন, পুলিশ মারেনি, ছাত্রছাত্রীরাই পুলিশকে মেরেছে। এমনকি তিনি বললেন, পুলিশ আলো বন্ধ করেনি, ছাত্ররাই আলো নিভিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও দাহি করেছেন, যে উন্মত্ত তাণ্ডব তিনি দেখেছেন তা আর কখনও দেখেননি। এমনকি পুলিশ প্রহরায় যাওয়ার সময় পড়ুয়ারা তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। উপাচার্যের দাবি বানানো বলে পাল্টা দাবি করেন আহত ছাত্র প্রসেনজিৎ মণ্ডল। কিন্তু উপাচার্য যখন পুলিশের পাশে, তখন তাঁর পাশে রাজ্য সরকার! শিক্ষামন্ত্রী শুধু ঘেরাওয়ের নিন্দা ছাড়া পুলিশের তাণ্ডব নিয়ে একটি শব্দও ব্যবহার করেননি।
বিরোধীদের দাবি, এটা আসলে কিছু নয়, পারষ্পরিক দেওয়া-নেওয়া। আসলে পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্য বাঁচাতে চাইছেন শাসক দলকে। কারণ, পুলিশ মধ্যরাতে পড়ুয়াদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালানোয় ইতিমধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর তাই রাজ্য সরকারকে আড়াল করতে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘাড়েও দোষ চাপাতে দ্বিধা করছেন না উপাচার্য। আর এমন আনুগত্যের পর কি আর তাঁর পাশে না দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী! কটাক্ষ করে বলছেন বিরোধীরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধৃত ৩৬ আন্দোলনকারীকে জামিনে মুক্তি,তাঁদের মধ্যে একজন ছাত্রীও ছিলেন
... আরও»
ছাত্রদের অবস্থান-বিক্ষোভে লাঠি চালিয়ে মধ্যরাতে পুলিশের তাণ্ডব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, আহত ৩০
আলো নিভিয়ে ছাত্র পেটাল পুলিশ৷ কেড়ে, ভেঙে দেওয়া হল এবিপি আনন্দের ক্যামেরা৷ ছবি মুছে দিতে হুমকি৷ আক্রমণের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? উঠছে প্রশ্ন ... আরও»
সারদাকাণ্ডে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে পথে নামল বামেরা
সারদা নিয়ে রাস্তায় নেমে ক্রমেই সুর চড়াচ্ছে বামেরা৷ প্রভাবশালীদের গ্রেফতারের দাবিতে শহরে করা হচ্ছে মহামিছিল৷ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে পুলিশের বিরুদ্ধে গেটে তালা দিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বামেরা৷ এমনকি, সিবিআই ... আরও»
পুলিসি তাণ্ডবের পর এ বার অচলাবস্থার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। পাঁচ দিনের জন্য বিশ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সবকটি বাম ছাত্র সংগঠন। অধ্যাপকদের বড় অংশ ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। ছাত্রদের সুরে সুর মিলিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। রাতভর পুলিসের তাণ্ডব চলল তাঁদের ওপর। প্রতিবাদে ক্লাস বয়কটের রাস্তায় ছাত্রছাত্রীরা। শুধু ক্লাস বয়কটই নয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন যাদবপুরের পড়ুয়ারা। কারণ, উপাচার্যই ক্যাম্পাসে পুলিস ডেকে আনেন।
খোদ উপাচার্য টের পাচ্ছেন এই মুহূর্তে তাঁর পক্ষে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আপাতত বিশ্রামে যাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারায় পরিষ্কার সেখানে আর যাই হোক পড়াশোনা বা গবেষণার অবস্থা নেই। বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অফিস অরবিন্দ ভবনে ছিল তালা। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার কেউই আসেননি। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে সারাদিন ছাত্রছাত্রীদের মিছিল, স্লোগানে উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস।
বুধবার সারাদিনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ক্লাস হয়নি। এ দিন আহত ছাত্রদের দেখতে হাসপাতালে যান যাদবপুরের অধ্যাপকরা। ভোররাত থেকে ছাত্রছাত্রীরা সহপাঠীদের মুক্তির দাবিতে যাদবপুর থানা ঘেরাও করেন। বিকেলে এইট বি বাসস্ট্যান্ডে পথ অবরোধ করে এসএফআই। যাদবপুর থেকে গোলপার্ক পর্যন্ত মিছিল করেন ছাত্রছাত্রীরা। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে কবে আবার দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিরোপা পাওয়া যাদবপুরে পড়াশোনা শুরু হবে তার উত্তর জানা নেই কারও।
ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল যাদবপুর, শান্তিপূর্ণ অবস্থান 'সামলাতে' উপাচার্যের আহ্বানে বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরল পুলিস
যাদবপুর ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে চোখ জনকন্ঠে ভেসে থাকা বাংলাদেশেঃ
সাঈদীর ফাঁসি থেকে ॥ আমৃত্যু কারাদণ্ড
০ আপীল বিভাগের রায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে
০ রায়ে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড, ৮ নম্বরের একাংশের জন্য ১২ ও ৭ নম্বরের জন্য ১০ বছর জেল
০ যুদ্ধাপরাধের ২০ অভিযোগের পাঁচটি প্রমাণিত
আরাফাত মুন্না ॥ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও চূড়ান্ত রায়ে একাত্তরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ‘দেইল্লা রাজাকার’ খ্যাত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট। বুধবার প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপীল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা, বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম . . .
