এ ক্যামন দুগ্গারে করিলা আবাহন ,যে আবহমান কালাতীত যুগে যুগে জনগণ অসুরে করিছে নিধন
পলাশ বিশ্বাস
Smritikana Howlader added a new photo.
হেমন্তি পাকা ধানের গন্ধে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে,নবান্ন উৎসবের প্রস্তুতি চলছে চারিদিকে।ঠিক এই সময় ইন্দ্র বরুণের দল বার বার যুদ্ধে পরাস্ত অশুরদের কাছে কিছুতেই এদেশের দখলদারি নিতে পারছেনা।অবশেষে নিষিদ্ধ পল্লীর এক নারীকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে পাঠাল মৈশাল মহিষাসুরকে বধ করতে যার নাম দূর্গা।অশুররা নারীর সহিত যুদ্ধ করেনা মাতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করে।ঠিক তাই হল মহিষাসুর যখনই মহিষের পিঠ থেকে নেমে নমস্কার করতে গেল অমনি বর্শা বিধিয়ে দিল তার বুকে দূর্গা॥
উত্তাল যাদবপুর: অবশেষ সহ উপাচার্য ও রেজিস্টারকে দফতরে ঢুকতে দিলেন আন্দোলনকারীরা
Last Updated: Friday, September 19, 2014 - 17:03
9
SHARES
কলকাতা: দিনভরের টালবাহানার অবসান। অবশেষে যাদবপুরের সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে দফতরে ঢুকতে দিলেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাতের ঘেরাওয়ে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে যে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা তোলার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিতেই আজকের অবরোধ তুলে নেন ছাত্রছাত্রীরা।
আজ সকালে রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ ও সহ উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্তকে দফতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীরা দাবি করেন, মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে পুলিসি অভিযানের নৈতিক দায় নিতে হবে সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে। নয়তো তাঁদের লিখিতভাবে জানাতে হবে, মঙ্গলবার একার সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডেকেছিলেন উপাচার্য। ছাত্রছাত্রীদের শর্তে সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার রাজি না হওয়ায়, দিনভর তাঁদের দফতরে ঢুকতে দেননি ছাত্রছাত্রীরা। বিকেলে অবরোধ তুললেও ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
যাদবপুরের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিল প্রেসিডেন্সি
Last Updated: Friday, September 19, 2014 - 21:19
3
SHARES
কলকাতা: আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতেই সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্ররা। তবে বহিরাগত হিসেবে কোন গণ্ডগোল করেননি তাঁরা। বহিরাগত বিতর্কে এমনই দাবি যাদবপুরের ছাত্রদের। এমনকি তাঁদের হাতে কোন অস্ত্র ছিল না বলেও দাবি ছাত্রদের।
নগরপালের 'সশস্ত্র বহিরাগত' মন্তব্যের পরই ওঠে বিতর্কের ঝড়। বহিরাগত প্রসঙ্গে যাদবপুরের ছাত্ররা জানান, বন্ধু হিসেবে সহমর্মিতা দেখাতেই মঙ্গলবার তাঁদের পাশে দাঁড়ান প্রেসিডেন্সির ছাত্ররা। তাঁরা কেউই সেদিন সশস্ত্র ছিলেন না বলেও দাবি ছাত্রদের।
এফভিও- পাশে থাকার বার্তা দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে শুক্রবার বিরাট মিছিল বের হয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মিছিল ছিল পুলিসের সদর দফতর লালবাজার মুখি। কিন্তু তার অনেক আগেই বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটে পুলিস আটকে দেয় মিছিল। মিছিলে পুলিসের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত। ছাত্র ঐক্যের বার্তা দিতে শনিবার নন্দন থেকে শুরু হওয়া মহামিছিলেও পা মেলাবেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা।
উত্তাল যাদবপুর: শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের ইস্তফা দাবি জুটার, উপাচার্যের নিন্দায় সরব নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা
Last Updated: Friday, September 19, 2014 - 17:16
5
SHARES
কলকাতা: শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবি জানাতে গেলেন জুটার সদস্যরা। আজ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে যাদবপুরের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে জুটা।
যাদবপুর-কাণ্ডে উপাচার্যকেই কাঠগড়ায় তুললেন নির্যাতিতার বাবা। মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গতমাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেই ভিসিকে ঘেরাও করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। খুন হয়ে যেতে পারেন এই আশঙ্কায় পুলিস ডেকেছিলেন, উপাচার্যের এই বক্তব্য মানতে চাননি নির্যাতিতার বাবা। গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
যাদবপুরে দর্শন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন অধ্যাপক সৌমিত্র বসু। কিন্তু, তাঁর পদত্যাগের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। যাদবপুরে পুলিসি অভিযান নিয়ে এর আগেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন সৌমিত্র বসু। আজ বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। কিন্তু, সৌমিত্র বসু নিজে জানিয়েছেন অনেকদিন আগে থেকেই পদ ছাড়ার কথা ভাবছিলেন তিনি। কিন্তু, তাঁর পদত্যাগের পিছনে পুলিসি অভিযান কারণ নয়, একথাও স্পষ্ট করে বলেননি তিনি। দর্শন বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতেই এগজিকিউটিভ কাউন্সিল থেকেও সরে গেলেন সৌমিত্র বসু।
‘বিবেক দংশন’, যাদবপুরের দর্শন বিভাগের প্রধানের ইস্তফা
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, এবিপি আনন্দ
Friday, 19 September 2014 05:21 PM
কলকাতা: ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী।।। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিশি তাণ্ডবের পর ইস্তফা দিলেন দর্শনের বিভাগীয় প্রধান সৌমিত্র বসু। পদত্যাগ প্রসঙ্গে কিছু বলতে না চাইলেও সেদিন পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় তাঁর যে বিবেক দংশন হয়েছে, তা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন তিনি।
সৌমিত্রবাবুর কার্যকালের মেয়াদ ছিল জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন, পদত্যাগের কারণ ব্যক্তিগত।
যাদবপুরের অধ্যাপকদের একাংশের বক্তব্য, সৌমিত্রবাবু আগে থেকেই ইস্তফা দেবেন বলে ঠিক করে রেখেছিলেন। যদিও, তিনি নিজে এবিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের হাতে নিজের ছাত্রদের বেধড়ক মার খেতে দেখে যে তাঁর বিবেকের দংশন হয়েছে, তা গোপন করেননি তিনি। বলেছেন, পদত্যাগ নিয়ে কিছু বলব না। বিবেকের দংশন হয়েছে। পরদিন নির্যাতনের ছবি দেখে মনে হয়েছে, ছাত্ররা সংযতভাবে কথা বলছিল।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী সৌমিত্রবাবু। ১৯৯০ সাল থেকে এখানে অধ্যাপনা করছেন। তিনি কর্মসমিতিরও সদস্য। মঙ্গলবার পুলিশি তাণ্ডবের আগে যে কর্মসমিতির বৈঠক হয়, সেখানেও হাজির ছিলেন তিনি। বুধবার সারাদিন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখেছেন, আহত ছাত্র-ছাত্রীদের মুখগুলো। তারপর পুলিশ যে সাফাই দিচ্ছে, তা মেনে নিতে পারছেন না পদত্যাগী বিভাগীয় প্রধান।তাঁর কথায়, তাণ্ডবের যে নিদর্শন দেখেছি, পুলিশ যা বলছে, মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তবে অধ্যাপকদের অনেকেই বলছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঘটনার পর যেভাবে বিবেক দংশনের কথা বলে বৃহস্পতিবার সৌমিত্রবাবু ইস্তফা দিলেন, তাতে তাঁর ক্ষোভই প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারই যাদবপুরের সহ উপাচার্যের গলায় শোনা গিয়েছে উপাচার্যের উল্টো সুর। তারপর এবার দর্শনের বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ। অনেকেই বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে ক্রমেই একঘরে হয়ে পড়ছেন উপাচার্য।