ধর্ষণ হত্যা ধর্মান্তরের অভিযোগ সুপ্রীম কোর্টেও প্রমাণিত
সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড আপীল বিভাগের চূড়ান্ত রায়ে
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। নামের আগে ‘আল্লামা,’ ‘মাওলানা’সহ নানা ধরনের বিশেষণ ব্যবহার করেছেন তিনি। ধর্মের নামে ব্যবসাও করেছেন অনেক। এসব তাঁর লেবাস মাত্র। তিনি আসলে নারী ধর্ষক, হত্যাকারী। এসব বিষয় বহু আগেই প্রমাণ হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। বুধবার আপীল বিভাগের রায়েও তা চূড়ান্তই থাকল। ধর্ষণের অভিযোগে এই ধর্ম ব্যবসায়ী দেইল্লা রাজাকার খ্যাত রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদ- দিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ। এছাড়া জোর . . .
সাঈদীর আমৃত্যু জেল-গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেনি
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। রায়ে মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করেন রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বুধবার দেয়া বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ রায় মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদ পরিবারের সদস্যদের হতাশ করেছে। অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (আইসিএসএফ)। এদিকে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনে দুর্বলতার কারণে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড . . .
দণ্ড হ্রাসের রায় মেনে নিলেও আইনজ্ঞদের অসন্তোষ, ক্ষোভ
অনেকেই মর্মাহত
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে আপীল বিভাগ আমৃত্যু কারাদ-াদেশ দেয়াতে আইনমন্ত্রী, সাবেক আইনমন্ত্রী, প্রধান আইন কর্মকর্তাসহ আইন বিশেষজ্ঞরা অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা মর্মাহতও হয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, আমরা রায় মেনে নিয়েছি। সর্বোচ্চ আদালতের যে কোন আদেশ ও রায়ের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি আমরা আশা করি, সেটা না হওয়ায় আমরা . . .
হরতাল ডেকেই তাণ্ডব ॥ পুলিশের ওপর বোমা গাড়ি ভাংচুর, আগুন
আজ ও রবিবার ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জামায়াত ॥ বিভিন্নস্থানে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত শতাধিক
স্টাফ রিপোটার ॥ যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপীলে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রত্যাখ্যান করে তার মুক্তির দাবিতে আজ ও রবিবার সারা দেশে হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত-শিবির। একই সঙ্গে আগামীকাল সাঈদীর জন্য দোয়া ও শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করবে দলগতভাবে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এ শক্তি। রায় ঘোষণার পরই প্রতিবাদ ও সাঈদীর মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির এ রাজনৈতিক মিত্র। এদিকে কর্মসূচী ‘শান্তিপূর্ণ’ দাবি করলেও হরতাল ডেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বোমা হামলা, গাড়ি . . .
হবিগঞ্জে এবার বাঙ্কার থেকে ট্যাঙ্কবিধ্বংসী রকেট লঞ্চার উদ্ধার
সাতছড়ির পাহাড়ে র্যাবের অভিযান
রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, সাতছড়ি থেকে ঘুরে এসে ॥ সীমান্ত অরক্ষিত, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কি নীরব! নয়ত একই এলাকায় কেমন করে অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করা হচ্ছে, এসব প্রশ্ন যেমন মিডিয়াকর্মীদের তেমনি এলাকার সাধারণ মানুষেরও। এমনকি র্যাব কর্মকর্তারাও এ নিয়ে হতবাক-বিস্মিত। হবিগঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী গহীন অরণ্য চুনারুঘাট উপজেলাধীন সাতছড়ি পাহাড় থেকে একের পর এক ভারি সমরাস্ত্র বেরিয়ে আসছে। থেমে নেই র্যাবের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার অভিযান। হবিগঞ্জের সাতছড়ির ত্রিপুরা পল্লীর বাড়িঘর ও আশপাশের পাহাড়ী গুহা-বাঙ্কার . . .
কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন থেকে মৃত্যুদণ্ড আর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ড
মোয়াজ্জেমুল হক ॥ ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলে মৃত্যুর অমর স্বাদ আলিঙ্গন করার আদেশ থেকে মুক্তি পেলেও আমৃত্যু জেলের প্রকোষ্ঠে থাকতে হবে জামায়াতের নায়েবে আমির যুদ্ধাপরাধী, এক সময়ের তাবিজ বিক্রেতা জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেইল্লা রাজাকারকে। ধর্মীয় সুড়সুড়ি সৃষ্টির মাধ্যমে এ ভণ্ড ও কথিত মোফাচ্ছের এখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে নারীধর্ষক হিসেবেও প্রমাণিত। বাকি জীবন তাকে জেল অভ্যন্তরে জীবন্মৃত হয়ে থাকতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় সকলের জন্য শিরোধার্য। এ রায়ে মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে ধর্মীয় উন্মাদনা . . .
একাত্তরের ঘাতকদের সঙ্গে আঁতাতের প্রশ্নই ওঠে না
১৪ দলের প্রতিক্রিয়া
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ একাত্তরের ঘাতক জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ মামলায় আপীল বিভাগের রায় প্রত্যাশিত না হলেও উচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তা মেনে নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। উচ্চ আদালতের রায়কে মেনে নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই উল্লেখ করলেও জোটের নেতারা প্রদত্ত রায়কে চরম হতাশাজনক বলেই মন্তব্য করেছেন। বুধবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ . . .
গণজাগরণ মঞ্চ কর্মীদের ওপর টিয়ার শেল জলকামান
তিন দিনের কর্মসূচী
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াত নেতা সাঈদীর ফাঁসির রায় প্রত্যাখ্যান করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। ’৭১-এর এই ঘাতকের ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবিতে মঞ্চের আয়োজনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আজ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সাঈদীর রায় শুনে বুধবার সকালে প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। ক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে শাহবাগ। মিছিল আর স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশী হামলায় মঞ্চের মুখপাত্র ডাঃ ইমরান এইচ সরকারসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। রায় প্রত্যাখ্যান করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা।
আন্দোলন করে সাঈদীর ফাঁসি নিশ্চিত করা হবে ॥ কুখ্যাত রাজাকার সাঈদীর রায় প্রত্যাখ্যান করে বুধবার সন্ধ্যায় প্রজন্ম চত্বরে সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। এতে বক্তরা বলেন, তরুণ প্রজন্ম নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে কাদের মোল্লার মতো আইন সংশোধন করে সাঈদীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিনী বলেন, রায়ে আমি মনে মনে এতটাই কষ্ট পেয়েছি যা বলার ভাষা নেই। মনের ভাষা প্রকাশ করতে পারছি না। ৪৪ বছর ধরে চেতনায় ঝং ধরে আছে। আজও সাঈদীর রায়ের মধ্য দিয়ে কষ্ট পেলাম। তিনি বলেন, কাদের মোল্লার রায়ের পর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আইন সংশোধন করতে সরকারকে বাধ্য করা হয়েছিল। ফাঁসি দেয়া হয়েছিল এই যুদ্ধাপরাধীর। সাঈদীর ফাঁসি কার্যকর করতে তরুণদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গতে তোলা হবে। আইন সংশোধন করে তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। গণজাগরণ মঞ্চে কর্মীদের ওপর পুলিশী হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, তরুণরাই আমাদের আশ্রয়স্থল। তাদের ওপর হামলার ঘটনা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে। ঘটনার সুবিচারের জন্য তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা খান আসাদুজ্জামান, তাসমিনা সুলতানা, ছাত্র নেতা হাসান তারেক, ইমরান হাবিব রুমন, ফয়সাল ফারুক, সাঈদা সুলতানা, সম্পা বসু, মারুফ রসুল প্রমুখ।
তিন দিনের কর্মসূচী ॥ সাঈদীর রায় প্রত্যাখ্যান ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় দেশের সকল জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় বিক্ষোভ কর্মসূচী। শুক্রবার বিকেল চারটায় শাহবাগে গণসমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন প্রজন্মসেনা আরিফ জেবতিক। অসুস্থ থাকায় ইমরান এইচ সরকার সমাবেশে উপস্থিত হতে পারেননি।