চাপে পড়ে উল্টো সুর! শ্লীলতাহানির তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতেই যাদবপুরে ছাত্র আন্দোলন, দাবি পার্থর
বিতনু চট্টোপাধ্যায়, সমিত সেনগুপ্ত
Friday, 19 September 2014 09:45 PM
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর পুলিশি-হামলার অভিযোগের ঘটনায় এবার নয়া তত্ত্ব খাঁড়া করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশি তাণ্ডবের নিন্দায় চারিদিকে যখন ঝড় উঠেছে, তখন গোটা ঘটনার নেপথ্যে এক অন্য উদ্দেশ্য খোঁজার চেষ্টা করলেন তিনি। তাঁর দাবি, ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনার তদন্ত পিছিয়ে দিতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই আন্দোলন।
শুক্রবার, সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী নয়া তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা করলেও শ্লীলতাহানিকাণ্ডে অভিযোগকারী ছাত্রীর বাবার মুখে কিন্তু একেবারে উল্টো কথা। তিনি দুষছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেই। মেয়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানাতে গিয়ে উপাচার্যের যে ভাবলেশহীন চেহারাটা দেখেছিলেন, তা নিয়ে উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।
অভিযোগকারিণীর বাবার দাবি, মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানাতে গেলেও উপাচার্য ছাত্রীদের নিরাপত্তার ভারটুকু নিতেও অস্বীকার করেন।
শ্লীলতাহানিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির পুনর্গঠনের দাবিতে মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ক্যাম্পাসের মধ্যেই নির্যাতনের শিকার হন কলাবিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। বয়েজ হস্টেলের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে কয়েকজন ছাত্র তাঁর শ্লীলতাহানি ও মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু, পরিবার অভিযোগ করে, তদন্ত করতে গিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রীকে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন করেছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। একই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন যাদবপুরের পড়ুয়ারাও। দাবি ওঠে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, মানবাধিকার কর্মী এবং মনোবিদ রাখার দাবিও তোলেন অভিযোগকারিণীর সহপাঠীরা। যাদবপুরকাণ্ডের জেরে বেজায় চাপে পড়ে শিক্ষামন্ত্রী এখন দাবি করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই আন্দোলন আসলে তদন্ত প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে। যা শুনে বিরোধীদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর মুখে এই নয়া তত্ত্ব আসলে আন্দোলনকারীদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি করা এবং গোটা বিষয়টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি অধ্যাপক সংগঠনের
সমিত সেনগুপ্ত, এবিপি আনন্দ
Friday, 19 September 2014 09:16 PM
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করলেন জুটার সদস্যরা।ঘরের মধ্যেই কোণঠাসা যাদবপুর বিশ্ববিদালয়ের উপাচার্য। যাদবপুর ক্যাম্পাসে পুলিশি তাণ্ডবের প্রতিবাদে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব পড়ুয়ারা। এবার সেই একই দাবিতে সরব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন জুটা।
তাঁরা ক্লাস নেবেন, পরীক্ষা নেবেন, খাতাও দেখবেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করবেন না। বৃহস্পতিবারই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুটার সদস্যরা। শুক্রবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানালেন তাঁরা।পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যকে খুনের মতো কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, এই দাবির পাশাপাশি পুলিশ ডেকে উপাচার্য অন্যায় করেছেন বলেও মত জুটার সদস্যদের। ছাত্ররা সশস্ত্র অবস্থায় ছিলেন, পুলিশ কমিশনারের এই দাবিও মানতে নারাজ তাঁরা।
একদিকে ছাত্রদের ক্লাস বয়কট, অবস্থান বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল। পথে নেমেছেন বিদ্বজনেরা। সমালোচনায় সরব সাধারণ মানুষ। ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এবার তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব সহকর্মীদেরই একাংশ।
যাদবপুর কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের, কাল কথা ছাত্রদের সঙ্গে
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও ময়ূখ ঠাকুরচক্রবর্তী, এবিপি আনন্দ
Friday, 19 September 2014 09:52 PM
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের ওপর পুলিশি-হামলার অভিযোগের ঘটনায় সক্রিয় রাজ্যপাল। স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলবের পর এবার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।পাশাপাশি, আগামীকাল পড়ুয়াদেরও সময় দিলেন রাজ্যপাল।
যাদবপুরে মধ্যরাতে পুলিশি বর্বরতার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। নিন্দার ঝড় সর্বত্র।
এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় রাজ্যপাল তথা আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে যাদবপুরে পুলিশি-পদক্ষেপকে সঠিক আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ কমিশনার। এরপর শুক্রবারই তাঁকে তলব করেন রাজ্যপাল। সন্ধেয় রাজভবনে পৌঁছন পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, সঙ্গে যুগ্ম কমিশনার ইন্টেলিজেন্স দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় একঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। রাজভবন সূত্রে খবর, যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দুই পুলিশ কর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাজ্যপাল। শনিবার বিকেলে যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বিকেল পাঁচটায় রাজভবনে যাবেন পড়ুয়ারা।
যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে চারদিকে সমালোচনার ঝড় ওঠার পর বৃহস্পতিবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে উপস্থিত হন স্বরাষ্ট্রসচিব এবং উপাচার্যও। স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে রিপোর্টও তলব করেন রাজ্যপাল।
যাদবপুরকাণ্ডে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য পদে রাজ্য সরকারের প্রথম পছন্দও তিনি। তিনি স্থায়ী উপাচার্য হবেন কি না তা নির্ভর করছে আচার্য তথা রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের উপর। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্যপালের সক্রিয় ভূমিকা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষামহল।
আজও চলছে যাদবপুরের প্রতিবাদ, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পোস্টার খুলে নেওয়ার অভিযোগ
Last Updated: Thursday, September 18, 2014 - 10:39
28
SHARES
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার জের আজও অব্যাহত। নতুন বিতর্ক ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের লেখা পোস্টার খুলে ফেলা নিয়ে। আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌছনর পর দেখা যায় বিভিন্ন দেওয়াল থেকে পোস্টারগুলি খুলে-ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ক্যামেরার সামনে পড়তেই অবশ্য বন্ধ হয়ে যায় এ কাজ। কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সেগুলি খুলে ফেলা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