রায়ে উত্তাল শাহবাগ ॥ যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদ-ের রায় প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ছোড়া কাঁদুনে গ্যাস ও গরম জলে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারসহ ১০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে সকালে রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় এই রায়কে আঁতাতের রায় বলে মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে পরিকল্পিতভাবে এ রায় দেয়া হয়েছে। এই রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। এরকম একটি রায় দেয়ার জন্য বছর খানেক ধরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের তরুণ সমাজ যাতে আন্দোলন করতে না পারে, সে জন্য গণজাগরণ মঞ্চকে ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম, এমন একটি রায় হতে যাচ্ছে।’ এ রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য দেশের তরুণ সমাজসহ সবাইকে শাহবাগে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীরা শাহবাগ থেকে ট্রাইব্যুলের দিকে যান। সেখান থেকে ফিরে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিলেন। এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশা চৌধুরীর অংশটি সকালে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা সেখানে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে কামাল পাশা চৌধুরী বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই, এ রায় মানি না। এ রায়ের মাধ্যমে স্বাধীন দেশের মানুষ প্রতারিত হয়েছে। আমরা শপথ নিয়েছিলাম যতদিন পর্যন্ত রাজাকারের বিচার না হবে, ততদিন রাজপথ ছাড়ব না। এ আইন যদি চলতে থাকে, কোন রাজাকার জনগণের হাতে যদি নিঃশ্বাস ত্যাগ করে, তবে আমাদের দায়ী করবেন না। জানতে চাইলে পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) শিবলী নোমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কোন সমাবেশে বাধা দেইনি। যখন যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে, তখনই কেবল আমাদের এ্যাকশনে যেতে হয়েছে।
মঞ্চের কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা ॥ রায় ঘোষণার খবর শাহবাগে আসা মাত্রই বিক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে প্রজন্ম চত্বর। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তখন বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল আর স্লোগানে মুখরিত হয় চার পাশ। তখন মঞ্চের কর্মীরা ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। মঞ্চের কর্মীরা কয়েকটি গাড়ির কাঁচ ভাংচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, টিয়ারশেল নিক্ষেপসহ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। মঞ্চের কর্মী সুজন বলেন, পুলিশ দফায় দফায় জলকামান থেকে গরম জল ছোড়ে; সঙ্গে নিক্ষেপ করা হয় কাঁদুনে গ্যাসের শেল। ওই এলাকায় কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছিল না। ইমরানসহ চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা কাঁদুনে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাদের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। ‘আঁতাতের এই রায় মানি না/প্রহসনের এই রায় মানি না’, ‘আপোসকারীর আস্তানা/জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি সেøাগান দেয় তারা। গত বছরের পাঁচ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়ার পর তার ফাঁসির দাবিতে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠে শাহবাগের এই আন্দোলন। তাদের আন্দোলনের মুখেই আইন সংশোধন করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষেরও আপীল করার সুযোগ তৈরি হয় এবং কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল নিষ্পত্তির পর গত বছরের ডিসেম্বর তার মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর হয়।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। ট্রাইব্যুনালে রায় হয় ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, যাতে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল।
সারদাকাণ্ডে নজরে এবার সিপিএম, যাদবপুরে ক্লাস বয়কট প্রতিবাদ-অবরোধ, এক মঞ্চ সব পক্ষ প্রতি-পক্ষ, আজ সন্ধে সাতটায়
ওয়েব ডেস্ক,এবিপি আনন্দ
Thursday, 18 September 2014 12:43 PM
সারদায় নজরে সিপিএম। সিবিআইয়ের তলব রবীন দেবকে। তলব শুভেন্দুকেও। চ্যানেল বিক্রিতে কী যোগ রবীনের? যাদবপুরে ক্লাস বয়কট প্রতিবাদ-অবরোধ। এক মঞ্চ সব পক্ষ প্রতি-পক্ষ, আজ সন্ধে ৭টায়
পিছনে বড় রাজনীতির চক্রান্ত, দাবি দু’শিবিরেই
সৌজন্যে আনন্দবাজার পত্রিকা
Thursday, 18 September 2014 09:45 AM
এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসছে এক বৃহত্তর রাজনীতির অঙ্কও।
শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিজিৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্য নিয়োগ করা নিয়ে যাদবপুরে অনেক দিন ধরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিলই। ছাত্রী-নিগ্রহকে কেন্দ্র করে আন্দোলনেও তার আঁচ এসে পড়ে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর। খোদ উপাচার্য নিজেও দাবি করেছেন, “এটা সুপরিকল্পিত চক্রান্ত।” বিশেষত বামপন্থী শিক্ষকদের একাংশ পড়ুয়াদের আন্দোলনে উৎসাহিত করেছিলেন বলে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ শিবিরের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, অভিজিৎবাবুকে সরানোর লক্ষ্যেই বামপন্থী শিক্ষকরা ছাত্র আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইছিলেন। অন্য দিকে বামপন্থী শিবিরের অভিযোগ, শাসক দলের কাছে নিজের ‘যোগ্যতা ও আনুগত্যে’র প্রমাণ দিতেই অতি সক্রিয় হয়ে পুলিশ ডেকেছিলেন উপাচার্য। ছাত্র আন্দোলন দমন করে নিজের নম্বর বাড়ানোই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই বলছেন, ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের পিছনে বামপন্থী শিক্ষকদের মদত রয়েছে আঁচ করেই পাল্টা পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, নানা প্রশাসনিক টালবাহানার পরে অভিজিৎবাবু যাদবপুরের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজ করছেন। শীঘ্রই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে। তবে সম্ভাব্য স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে রাজ্য তিন জন প্রার্থীর যে প্যানেল তৈরি করেছে, তাতে অভিজিৎবাবুর নাম রয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবারই এই তিনটি নাম নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বাছাই-পর্বের এই শেষ লগ্নে নিজেকে ‘কড়া’ প্রশাসক হিসেবে প্রমাণ করার তাগিদ অভিজিৎবাবুর রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, বামপন্থী মোকাবিলায় তিনি যে যোগ্যতম, মাঝরাত্তিরে পুলিশ ডেকে সেই বার্তাই দিয়ে রাখলেন অভিজিৎবাবু।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন তেমন জোরালো নয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেরই খবর, গত কয়েক মাসে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি যে ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জোরালো হয়ে উঠছিল, তাতে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক আশঙ্কায় ভুগছিলেন উপাচার্য ও তাঁর অনুগামীরা। সে ক্ষেত্রে ছাত্রদেরও একটা কড়া বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্রীর নিগ্রহের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ও অতিবামপন্থী ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান। পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাসক দল সমর্থিত কর্মী সংগঠনের কয়েক জন সদস্য ঘটনায় যুক্ত থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আড়াল করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের (জুটা) সদস্য নেই, কিন্তু রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর মেয়েকে রাখা হয়েছে, পড়ুয়ারা তা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উপাচার্য-বিরোধী এই আন্দোলন শুরু হতেই পিছন থেকে সমর্থন জোগাতে শুরু করেন বামপন্থী শিক্ষকদের অনেকে। মঙ্গলবার রাতে কিছু বামপন্থী শিক্ষকও পরোক্ষ ভাবে ছাত্র-আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন বলে খবর। উপাচার্যও এ দিন বলেন, “ছাত্রদের দোষ দিই না। এদের যারা তাতিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা উচিত।” তাঁর নিজের ‘তৃণমূলপন্থী’ তকমা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি বলেন, “এটা যারা বলছে, তারাই কালকের ঘটনার মূল চক্রী।” অর্থাৎ অভিজিৎবাবু নাম না করে বামপন্থী শিক্ষকদের প্রতিই আঙুল তুলছেন। যাদবপুরের শিক্ষক সংগঠন জুটা-তে বামপন্থীরাই সংখ্যাগুরু।
জুটা-র সম্পাদক নীলাঞ্জনা গুপ্তর কথাতেও কিন্তু আন্দোলনে তাঁদের সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট। নীলাঞ্জনাদেবীর কথায়, “এক দল বলছেন, আমরা ছাত্রদের মদত দিয়েছি। আর এক দল বলছেন, আমরাই মার খাইয়েছি। আমরা ছাত্রদের ঘেরাও করতে বলিনি, অবস্থান করতে বলেছিলাম।” বুধবার জুটার সদস্য-শিক্ষকরা প্রত্যাশিত ভাবেই মঙ্গলবার রাতের ঘটনার নৈতিক দায় উপাচার্যের উপরে চাপিয়েছেন। কেউ বা তাঁর পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন। এ দিন সন্ধ্যায় জুটা-র সদস্যরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।
যাদবপুরের ছাত্র সংসদ সূত্রের খবর, এর আগে বিভিন্ন বৈঠকে ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা উপাচার্যকে বলেছিলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই যেন ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকানো না হয়। উপাচার্য তাতে সম্মত ছিলেন। “মঙ্গলবার রাতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি পুলিশকে ব্যবহার করতে পিছপা হবেন না,” বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনেকেরই বক্তব্য, রাজনৈতিক ক্ষমতাও ব্যবহার করেছেন উপাচার্য। তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুচরেরা পুলিশে মিশে ছাত্রছাত্রীদের মেরেছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ও তার বাইরে বহিরাগত যুবকদের ভিড় দেখা গিয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই মুকুন্দপুর-সন্তোষপুর-কাটজুনগর-বিবেকনগর এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের একাংশ বলছেন, যাদবপুরের ছাত্র হস্টেল থেকে যাতে আরও বেশি পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পারেন, তা দেখতে ওই কর্মীদের মোতায়েন করা হয়। ভিতরে যখন পুলিশ মারছে, তখন বাইরে তাঁরা পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। যদিও শাসক দলের স্থানীয় নেতা, ১০ নম্বর বরো চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্তর দাবি, “খোঁজ নিয়ে দেখেছি ভিতরে বা বাইরে আমাদের কেউ ছিল না। অশিক্ষক কর্মীরাই ঘোরাঘুরি করেছেন।”