যাদবপুরকাণ্ডের জেরে পুলিসের বিরুদ্ধে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপচে পড়েছে ফেসবুক, টুইটারেও। গতকালের পর আজও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করার কথা একাধিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলের তরফে। অরবিন্দ ভবনের সামনে ছাত্রছাত্রীদের জমায়েত হওয়ার কথা। অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বয়কট করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাই। তাঁদের দাবি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারকে। পদত্যাগের দাবিও উঠছে নানা মহল থেকে।
আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি নির্যাতনের নিরপেক্ষ তদম্ত ও শাস্তির দাবি জানালেন বিশিষ্টজনেরা৷ বৃহস্পতিবার ফ্রেন্ডস অফ ডেমোক্রেসির তরফে এক বিবৃতিতে এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা৷ সমর্থন জানান নাট্যকার বিভাস চক্রবর্তী, গণশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. রবীন মজুমদার, এন ই ই আর আই-এর প্রাক্তন অধিকর্তা ড. অরুণকাম্তি বিশ্বাস, সুগত মার্জিত, ছোটন দাস প্রমুখ৷ পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙঘ উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুনয় বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের শাস্তি দাবি করেছেন৷ শিক্ষাঙ্গনে এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদ জানাল অল ইন্ডিয়া মহিলা সাংস্কৃতিক সংস্হা৷ এদিন সংস্হার পক্ষ থেকে স্বপ্না দাশগুপ্ত জানান, এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন পড়ুয়াদের প্রতি উপাচার্যের এই ব্যবহারের নিন্দা করেছেন৷ যাদবপুরের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি৷ সমিতির সাধারণ সম্পাদক উৎপল রায়ের অভিযোগ, শাসকদলের সমর্থন না থাকলে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে পড়ুয়াদের ওপর পুলিসি নির্যাতন চালানো সম্ভব হত না৷ এদিন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি ও অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেছে৷
আজকালের প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর পুলিসি নির্যাতন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও হইচই শুরু হয়ে গেছে৷ বেশ কিছু আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন৷ আবার কেউ কেউ পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ আরেক দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাম্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আদালতের নির্দেশে প্রশাসনিক সাহায্য পেতে জনস্বার্থ মামলা করেছেন বিমলকুমার নন্দ নামে এক শিক্ষাবিদ৷
সেই মামলায় ছাত্ররা যুক্ত হতে চাইছে৷ মামলাটি লড়বে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ সহযোগিতা করবেন আইনজীবী জয়ম্তনারায়ণ চ্যাটার্জি, শীর্ষেন্দু সিংহরায়৷ আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পড়ুয়ারা যোগাযোগ করেন৷ এমনকি কিছু আইনজীবীও অরুণাভ ঘোষকে এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা করার জন্য উদ্যোগী হতে বলেন৷ অরুণাভবাবু তাঁদের সবাইকে জনস্বার্থ মামলা না করার জন্য বলেন৷ বরং পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার মামলা করার প্রস্তুতি নিতে বলেন, সেটা কীভাবে? তাঁর পরামর্শ, ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিসি হামলার অভিযোগ করেছেন৷ পুলিস কোনও অভিযোগ গ্রহণ করেননি৷ কিংবা অভিযোগ গ্রহণ করলেও, বিধি অনুসারে ব্যবস্হা নেয়নি৷ অভিযোগকারীরা ওই পুলিসের বিরুদ্ধে ঊধর্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও অভিযোগ জানাবেন৷ নাকি আলিপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করবে৷ পরিস্হিতি যা, তাতে কোনও কাজ হবে নাই বলে মনে হয়৷ ফলে সহজেই পুলিস নিষ্ক্রিয়তার মামালা করা যায়৷ অরুণাভবাবুর বক্তব্য, বিধি অনুসারে উপাচার্য পুলিসকে ডাকতে পারে৷ কমিশনার বলেছেন, পুলিস লাঠিচার্জ করেনি, কিন্তু পড়ুয়াদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, সেটাও যদি কমিশনারের সঙ্গেই কেউ করে, তাকে তিনি নির্যাতন বলবেন না৷ ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে যা দেখিনি, তা-ই হয়েছে এখানে৷ এমনকি ছয়ের দশককেও লজ্জা দিয়েছে৷ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নির্যাতিতা ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি হাইকোর্টে লড়াই করবেন৷ তরুণ আইনজীবী জয়ম্তনারায়ণ চ্যাটার্জিও এগিয়ে এসেছেন৷ আরেক দিকে সরকারি আইনজীবীরাও পাল্টা মামলা করার জন্য বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে৷ তারা খুজে বেড়াচ্ছে সেদিন রাতের ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কতটা নথি রয়েছে৷
আজকালের প্রতিবেদন: ‘যাদবপুর-কাণ্ডে পুলিস আইন মেনেই কাজ করেছে৷ ছাত্রছাত্রীদের ওপর পুলিস লাঠিচার্জ করেনি৷ পুলিস সংবেদনশীল ছিল৷’ বৃহস্পতিবার লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতা পুলিসের নগরপাল সুরজিৎ কর পুরকায়স্হ যাদবপুর-কাণ্ডে এমনই দাবি করলেন৷ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকে ছিল৷ তাদের কাছে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র ছিল৷ আতঙ্কে ভুগছিল শিক্ষকেরা৷ লিখিতভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অধ্যক্ষ, অধ্যাপিকাদের উদ্ধার করতে পুলিস গিয়েছিল৷ লাঠি নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেনি পুলিস৷ কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমে লাঠিচার্জের কথা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুল৷ পুলিসকে বলা হয়েছিল লাঠি না নিয়ে ঢুকতে৷ শেষ পর্যম্ত আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ধৈর্য ধরে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়েছে পুলিস৷ শিক্ষকদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিসকেই অকথ্য গালিগালাজ শুনতে হয়েছে৷ উল্টে ঘেরাও মুক্ত করতে গিয়ে ১১ জন পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন৷’ লাঠিচার্জের তত্ত্ব খারিজ করতে গিয়ে পুলিস কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলনেই ভিডিও ফুটেজ দেখান৷ তিনি বলেন, এখানে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে পুলিস ছাত্রছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে৷ তাঁদের ওপর অত্যাচার করেনি৷ পুলিস কোনও ভুল কাজ করেনি৷ যথেষ্ট মহিলা পুলিসকর্মী গিয়েছিলেন৷ এছাড়া সেখানে সাদা পোশাকে এবং উর্দিতে পুলিস পাঠানো হয়েছে৷ যদিও তিনি ক্যাম্পাসে আলো নেভানোর বিষয় নিয়ে কোনও মম্তব্য করতে চাননি৷ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে পুলিস কোনওভাবেই জড়িত নয়৷ কেন আলো নিভে গিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন পদস্হ পুলিস কর্তারাও৷ নগরপালকে সাংবাদিকেরা যাদবপুর-কাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও, তিনি উত্তর দিতে চাননি৷ প্রশ্ন এড়িয়ে যান৷
আজকালের প্রতিবেদন: রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাইলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকাম্ত মিশ্র৷ বিচারবিভাগীয় তদম্তের দাবি তুলল বি জে পি৷ প্রদেশ কংগ্রেস জানাল, পুলিস বা নগরপাল তৃণমূল কংগ্রেসের দাসের মতো আচরণ করছেন৷ অবিলম্বে একটি তদম্ত কমিটি গঠন করা হোক৷ সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদিন চলল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিগ্রহ, পুলিসি নির্যাতন নিয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, মিছিল৷ শাসক দল ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দলই পুলিসি হামলার নিন্দার পাশাপাশি সরব ছিল উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে৷ এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর সূর্যকাম্ত মিশ্র বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, গতকাল আমি যাদবপুরে গিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ পুলিসের অত্যাচারে আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেছি৷ ছাত্ররা অবরোধ করছিল৷ আমি তাদের বলি এটা তো পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি নয়৷ আপাতত অবরোধ তুলে নাও৷ আমি কাল রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সঙ্গে দেখা করে সব জানাব৷ ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছিল৷ আমি সমর্থন করি৷ এই উপাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য শাসক দল যারপরনাই তৎপর হয়ে উঠেছিল৷ এখন তাঁকে আড়াল করার জন্য তারা তৎপর৷ সূর্যকাম্ত বলেন, আমি রাজ্যপালকে বলেছি, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওই পদে থাকার যোগ্যতা নেই৷ আর পুলিস প্রশাসন যা বলে চলেছে তা আদৌ সত্য নয়৷ নগরপাল তো বলেছেন, ওখানে সেদিন রাতে পুলিস সংবেদনশীল আচরণ করেছে৷ এই প্রশ্নে সূর্যকাম্তের পাল্টা মম্তব্য, সংবেদনশীলতাই বটে, তবে তা ‘মা-মাটি-মানুষ’ ব্র্যান্ড. এদিন নগরপালের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সি পি আই (এম এল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, পুলিস কি মাঝরাতে ওখানে রসগোল্লার হাঁড়ি নিয়ে গিয়েছিল? বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই রাতে যদি সশস্ত্র বহিরাগত থেকে থাকে তাহলে তাদের কাউকে বমাল ধরল না কেন পুলিস? এ তো আরও বড় অপরাধ করেছে পুলিস! প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি নগরপালের বিবৃতি প্রসঙ্গে বলেন, ওঁদের চোখের দৃষ্টি হয়ত বেশি৷ তাই দেখতে পাচ্ছেন না৷ আমরা তো সাধারণ দৃষ্টিতে টিভি-তেস্পষ্ট দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অন্ধকার করে পুলিস ছাত্র-ছাত্রীদের পেটাচ্ছে৷ সরকার যদি এত বীর হয় তো মাঝরাতে অন্ধকারে মারতে হয় কেন? কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, সাধারণত অবিচার, অন্যায়, অসাম্য, অস্বাস্হ্যকর পরিস্হিতির বিরুদ্ধেই ছাত্ররা আন্দোলন করে৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়গুলি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং সমস্যার সমাধান করা৷ বিশ্বে কোথাও পুলিসকে ডেকে ছাত্র আন্দোলন দমানো যায়নি৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই পথেই হেঁটেছে৷ এমনকী ছাত্রীদেরও মারধর করেছে পুলিস৷ আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে আমার আবেদন, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ তদম্ত কমিটি গঠন করুন৷ রাজ্য বি জে পি-র সভাপতি রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, ছাত্রদের আন্দোলনকে মাওবাদী তকমা দিয়ে দিতে পারে সরকার৷ ঘটনায় স্পষ্ট পুলিস এককভাবে কোনও কাজ করতে পারছে না, তৃণমূলি গুন্ডাবাহিনীর সাহায্য নিতে হচ্ছে৷
স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু: সারদা-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে পথে নামল বি জে পি৷ বৃহস্পতিবার তারা হাজরা মোড়ে সই সংগ্রহ কর্মসূচির সূচনা করে৷ সংগৃহীত সই জমা দেওয়া হবে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে৷ ১ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়েছে বি জে পি৷ এদিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্হা৷ তাঁর অভিযোগ, পরিবর্তনের সরকার অযোগ্য শুধু নয়, দুর্নীতিগ্রস্ত৷ এই সরকারের আর কাজ করার অধিকার নেই৷ জনগণের আদালতে তাদের বিচার হবে৷ তাই মানুষের সমর্থন চাইছি৷
যাদবপুর: উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনড় ছাত্রছাত্রীরা
| ||||
|
গত দেড় বছরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি ...। ব্যাস্ত হয়ে পরেছে সব সংবাদ মাধ্যম ...।। তোলপাড় হয়েছে রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ...। চর চর করে বেরেছে বৈদ্যুতিক সংবাদ মাধ্যমের TRP । চুল চেরা বিশ্লেষণ সেখানে । কখনো পক্ষে ... কখনো আবার বিপক্ষে ... । হ্যা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ঠিক এমনটাই চলেছে রাজ্যের অবস্থা । এর পর আইন ব্যাবস্তার বিস্তর টানাপড়েনের পর অবশেষে সরবোচ্চ আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গয়েন্দা সংস্থা CBI এর হাতে তদন্তের লাগাম ...।
এবার শুরু CBI এর দাপাদপি । একে একে খুলে পরতে লাগলো সমাজের উঁচু তলার মানুষদের মুখোশ গুলো । প্রভাবশালী মন্ত্রী থেকে সুরু করে প্রক্তন আমলা । রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় নেতা ও তার পারিবারের সদস্যরা । প্রক্তন পুলিশ কর্তা থেকে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা (বাধ্যজিবি) । কেউ বাদ জায়নি। CBI এই তদন্তের হাত থেকে বাচতে , সাধারন মানুষের সামনে অপদস্ত হওয়ার হাত থেকে বাচতে , এই কেলেঙ্কারির পাণ্ডারা ......, যারা ওই হতদরিদ্র মানুষ গুলোর সর্বস্ব লুঠ করেছেন , তাদের মধ্যে কয়েকজন আশ্রয় নিয়েছেন হাসপাতালে । বাকিরা এদিক ওদিক করছেন বাচার প্রচেষ্টায় । নিজো ঘোষণায় পরিচিতো সুশীল সমাজ ও মুখে কুলুপ এঁটেছেন , কারন ইতিমধ্যে এই সুশীল সমাজের বহুলাংশ নিজেদেরকে লাভজনক মূল্যে বিক্রীত করে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী থেকে বাদ্ধ্যজীবী তে পরিনত হয়েছেন । তাই তো এখন আর কেউ বিপ্লবের কথা বলে না । জলন্ত মোমবাতি্র মিছিল সমাজকে নতুন করে আলোকিত করে না । ওরা তৃপ্তি করে সমাজকে চেটে পুঁটে খেয়েছেন , বড়ো ঢেঁকুর তুলেছেন , এখন জাবড় কাটছেন ।
তাহলে ছবিটা কি দাঁড়ালো শেষে ? আমার প্রশ্নটা সেখানেই । শাসক ঘনিস্টো এই “আনু” , “পানু” , “তিনু” রা যে খুঁটে ... ঘেঁটে ... চেটে খেয়ে চলে গেলো , কিন্তু সেখানে কালীঘাটের “মা” , “বোন” , ভাই , ভাই - পোঁ দের পকেটে কি একটি পয়সাও যায়নি ? এটা কি বিস্বাস করা যায় ? শাসক দলের অতি ঘনিস্টো কোনো বেক্তিও কি বিশ্বাস করেন যে কালীঘাটের “মা” এর চরনে একটি দানা ভেটও চরেনি ! ভাবতে অবাক লাগে । কিন্তু অবাক হোলেও ভাবতে হোচ্ছে । বিশ্বাস কোরতে পাপ বোধ হয় কিন্তু কিছু করার নেই ... সংশয় নিয়েই থাকতে হবে ।
******
আমার প্রশ্ন আমি আপনাদের সকলের কাছে রাখলাম ... , সাথে আপনার সুচিন্তিত মতামত এর অপেক্ষায় রইলাম । বেশকিছু LIKE ভিক্ষা আমি কড়ছি না । আমি শুধু আপনার সাহসী মতামতটি আশা করছি ............।।
- 14 people like this.
- উন্মাদ হার্মাদ শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যাই গো দাদা,
- শুধু কুনাল কেন, এ রকম কত ছিনাল সরি কুনাল বেরোবে, শুধু ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করো....
- Jhunai Sengupta oof...ato kintu kintu korar ki achhe..??? ofcourse gachhe... eta amio jani...tumio jano.. sobai jane... aar sono... ja rote tar kichhu ta to bote... ei probad ta kintu sotter upor base kore e procholito..kunal to nirupai hoye akhon fas korchhe...jokhon dekhchhe je o machh churi kore jele aar pukur churi kore lok jeler baire bohal tobiyote ghurchhe... @ bhaskar...
- Bhaskar Guha AAMAR CHOKHER SAAMNE KEBOL MATRO OI HOTO DORIDRO AADH PETA KHAOWA MANUSH GULOR CHOBI BHESE OTHE "JHUN" ....... ORA TO EI MOHILA KE CHOKH BONDHYO KORE SUDHU MATRO MONER ADESHE SOMORTHON DIECHILO ...... KINTU BASTOBE KEU AAJ 500 KOTI TAKAR MALKIN ........... KEU NISSYO ... SORBOSSYO .......... Jhunai Sengupta
- Jhunai Sengupta akdom bhaskar... tai to aaro raag hoi mohilar upor...
- Bhaskar Guha EKDOM JHUN ........