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মতামত জানান এবিপি আনন্দের ফেসবুক ও টুইটার পেজে, প্রশ্ন রাখুন। অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সময় দেখানো হবে। আপনাদের মতামত লিখে পাঠিয়ে দিন নীচের এই তিনটি লিঙ্কে-
@IamSumanDe (twitter account)
|
|
যাদবপুরে ছাত্রদের উপরে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে রাজপথে ছাত্ররা
Prabir Chanda আমি গোলপার্কে যাদবপুরের ছাত্রদের মিছিলটা দেখছি। এই আকালেও এরকম তরতাজা, নির্ভেজাল স্বতঃর্স্ফুত কয়েক হাজার দৃপ্ত ছেলেমেয়েকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেখে বেশ আশান্বিতই হলাম। ছাত্ররা মিছিলের এই নির্ভেজাল স্বতঃর্স্ফুত মেজাজ ও দৃড়তা বজায় রাখতে পাড়লে তাদের আন্দোলন সফল হবেই হবে।
এঁটোকাটা খোড় পরোজিবী ও ধান্দাবাজ নেতা নাত্রী থেকে সাবধান। আপনারা ছাত্ররাই সফল আন্দোলনের ইতিহাস রচনা করুন। সর্বকালে সর্বদেশে শাসকেরা আপনাদেরকেই বেশী ভয় পায়। অন্যদের এঁটোকাটা বিলিয়ে ম্যনেজ করা যায় আপনাদের নয়।
খবর আনন্দবাজারেঃ
উপাচার্যের ডাকে এসে পুলিশি তাণ্ডব যাদবপুরে
কোলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে ভিতরে মোতায়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা। উপাচার্য রয়েছেন আরও ভিতরে, মিটিং রুমে। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের থেকে অনেক দূরে। কিন্তু তা সত্ত্বেও হঠাৎই বিপন্ন বোধ করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সুতরাং ডেকে পাঠালেন পুলিশকে। উপাচার্যের ‘প্রাণ বাঁচাতে’ মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করে হটিয়ে দিল পুলিশবাহিনী। উপাচার্য বললেন, “আমি পুলিশের কাছে কৃতজ্ঞ।”
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পুলিশ দিয়ে ছাত্র সামলানো যায় না, ভিন্ন মত সুব্রতের
ছাত্রদের ঘেরাও আন্দোলন মোকাবিলায় গভীর রাতে পুলিশ ডেকে শুধু বিরোধীদের হাতে প্রতিবাদের নতুন হাতিয়ারই তুলে দিলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। রাজ্য সরকারকেও বসিয়ে দিলেন প্রেশার কুকারের উপরে! ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভিন্ন সুর উঠে এসেছে সরকারের মধ্যে থেকেই। বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলন মোকাবিলায় এ ভাবে পুলিশ ডাকা তিনি সমর্থন করেন না।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পুলিশ না-থাকলে আমার প্রাণ যেতে পারত: উপাচার্য
পুলিশি ঘেরাটোপে মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পরে বুধবার সকালে অসুস্থ বোধ করছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারেরা তাঁকে পরীক্ষা করেন। তাঁর রক্তচাপ বেশি (১৫০/১০০)। উপাচার্য বললেন, “বুক ধড়ফড় করছে। মাথায় যন্ত্রণা। ডাক্তারেরা ৫-৬ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন।” সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নের উত্তরও দিলেন তিনি।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ADVERTISEMENT
পিছনে বড় রাজনীতির চক্রান্ত, দাবি দু’শিবিরেই
এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির ঘটনার তদন্তকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল আন্দোলন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে উঠে আসছে এক বৃহত্তর রাজনীতির অঙ্কও। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অভিজিৎ চক্রবর্তীকে উপাচার্য নিয়োগ করা নিয়ে যাদবপুরে অনেক দিন ধরে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিলই। ছাত্রী-নিগ্রহকে কেন্দ্র করে আন্দোলনেও তার আঁচ এসে পড়ে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ছাত্রদের সামলাতে কেন মারকুটে রাজকুমার, প্রশ্ন
বাহিনীর অন্দরে তাঁর বদমেজাজ নিয়ে অনেকেরই বিস্তর অভিযোগ। মারকুটে স্বভাবের পরিচয় পেয়েছেন মধ্য কলকাতা, ভবানীপুর, হাজরার যানবাহন চালকরা। এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও টের পেলেন কম্যান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর রাজকুমার সিংহের ‘দাপট’। প্রহৃত ও নিগৃহীত ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মারমুখী পুলিশদের মধ্যে অগ্রভাগে ছিলেন সাদা টি-শার্ট, সবুজ টুপি পরা এক জন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ওরা বলল, মেরে ফেললেও কেউ দেখতে আসবে না