CBI কে মুকুল এখোনো বাগে আনতে পারলো না ......। CBI তো হন হন কোরে এগিয়ে ই চলেছে । ঠিক যেন পাগলা ষাঁড় । এই ভাবে চললে এবার ওরা কোন দিন কুমীর এর মতন কোরে আমার ঠ্যাং টা ধরেও টান মারবে ............ ।
সব এই মদনার কারনে হোলো ... । আমি প্রথম দিন থেকে ওকে সাবধান করেছিলাম । কানে নিলো না । Over confidence ... নাও এবার ঠ্যালা সামলাও।
আমার মান - সন্মানে একেবারে কেরোসিন ঢেলে দিলো এরা .........
যা গতি প্রকিতি দেখছি ...... তাতে মনে হচ্ছে এবার ভাই ফোটা টা ও আর দেওয়া হবে না আমার ...।।
উফফফ আমি আর ভাবতে পারছি না ... এখন কি যে করি আমি ...... !
সততার প্রতিক ঃ
আর কতো দিন এমন ধোমকে চোমকে রাখবি "মা" ? এবার একটু মুখটা খুলতে দে ! আমার পেট যে গুর গুর করছে একদম ............। এই দেখ না একবার তাকিয়ে ...............
তবে কি বাংলার সুশীল সমাজ বর্তমানে ধর্ষণ কে উপভোগ করেন ? তাই বোধায় এখোন রাজ্যে মোম্বাতি মিছিল উধাও .........।।
জয় বাঙলা ...।। পচা খুটে খা ...।।
Bijan Hazra shared Subhasis Das's photo.
4 hrs ·
Dipak Barman
সোজা করে দাড়াতেই পারে না, তখন রুখে দাড়িয়ে রাত
জাগে এই ছাত্র সমাজ...
কারন, ছাত্র সমাজ জানে, পুলিশ-গুন্ডা-ফ্যাসিস্ট
সরকারের আক্রমনে পিছিয়ে পড়তে হয়, আর পিছোতে পিছোতে পিঠ
দেওয়ালে ঠেকে গেলে.. সেই দেওয়াল জুড়েই লিখতে হয়...!!
বাংলার ছাত্র সামাজ-সংগ্রামী অভিনন্দন...
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক............
Nityanand Gayen shared Pranjal Rawat's status update.
4 hrs ·
दीदी कहाँ हैं ?
Pranjal Rawat added 6 new photos.
কেবল মাত্র মুকুল ... মদন ... রজত ... কুনালরা কেনো ? আরও অনেক নবীন শিল্পী আছে দলে ............। একবার কালীঘাট এর দিকে চোখ ফেরানো যাক না ... !
সারোদার আর্থিক কেলেঙ্কারিটা অনেকটা যেন শীতের রোদে সর্ষের তেল এর মতন ...।।
বিষ ফুল কর্মী , নেতা , নেত্রীরা এবং তথাকথিত সুশীল সমাজ এমন ভাবে শরীরে মেখেছে, এবং এত যত্ন করে মেখেছেন যে এখন কোনো সাবান সোডাতে গা থেকে গন্ধ যাচ্ছে না ।
আর CBI সেই গন্ধ শুঁকেই একেবারে দোরগোড়ায় ............
একটা সময় এমনটা ছিলো যখন গ্রামের ওই খেটে খাওয়া গরীব চাষাদেরকে আপনি বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে আপনি ওদের হিতৈষী । অনিচ্ছুক কৃষকের নামে আপনার ভাড়া করা মানুষজন দিয়ে একটি নিছক ই বেক্তি কেন্দ্রিক অবরোধ গড়ে তুলেছিলেন ততকালিন বাম সরকারের দুর্বলতাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে । নাম করন হয়েছিলো “কৃষক আন্দলন” ... । আপনার নেত্রিত্যে রাতারাতি ব্যাঙ্গাচির মতন করে গজিয়ে উঠেছিল কৃষি জমি বাচাও কমিটি । পাশেপেয়েছিলেন একাধিক বুধ্যিজিবিকে । আপনার দান দাক্ষিন্যে পরবর্তীকালে যাদের প্রত্যেকেই আপনার “বাধ্যজিবি” । রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ আপনাকে আঁকরে ধরে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখার কথা ভাবতে শুরু করে । শুরু হলো পরিবর্তনের ডাক, এবং তার সঙ্গে ছিলো ফুলঝুরির মতন করে আওরে যাওয়া আপনার কিছু মিথ্যা প্রতিস্রুতি । আপনি একজন পেশাদারীর মতন করে আপনার সেই নিরলজ্জ্য মিথ্যা গুলোকে সাধারন মানুষকে গ্রহন যোগ্য বলে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছিলেন । ওই টিপ সই দিয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া মানুষগুলোর সাথে সাথে সম্পূর্ণ বাংলা মনে প্রানে বিশ্বাস করতে চেয়েছিলো যে আপনিই হয়তো সেই সততার প্রতিক , যাকে তারা এতদিন কল্পনা করে এসেছে । যার ফলাফল বিপুল জনসমর্থনে আপনার রাজ্যাভিষেক । অতএব দীর্ঘদিন পর একটা পরিবর্তন ।
মানুষের আশা প্রত্যাশা তখন যা কিছু ......... তার সিংঘ ভাগই আপনাকে ঘিরে । প্রথমেই আপনি খুব সুকৌশলে শিখিয়েছেন কি ভাবে আপনার বিরোধীদের ঘেন্না করতে হয় । মানুষ শিখেছে । এর পর আপনি শিখিয়েছেন কি ভাবে বিরোধিতাকে চূর্ণ বিচূর্ণ কোরতে হয় ...... । মানুষ আপনাকে করে দেখিয়েছে। কার্যত বিরোধিশুন্য করে ছেরেছে গোটা রাজ্যকে , যাতে আপনার স্বৈরাচারীতায় কোনো বিঘ্ন না ঘটে । এমনটাই হয়েছে এবং এর সবটাই ঘটেছে আপনার অদৃশ্য অঙ্গুলি হিলনে ।
এবার না হয় প্রাপ্তির কথায় আসা যাক । নিন্দুকেরা বলে কিচ্ছু নেই প্রাপ্তির ভাঁড়ার । চারিদিকে সুধুই শূন্যতা । আমি বলি ওরা মিথ্যুক । ওরা মিথ্যাচারী যারা অপদার্থ বলে । বেক্তিগত ভাবে আমি মনে করি , আপনি আশাতীত ভাবে মানুষকে দিয়েছেন । বিভিন্ন রকম প্রতিকূলতার মাঝে দারিয়ে ও আপনি নিজেকে যথেষ্ট ভাবে প্রমান করেছেন । এবং সত্যিকথা বলতে কি আপনার সমর্থনে দাঁড়ানো , আপনার পাশে দাঁড়ানো আপনার ছায়া সঙ্গীরাও আপনার কাছ থেকে এতটা ফলাফল আশা করেন নি । আর সেই কারনে সামগ্রিক ভাবে সমস্ত ক্রিতিত্যের পালক আপনি আপনার মুকুটে লাগিয়ে নিতেই পারেন ।
আপনি না থাকলে আমরা আরাবুলদের মতন তাজা যুবকদের খোজ পেতাম না । আপনি না থাকলে আমরা কেস্টার মতন সংঘটকের দেখা পেতাম না । আপনি না থাকলে আমরা একের পর এক ধর্ষণ কাণ্ডকে ছোটো ঘটনা বলে ভাবতে শিখতাম না । আপনি না থাকলে শ্লীলতা হানির ঘটনা গুলকে ছোটো ছোটো ছেলেদের সামান্য দুষ্টুমি বলে ক্ষমা করতে মেনে নিতে পারতাম না । আপনি না থাকলে এক অসহায় প্রশাসন কে আমাদের দেখাই হতো না ।
আপনি না থাকলে কোথায় আমরা খুঁজে পেতাম সুদিপ্ত র মতন জাদুকর কে ? আপনি না থাকলে কুনালের কি জন্ম হোতো ? আপনি না থাকলে কোথায় আমরা খুঁজে মরতাম মদন বাবু , মুকুল বাবু , পার্থ বাবুদের মতন রসিক চরিত্র ? আপনি না থাকলে কে আমাদের অভিমানের শহরকে রাঙিয়ে দিতো নীল সাদা রঙে ? আপনি না থাকলে অপদার্থ পুলিশকে কে ঠ্যাঙ্গাতো ?
তাই নিন্দুকেরা যা কিছু বলে বলুক , ওটা ওদের বেক্তি স্বাধীনতা ...... । কিন্তু আমি বোলব আপনি আপনার কাজে ......... , আপনার প্রতিশ্রুতিতে ১০০ ভাগ সফল । পাহাড় ... জঙ্গল রা হাসল কি কাঁদল সেটা মুক্ষ নয় । রাজ্যের রুদালির আর্তনাদ কতোটা তীব্র হোলো সেটা ও তেমন জরুরী নয় । আমি এবং আমরা মা ...মাটী ... উৎসব ... পার্বণ নিয়ে বেশ ভালোই আছি । সেখানে খুন , ধর্ষণ , আর্থিক কেলেঙ্কারি গুলো আমাদের বারতি প্রাপ্তি ।
- 8 people like this.
- উন্মাদ হার্মাদ সোনাগাছির বেশ্যারাও এই ঘটনার পর লজ্জিত।
Krishanu Majumder
Jyotirmoy Ghosh
পুলিশ তুমি যতই মারো মাইনে তোমার ১১২............
আজ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরও কয়েকটি কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের লালবাজার অভিযানে হাততালি দিতে দিতে ছাত্র ছাত্রীদের গলায় পুলিশ তুমি যতই মারো মাইনে তোমার ১১২ এই স্লোগানটি শুনতে শুনতে আমার মন চলে গিয়েছিল ১৯৬৪-৬৬ সালের গন আন্দোলনের সময়ে যখন মিছিলে, হাতে লেখা পোস্টারে এই স্লোগানটি চতুর্দিকে ছেয়ে গিয়েছিল । সেই সময়ে পুলিশ কনস্টেবলদের মাইনে ছিল মাসে ১১২ টাকা । এই স্লোগানটি সেই মাইনের ভিত্তিতেই রচিত হয়েছিল । ৬০ এর দশকের সেই গন আন্দোলনের, যার পুরোভাগে ছিল তৎকালীন ছাত্রসমাজ, জেরেই ১৯৬৭ সালে সরে যেতে হয়েছিল কংগ্রেস সরকারকে । ২০১৪ সাল শুরু হওয়া এই ছাত্র আন্দোলনের জেরেই যে মা মাটি মানুষের এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে চলে যেতে হবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত । ২০১৬ সালের আগেই চলে গেলেও আমি অবাক হবো না ।
Krishanu Majumder
পুলিশ কাকু ... পুলিশ কাকু তোমার বাড়ি যাব।
পুলিশ কাকু তুমি কি আর আমার কথা ভাবো ?
পুলিশ কাকু সেদিন রাত 'এ হঠাথ অন্ধকারে
ছত্রভঙ্গ হয়েছিলাম তোমার ভীষণ মারে
ডেস্ক এ বসে 'Protest' করি , 'অরবিন্দ ঘর'
মাত্র কজন , একশ - দুশ ' মাওবাদী দের চর '
আমি তখন মহীন - ডিলান , প্রতিবাদের ভাষা
তোমরা তখন কষছিলে ছক - ভীষণ সর্বনাশা
পুলিশ কাকু ...পুলিশ কাকু , বেশ তো ছিলাম ভালো
হঠাথ করে তুমি তখন নিভিয়ে দিলে আলো
তখনও আমরা ভেবেছিলাম আলোচনাই হবে
কিন্তু তুমি শান্তিপূর্ণ , কি করেছ ? কবে ?
কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু , ফুটেছে মঞ্জরী
এতকিছুর পরেও তোমায় বুঝতে ভুল করি
আমি তখন হাত মিলিয়ে মানব-প্রাচীর গড়ে
'পিশাচ'টাকে আটকেছিলাম মধ্যরাতের পরে
পুলিশ কাকু ...পুলিশ কাকু , এই যে দুদিন পরে
এখনো তুমি গাইছ সাফাই , লজ্জা তোমার করে ?
সেসব কথা বলেছ তুমি , নবান্নতে গিয়ে ?
গভীর রাতে ঢুকেছিলে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে
তারা সবাই 'সিভিল ড্রেস' এ , গায়ের রং কালো
স্বীকার করি , দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
ফাটিয়ে দিলে মুখ , আমার বুজিয়ে দিলে চোখ
তখনও আমরা বলেছিলাম এসব বন্ধ হোক
এরপরে যা করলে তুমি রাতের অন্ধকারে
এখনো সেসব ভাবতে কাকু ... ভীষণই ভয় করে
আমার সামনে আমারই এক বান্ধবী কে মেরে
ছিড়লে জামা , মারলে ঘুষি চুলের মুঠি ধরে
রক্ত অনেক ঝরেছে , এবার ফেরত দেওয়ার পালা
লাগলে গায়ে আবার মারো , মিটিয়ে নিও জ্বালা
আজ দেখছ আমরা কেমন নেমেছিলাম পথে
হাজার হাজার 'পলাশ' 'অনিল' 'মৌমিতা' দের সাথে
তোমরা তখন মিছিল দেখে মুচকি মুচকি হেসে ..
ভাবছ বুঝি 'বিপ্লব' আর আসবে না এই দেশে
আজ মেরেছ , কাল কি হবে ? ... কালের ঘরে শনি
যতই তোমায় আসকারা দিক তোমার 'দিদিমনি'
এবার আগুন জ্বলবে কাকু , একটু পেয় ভয়
কেমন হবে , শহর যদি Leningrad হয় ?
অসঙ্গতি দেখে সক্রিয় রাজ্যপাল
শিক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের ব্যাখ্যা শোনা হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে শুক্রবার তবু কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তলব করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এর পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বক্তব্য শুনতে চান। যাদবপুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা এবং প্রশাসনের ব্যাখ্যায় তিনি যে সন্তুষ্ট নন, রাজ্যপালের পদক্ষেপে এই বার্তাই স্পষ্ট বলে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নিগ্রহের তদন্তে পুলিশ ডাকেননি উপাচার্যই
নিজের প্রাণসংশয়ের কথা বলে যাদবপুরের ছাত্র আন্দোলন ভাঙতে পুলিশ ডাকতে দ্বিধা করেননি তিনি। উপাচার্যের সেই সিদ্ধান্তের পরিণতিতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে নির্বিচারে পিটিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু এক তরুণীর শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত কয়েক জন ছাত্রকে চিহ্নিত করে তদন্তের জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ ঢোকাতে সেই উপাচার্যই কিন্তু পিছু হটেছিলেন। অভিযোগকারিণী ছাত্রীর বাবার আর্জি উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকলে যাদবপুরের ভাবমূর্তি, মর্যাদা, সব তছনছ হয়ে যাবে!