রাত তখন দু’টো। আমাদের ঘেরাও চলছিল। হঠাৎ একটা রব উঠল ‘পুলিশ আসছে, পুলিশ আসছে।’ এর মধ্যেই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ল একদল লোক। ওদের মধ্যে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখতে পেলাম না। কিন্তু অনেকের হাতে লাঠি ছিল। লোকগুলো আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে লাথি, ঘুষি, চড় মারতে থাকল। লাঠি চালানোও বাদ গেল না।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
স্যার এ ভাবে মার খাওয়াবেন, ভাবতেই পারেননি ছাত্রছাত্রীরা
মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে। উপড়ে গিয়েছে পায়ের নখ। গালে, হাতে, পায়ে কালশিটে। ফুলে ওঠা কপাল। ঠোঁটের কোণ ফেটে রক্ত ঝরছে। দাঁত ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েক জনের। অনেকেরই কথা বলতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। তবু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন না কেউ। বরং তাঁরা চাইছেন, কত দ্রুত হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হাজির হওয়া যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ছাত্র তাড়াতে পুলিশ, সায় নেই প্রাক্তন উপাচার্যদের
শিক্ষাঙ্গনে পুলিশ ডেকে নয়, আলোচনায় ডাকা অথবা ঘেরাও হয়ে থাকা— এই দুই অস্ত্রে ছাত্র আন্দোলন মোকাবিলা অনেক সহজ হয় বলে মনে করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসকদের একাংশ থেকে প্রাক্তন কয়েক জন উপাচার্য-রেজিস্ট্রাররা সকলেই। যাদবপুরে পুলিশ ডেকে যে ভাবে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ রুখে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, সেই পন্থা তাই তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
গাঁধী আশ্রমে চরকা কাটলেন চিনফিং
জন্মদিনে বাড়িতে অতিথি এসেছেন। নৈশভোজে সস্ত্রীক আমন্ত্রণ। তার আগে গৃহস্থ অতিথিকে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছেন বাড়ির কোথায়, কী ভাবে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। অতিথিও আপ্লুত হয়ে গৃহস্থের আদবকায়দা মেনে চলার চেষ্টা করছেন। হাসি মুখে ঘুরে দেখছেন সব কিছু। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আমদাবাদের বিকেলবেলা এই সব বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইল। চিনের প্রেসিডেন্ট, সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শি চিনফিং।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
হাজার কোটির চিনা লগ্নি টানাই চ্যালেঞ্জ মোদীর
ওহরলাল নেহরু ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ মন্ত্র আওড়াতে গিয়ে ভারী ধাক্কা খেয়েছিলেন। চিনের প্রেসিডেন্টকে আজ নরেন্দ্র মোদী যে ভাবে আমদাবাদে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন, তাকে অনেকেই ‘মোদী-চিনি ভাই ভাই’ বলে ডাকছেন। সরকারের কূটনীতিকরা বলছেন, সীমান্ত বিবাদ নিয়ে আলোচনা চলবে। কিন্তু ‘ড্রাগন বনাম হাতির লড়াই’ জিইয়ে না রেখে দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও মজবুত করাই লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদীর।
প্রেমাংশু চৌধুরী
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বাংলাদেশে জামাত নেতার ফাঁসি রদ
জামাতে ইসলামির শীর্ষ নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদির প্রাণদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। একাত্তরে খুন, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুঠপাট ও ধর্মান্তরের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইদিকে প্রাণদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন জামাতের এই নায়েবে আমির।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আজ থেকে ট্যাক্সি বন্ধের ডাক, কাল অন্য পরিবহণেও
এমনিতেই রাজ্যে গণ-পরিবহণের দশা বেহাল। তার মধ্যে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার ট্যাক্সি ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে শহরে। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার এক দিনের জন্য সার্বিক পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। বুধবার রাজ্যের বিরোধী শ্রমিক সংগঠন সিটু, এআইটিইউসি, আইএনটিইউসি ও বিএমএস-সহ আটটি সংগঠন এ কথা জানিয়েছে। ফলে পুজোর আগে সাধারণ মানুষের আর এক দফা নাকাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
টালিগঞ্জ লিগ পাবে না দু’দিন আগেই জানতাম
লিগ হাতছাড়া হওয়ার পর ক্ষোভে ফুটছেন তিনি। সারা রাত ঘুমোননি। কোচিং জীবনে ফের তীরে এসে ডুবে যাওয়ায় এতটাই হতাশ যে, পঁচাত্তরের বড় ম্যাচে ঐতিহাসিক পাঁচ গোলে হারের যন্ত্রণাকেও পিছনে ফেলতে চাইছেন মঙ্গলবারের খেতাবি লড়াইয়ে হারের পর।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রোনাল্ডো টপকালেন মেসিকে, রিয়াল মাদ্রিদের হাজার গোল
অবিনাশ আর প্রহ্লাদ যেন ‘দিওয়ার’-এর দুই ভাই
আদালতে ‘অর্জুন’ আদায় করলেন বক্সার মনোজ
জোড়া প্রেমের ট্যাকলে কাপজয়ী জার্মান তারকা
রাজ্য
বিবাহবার্ষিকীর আগে জওয়ান
ফিরলেন কফিনে