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মারাত্মক অস্ত্রের সামনে নিরস্ত্র পুলিশ কেন
কর্তার যুক্তি নিয়ে তর্ক ওঠালেন কর্মীরাই। যাদবপুর-কাণ্ডে পুলিশ কমিশনারের দাবি শুনে বাহিনীর অন্দরে এখন প্রশ্ন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সেই রাতে ‘মারাত্মক অস্ত্র’ নিয়ে বহিরাগতেরা যদি সত্যিই ছিল, তা হলে লালবাজার সব জেনেশুনে ‘নিরস্ত্র’ পুলিশকর্মীদের তাদের মুখে ঠেলে দিল কেন? কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন, মঙ্গলবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে মারাত্মক অস্ত্র নিয়ে কিছু বহিরাগত ছিলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ADVERTISEMENT
আলোচনাতেই বাধা সরালেন যাদবপুরের সহ-উপাচার্যরা
ঢুকতে বাধা পেয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চেয়ার পেতে বসেছিলেন তাঁরা। পুলিশ ডাকেননি। বিকেলের পরে রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ এবং সহ-উপাচার্য সিদ্ধার্থ দত্তকে দফতরে ঢুকতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যাদবপুরের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। হাতজোড় করে বলেন, “স্যার, আপনারা ভিতরে যান।”
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
কড়া বার্তা দিতে অভিজিৎকেই রাখতে চায় রাজ্য
ছাত্র-বিক্ষোভের সামাল দিতে পুলিশ ডাকা নিয়ে প্রবল বিতর্কের পরেও তারা যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর পাশেই থাকছে, সেটা বৃহস্পতিবারেই পরিষ্কার করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুধু তা-ই নয়, আচার্য-রাজ্যপাল কোনও বিরূপ মত না-দিলে উপাচার্যের পদে অভিজিৎবাবুকে আরও ছ’মাসের জন্য রাখা হতে পারে বলেও শুক্রবার সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
লিলুয়ায় সৌহার্দ্যের ঘেরাও সুনিদ্রায় শেষ
কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে রাখার জন্য কলেজের যে-সব গেটে বৃহস্পতিবার রাতে তালা দেওয়া হয়েছিল, শুক্রবার ভোর হওয়া মাত্র বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারাই সেগুলো খুলে দিলেন। আবার যে-সব ঘেরাওকারী পড়ুয়া কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুমিয়ে ছিলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় তাঁদের ডেকে তুললেন সারা রাত ঘেরাও হয়ে থাকা অধ্যক্ষ-শিক্ষকেরাই।
শান্তনু ঘোষ
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
শৃঙ্খলা রক্ষায় বেআইনি পথ নয়, মত হাইকোর্টের
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কোনও বেআইনি পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া রাজ্যের পক্ষে উচিত হবে না বলে শুক্রবার মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তুলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এ দিন ওই মামলার শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর রাজ্য সরকারকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ রাজ্যের।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সমস্যা মেটেনি, সুরঞ্জন আবার সায়েন্স কলেজে
রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বহিরাগতদের বার করে দিয়ে বৃহস্পতিবারের মতো পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কিন্তু শুক্রবার বিকেলে ফের কলেজ-চত্বরে যেতে হল তাঁকে। কারণ, সায়েন্স কলেজের সঙ্কট কাটেনি। শিক্ষক ও পড়ুয়াদের অনেকেরই অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর রাজ্য সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সায়েন্স কলেজ ক্যাম্পাসে একটি সভা হয়েছিল।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আলিমুদ্দিনের বার্তায় দ্রুত সিবিআইয়ের কাছে রবীন
এক দিকে দলীয় নেতৃত্বের কড়া বার্তা। অন্য দিকে, সিবিআইয়ের চাপ। এই সাঁড়াশির মাঝে পড়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মত বদলালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব। বৃহস্পতিবার সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। আর শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সোজা হাজির তাদের দফতরে!
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সিবিআই মোকাবিলায় এক মঞ্চে মুকুল-শুভেন্দু
বিরল ফ্রেম। হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে তৃণমূলের দুই সাংসদ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী! শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। তবে কি সারদা-কাণ্ডই মিলিয়ে দিল দু’জনকে! শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুলবাবু এবং সাংসদ শুভেন্দুর বিরোধ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে জল্পনা বিস্তর।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
কী আর বলব স্যার! স্তিমিত রজত জেলেই
শেষ পর্যন্ত জেলেই গেলেন প্রাক্তন ডিজি। সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রজত মজুমদারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। রজতবাবুর আইনজীবী জামিনের আর্জি জানালেও সিবিআইয়ের আবেদন মেনে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট হারাধন মুখোপাধ্যায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দিল্লির রাস্তায় দেল পিয়েরোর সাংবাদিক সম্মেলন
ভারতে খেলতে এসে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করলেন রাস্তায়! নেপথ্যে নিরাপত্তার কড়াকড়ি! আইএসএলে দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে খেলতে গতকালই দিল্লিতে পা দিয়েছিলেন জুভেন্তাস ও ইতালির বিখ্যাত ফরোয়ার্ড আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো।
নিজস্ব প্রতিবেদন
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দুই নীলের লড়াইয়ে ধর্মযুদ্ধে ল্যাম্পার্ড
রাস্তায় দেখলে কথা বলবেন না মোরিনহো
সচিনের ‘গুরুকুলে’ নাম লেখালেন বিরাটও
বিরিয়ানি খেতে না দেওয়ায় ধোনির হোটেল ত্যাগ
মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে ২০ বছর কারাদণ্ড
মধ্যমগ্রামে গণধর্ষণ এবং পরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ জনকে ২০ বছর কারাদণ্ড দিল আদালত। শুক্রবার বারাসত ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বিশেষ আদালতের বিচারক শান্তনু ঝা এই নির্দেশ দেন। গণধর্ষণ সংক্রান্ত সংশোধিত নতুন দণ্ডবিধিতে রাজ্যে এই প্রথম কারও সাজা হল। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর ২৫ অক্টোবর। তার আগেই মার্চ মাসে গণধর্ষণ সংক্রান্ত আইনের পরিবর্তন করা হয়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পশুগুলোর মুখ দেখতে পেলাম না, খেদ লাভপুরের নির্যাতিতার
রায়ের দিন আদালতে থাকতে না পারার আক্ষেপ কিছুতেই যাচ্ছে না লাভপুরের গণধর্ষিতার। শুক্রবার দুপুরে ফোনে খবরটা পেয়ে তাই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বললেন, “রায় হয়ে গেল? অথচ পুলিশ-প্রশাসন কোনও খবরই দিল না! আগে জানলে, আদালতে চলে যেতাম। রায় শোনার পরে ওই পশুগুলোর মুখ কেমন ছিল, খুব জানতে ইচ্ছা করছে গো!”
অর্ঘ্য ঘোষ
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বরাদ্দেই তুষ্ট তিনি, এড়ালেন শ্যামার দফতর ও মদনকে
ছ’মাস পরে আরও এক বার মূল্যায়ন। মাপকাঠি বদলাল না এতটুকু! প্রকৃত উন্নয়নের বদলে কাজের জন্য কোন দফতর কত টাকা মঞ্জুর করেছে, স্রেফ তার ভিত্তিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সেরে ফেললেন সরকারের কাজের পর্যালোচনা। কোনও দফতরকে সবুজ, কাউকে হলুদ, কাউকে দেখালেন লালকার্ড। কিন্তু শুক্রবারের এই বৈঠকে, পরিকল্পনা খাতের ওই টাকায় কাজ কতটা হল, বৈঠকে তার কোনও পর্যালোচনাই হল না।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পুজোর পর টানা আন্দোলনে কংগ্রেস
আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে ভাঙন-বিধ্বস্ত কংগ্রেস । সারদা, যাদবপুর কাণ্ড তো আছেই, সঙ্গে শাসক দলের সন্ত্রাসকে সামনে রেখে শুক্রবার শহিদ মিনার ময়দানে সমাবেশ করে প্রদেশ কংগ্রেস। সারদা-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ ও প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পুজোর পর কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে বলে ওই সমাবেশ থেকে অধীর চৌধুরী, মানস ভুঁইয়ারা ঘোষণা করেছেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
জামাত-তৃণমূল যোগ নিয়ে সরব ঢাকা
পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের একাংশের আশ্রয়ে কোথায় কোথায় জামাতের দুষ্কৃতীরা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে বিশদ তথ্য চাইল নয়াদিল্লি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম নয়াদিল্লি সফরে এসে আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আবুল হাসান মাহমুদ আলি। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নিরাপত্তার নানা বিষয়ের পাশাপাশি তৃণমূল-জামাত যোগাযোগের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিদেশ
না-এর দলকে জিতিয়ে
স্কটল্যান্ড ব্রিটেনেই
হ্যাঁ বনাম না-এর যুদ্ধ শেষ। স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দিয়ে ব্রিটেনের ৩০৭ বছরের জোট টিকিয়ে রাখলেন স্কটল্যান্ডবাসীই। ব্রিটেন থেকে স্কটল্যান্ড আলাদা হয়ে যাবে কি না, তা ঠিক করতে গত কাল ভোট দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দারা। আগের সমস্ত রেকর্ড ধুয়ে মুছে ভোট পড়ে প্রায় ৩৬ লক্ষ। যা মোট ভোটারের ৮৫ শতাংশ। হ্যাঁ-না এর পালাবদল অবশ্য চলেছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ব্যবসা
কিংফিশারকে স্বেচ্ছায় ঋণ-খেলাপি
ঘোষণার কথা ভাবছে ইউকো ব্যাঙ্ক
কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে এ বার স্বেচ্ছায় ঋণ-খেলাপি (উইলফুল ডিফল্টার) হিসেবে ঘোষণার কথা ভাবনাচিন্তা করছে ইউকো ব্যাঙ্কও। ইতিমধ্যেই কিংফিশার এয়ারলাইন্স, তার কর্ণধার বিজয় মাল্য এবং সংস্থার তিন ডিরেক্টরকে স্বেচ্ছায় ঋণ-খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক। কেন এই তকমা সংস্থাকে দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দেশ
শি ভারত ছাড়তেই
তোপ কংগ্রেসের
শি চিনফিং ভারতে থাকতেই সমালোচনা শুরু করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু কূটনৈতিক শিষ্টতার প্রশ্ন তুলে বিষয়টি নিয়ে বেশি হইচই করতে চায়নি তারা। আজ শি ভারত ছাড়তেই মোদী সরকারের ‘বেজিং-নীতি’ নিয়ে তোপ দাগতে শুরু করল কংগ্রেস। তাদের প্রশ্ন, চিন-নীতি নিয়ে কি বিজেপি তাদের অবস্থান বদল করেছে? না হলে মনমোহন-জমানায় এ ব্যাপারে যেমন কড়া মন্তব্য করতেন তিনি, সে রকম তো এ যাত্রায় শোনা গেল না!
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর
বেলপাহাড়িতে মাওবাদী
ব্যানার, আলোড়ন
‘শান্ত’ জঙ্গলমহলে হঠাৎ আলোড়ন ফেলে দিল সিপিআই (মাওবাদী)-র ব্যানার। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির কিছু এলাকায় শুক্রবার পাওয়া গিয়েছে এমনই কিছু ব্যানার। জঙ্গলমহলকে মাওবাদী হিংসামুক্ত করা তাঁর সরকারের অন্যতম সাফল্য বলে বারবার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত এসপি ভারতী ঘোষেরও দাবি, “মাওবাদী বলে কিছু নেই। কিছু বাজে লোক চাঁদা আদায়ের জন্য এ সব করছে।”
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বিদেশ
বন্দি ব্রিটিশ, ফের ভিডিও
প্রকাশ করল আইএস
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একটা ভিডিও ইউটিউবে। ভেসে উঠল আইএস-এর চতুর্থ বন্দির মুখ। ব্রিটিশ চিত্রসাংবাদিক জন ক্যান্টলি। পরনে সেই চেনা কমলা গেঞ্জি। মুখে আর্তি, “হয়তো আর বাঁচব না!” অগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর নিধন যজ্ঞ ও ইউটিউবে সেই ভিডিও প্রকাশ করার পালা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একটা ভিডিও ইউটিউবে। ভেসে উঠল আইএস-এর চতুর্থ বন্দির মুখ। ব্রিটিশ চিত্রসাংবাদিক জন ক্যান্টলি। পরনে সেই চেনা কমলা গেঞ্জি। মুখে আর্তি, “হয়তো আর বাঁচব না!”
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ব্যবসা
দ্রুত বাড়তে থাকা গ্রিন টি-র
বাজার ধরতে ঝাঁপাচ্ছে দেশি সংস্থাও
দেশের বাজারে বিক্রির নিরিখে ব্ল্যাক-টি (প্রথাগত চা) যদি দৈত্য হয়, তা হলে তার পাশে গ্রিন-টি (সবুজ চা) নেহাতই বামন। কিন্তু নিখাদ বিক্রি বৃদ্ধির মাপকাঠিতে সেই বামনও এখন কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে প্রথাগত (সিটিসি ও অর্থোডক্স) চায়ের দিকে। সৌজন্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা। আর তাই এই নতুন বাজারের গন্ধে সেখানে পা রাখতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশি সংস্থা।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
উত্তরবঙ্গ
ফের অধ্যক্ষ ঘেরাও,
কাঠগড়ায় টিএমসিপি
যাদবপুর কাণ্ডের পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফের বার্তা দিয়েছেন, শিক্ষাঙ্গনে ঘেরাও-বিক্ষোভের রাজনীতি করা চলবে না। অথচ এ বার কলেজের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে অধ্যক্ষকে তাঁর বাড়ির সামনেই ঘেরাও ও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে। যদিও প্রায় তিন ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে থেকেও অধ্যক্ষ যাদবপুরের উপাচার্যের মতো পুলিশ ডাকেননি। ছাত্রভর্তি নিয়ে দাবি-দাওয়ার জেরে শুক্রবার বিকেলে জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে ঘটনাটির সূত্রপাত। অধ্যক্ষ ধীরাজ বসাকের বাড়ির সামনে ওই বিক্ষোভে টিএমসিপি-র বেশ কিছু পরিচিতি নেতাকে দেখা গিয়েছে। যদিও ওই নেতাদের দাবি, বিক্ষোভ দেখাতে নয়, তাঁরা আসলে গিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ ছাত্রদের নিরস্ত করতে।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
দেশ
পর্যটকেরা ফের কবে
আসবেন, অপেক্ষায় ভূস্বর্গ
টানা ১৫ দিন জলমগ্ন থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জনজীবনে ফিরতে চাইছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা। সবার মুখে মুখে ফিরছে একটাই প্রশ্ন। ফের কবে আগের মতো পর্যটকেদের দেখা মিলবে? পেশায় শিকারাচালক সুভান আজ সকালেই প্রথম শিকারা নিয়ে বেরিয়েছেন। বললেন, “ঝিলমকে ওই ভাবে ফুঁসতে আগে দেখিনি। জন্ম থেকেই আমি এখানকার বাসিন্দা। ডাল লেকের জলস্তর অত বাড়তে পারে কখনও ভাবিনি।”
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
শঙ্কু স্যার এর ডাকে এবার পদযাত্রা । সবাই আসছেনতো ?
সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হন সংখ্যাগুরু পড়ুয়ারা, যাদবপুর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য বিচারপতির
উত্তাল যাদবপুর: শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপাচার্যের ইস্তফা দাবি জুটার, উপাচার্যের নিন্দায় সরব নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা
No comments:
Post a Comment