প্রথম বিবাহবার্ষিকী ছিল আজ, বৃহস্পতিবার। তার ঠিক আগের দিন ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীদের বুলেট ঝাঁঝরা করে দিল বাঙালি ‘কোবরা’ জওয়ানকে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার ঘাটশিলা থানার চেকাম জঙ্গলে বুধবার সকালে মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় যৌথ বাহিনীর।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রাজ্য
সারদা চুক্তি নিয়ে সিবিআই
জেরার মুখে রতিকান্ত
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আগেই তাঁকে ডেকে এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা মিউজিক ও তারা চ্যানেলের প্রাক্তন প্রধান রতিকান্ত বসুকে এ বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সল্টলেকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজির হন রতিকান্তবাবু।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বর্ধমান
বাসনের গুদামে হুকিং,
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
স্ত্রী-কন্যাকে চোখের ডাক্তারের কাছে পৌঁছে দিয়ে ছেলেকে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন বাসনের দোকানে। জানতেন না, দোকানের গুদামে হুকিং করে নেওয়া বিদ্যুতের তারে অপেক্ষা করে আছে মৃত্যু। সেই ঝুলন্ত তারের ছোঁয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট দোকানের এক কর্মীকে বাঁচাতে গিয়েই মারা গেলেন দুর্গাপুরের সত্যজিৎ মুখোপাধ্যায় (৪৭)।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দেশ
মেরুকরণ নয়, প্রচারে
সুশাসনই চান মোদী
ধর্মীয় মেরুকরণ নয়, উন্নয়নই হোক আগামী দিনে প্রচারের প্রধান হাতিয়ার। বিধানসভা উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পরে বিজেপি নেতৃত্ব এবং সঙ্ঘ পরিবারের কাছে এই বার্তাই পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বস্তুত, একের পর এক রাজ্য, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের উপনির্বাচনে খারাপ ফল দেখে বিজেপি শীর্ষনেতাদের অনেকেই মনে করছেন, লোকসভা ভোটে যে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের রাজনীতি ফায়দা দিয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পরে সেই অস্ত্র এখন ভোঁতা হয়ে গিয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
উত্তরবঙ্গ
রেলের আবাসনে গণধর্ষণ,
গ্রেফতার টিটিই
এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগে রেলের এক টিকিট পরীক্ষককে (টিটিই) গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের কর্মী ওই টিটিই-র নাম ব্রিজকিশোর যাদব। তিনি উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা স্টেশনে কর্মরত। অভিযোগ, সোমবার রাতে ওই স্টেশনের কাছে রেলের আবাসনে মোট চার জনে মিলে ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিদেশ
ব্রিটেনের সঙ্গ ছাড়ছে কি
স্কটল্যান্ড, গণভোট আজ
রাত পোহালেই ভোট। থুড়ি, গণভোট! স্কটল্যান্ডে তাই সাজো সাজো রব। স্কটিশ পতাকায় ঢেকে গিয়েছে আকাশ। যে দিকেই তাকানো যায়, ‘ইয়েস’ আর ‘নো’ চিহ্ন চোখে পড়ছে শুধু। স্কটল্যান্ডের বাসিন্দারা বেশ কিছু দিন ধরে এই দুই ভাগেই বিভক্ত যে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নদিয়া-মুর্শিদাবাদ
পরপর সাইবার অপরাধের
শিকার তরুণীরা
ফের সাইবার ক্রাইমের শিকার হলেন এক তরুণী। জঙ্গিপুরের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর ছবি মোবাইলে তুলে, ফটোশপের সাহায্যে তাতে অশ্লীল ছবি জুড়ে ইন্টারনেটে তা ছড়িয়ে দিল প্রতিবেশী দুই যুবক। ওই ছাত্রী ও তার বাবার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বুধবার পিন্টু শেখ ও টনিক শেখকে গ্রেফতার করে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর
অধরা লক্ষ্য, শৌচাগার
নেই দু’লক্ষ পরিবারে
জেলার প্রতিটি পরিবারে শৌচাগার তৈরির লক্ষ্য কবে পূরণ হয়, সেটাই দেখার। অভিযানই সার। সচেতনতা রয়েছে সেই তিমিরেই। প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির জন্য এর আগে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের তাণ্ডবের প্রতিবাদে ছাত্রদের ধিক্কার মিছিল
রাজর্ষি দত্তগুপ্ত, সমিত সেনগুপ্ত ও সত্যজিৎ বৈদ্য, এবিপি আনন্দ
Wednesday, 17 September 2014 07:11 PM
মধ্যরাতে পুলিশ দিয়ে ক্যাম্পাসে তাণ্ডবের প্রতিবাদে শহরে মহামিছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। দাবি একটাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকে।
বুধবার বিকেল চারটে।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে জড়ো হন ছাত্রছাত্রীরা।
এরপর শুরু হয় ধিক্কার মিছিল। যাদবপুর থানার সামনে দিয়ে, ঢাকুরিয়া ব্রিজ হয়ে গোলপার্কে পৌঁছয় মিছিল। পা মেলান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের তীব্র নিন্দা করে মিছিলে যোগ দেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার, শিল্পী সমীর আইচ, অভিনেতা কৌশিক সেনের মতো ব্যক্তিত্বরা।
উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর গোলপার্ক থেকে একই পথ ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের সামনে পৌঁছে শেষ হয় মিছিল।
No comments:
Post a Comment