মগের মুল্লুকে বেঁচে থাকার শেষ ঠিকানাতেও শরিকি লড়াইয়ের রণক্ষেত্র।
অ্যাকেডেমির রঙ্গমন্চ দ্বিধাবিভক্ত,বাংলা থিয়েটারে বিভাজন
পলাশ বিশ্বাস
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে আজ যশোর পৌর পার্ক থেকে শহরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি: এহসান-উদ-দৌলা
আমার কিন্তু কিচ্ছু যায় আসে না।
আমি ন্ন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালনার পর বইমেলায় যাইনি কোনো দিন।
আমি ন্ন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালনার পর রবীন্দ্র সদন নন্দন চত্বরে যাইনি কোনোদিন।
জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে টানা লিখেছি,কিন্তু পরিবর্তনে ছিলাম না কোনো দিন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বা মমতা ব্যানার্জির দলে খখনো ছিলাম না কোনো দিন।
সাগরময় ঘো, মারা যাবার পর দেশ পড়িনি আমি।
অন্নদাশন্কর রায়ের মহাপ্রয়ামের পর বাংলা অ্যাকেডেমিতে পা রাখিনি আমি।
তবু বাঙালিক চিন্তনে মননে আমার কোনো ছায়াপথ নেই।আলোকের ঝর্ণাধারা থেকে আমে সহস্রযোজন দুরে বাস করি।
অথচ ওরা ছিলেন।
আর নাটক-থিয়েটার নিয়ে বাংলার মানুষের পথ চলার দীর্ঘ ২০২ বছরের ইতিহাস। বাংলার সংস্কৃতিতে নাটক-থিয়েটার তাই এক অবিচ্ছেদ্দ অংশ। নাটকের উপস্থাপনায় আমাদের ভাবনা অনেক।
নবারুণদা অতি প্রিয়,তবু ফ্যাতাড়ু বোম্বাচাক বা কাঙাল মালসাট নিয়ে সমমনের সিনেমা বা নাটক দেখিনি কোনোদিন।
রুদ্রপ্রসাদ সেনের সঙ্গে বন্ধু গৌতম হালদারের সৌজন্যে পরিচয়।স্বাতীদির এলাহাবাদ শিকড়ের টানও প্রবল,নান্দীকারের নিয়মিত আমন্ত্রণেও আমি সাড়া দিতে পারিনি।
শম্ভু মিত্রের নাম সেই ছেলেবেলা থেকে অতি প্রিয়।বিজন ভট্টাচার্য এবং রাজ কপুরের অতি প্রিয় মানুষটি আমারও প্রিয়,তবু শাঁওলিক সঙ্গে কোনোদিন কথা বলি নি।
তবু বাংলা রঙ্গমন্চ নিয়ে গর্ববোধ করেছি।তবু কৌশিক আমার প্রিয় অভিনেতা,সুমনে আমার প্রাণ,রুদ্রপ্রসাদ আমার চোখ,ক্ষমতা অলিন্দে মন্ত্রী যিনি সেই ব্রাত্যও প্রিয়জন।চন্দনসেনের সুস্থতা আমায় চিন্তিত রাখে।
এসবের সঙ্গে সুশীল সমাজের কোনো যোগ নেই যদিও।
আমরা এপার বাংলা ওপার বাংলার মানুষ নাটককে কত ভালোবাসি, আমাদের সবচেয়ে প্রিয় কবি শুধু গীতি নাট্য রচনা করেই নয়,মন্চে অভিনয় করে বুঝিয়ে গেছেন।
বাংলার ঘরে ঘরে যার ছবি ছাড়া বসবাস চলে না,সেই প্রাণের ঠাকুরও বলে গেছেন,থ্যাটারে লোক শিক্ষা হয়।
অজিতেশ নেই।শম্ভু মিত্র প্রয়াত।যারা এযাবত বাংলা রঙ্গমন্চ দাপিয়ে বেড়িয়েচেন তাঁরাও এখন জর্জ বিশ্বাস বা স্বযং শম্ভুমিত্রের মত অভিব্যক্তি বিশ্ফোরণে ভিতরে ভিতরে রক্তাক্ত।
এ সময় দুঃসময়।
গর্বে আমাদের ভরে যায় প্রাণ,যখন জানতে পারি,বাংলা মঞ্চ নাটক বা গ্রুপ থিয়েটারের চর্চা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে স্থান করেছে প্রবাসের মঞ্চে। আমেরিকার হিউস্টনের প্রবাসীরা গড়ে তুলেছেন 'বাংলাদেশ থিয়েটার, হিউস্টন (বিটিএইচ)' নামে গ্রুপ থিয়েটার। তাদের উদ্যোগে সেখানে একাধিক বিখ্যাত মঞ্চ নাটকের মঞ্চায়ন হয়েছে গত এক বছরে।
হয়ত মন্চের আলোর বৃত্তের বাইরে ,আমরা যারা সাধারণ মানুষ তাঁরা এখনো ওঁদের মন্চীয় উপস্থিতিতে নিজেদের অস্তিত্ব অনুভব করি।
মগের মুল্লুকে বেঁচে থাকার শেষ ঠিকানাতেও শরিকি লড়াইয়ের রণক্ষেত্র।
দিল্লিতে হঠাত্ চিন্তন শিবির সিবিআইয়ের
1 Sep 2014, 09:38
সারদা কেলেঙ্কারিতে তৃতীয় দফায় ঝড় তোলার আগে আবহাওয়া আগাম বুঝে নিতে চাইছে সিবিআই৷ তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, সোমবার থেকে দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে শুরু হচ্ছে তিন দিনের চিন্তন শিবির৷
মমতার ‘জোটবার্তা’ খারিজ বুদ্ধর
1 Sep 2014, 08:51
বিজেপিকে রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জোটবার্তা’কে রবিবার সম্পূর্ণ খারিজ করে দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷বিজেপির প্রশ্নে দু’ দলেরই রাজনৈতিক বক্তব্য অবশ্য মোটের উপর একই৷
কর্মী হাজির কি, জানুন অনলাইনে
1 Sep 2014, 08:58
নাগরিকদের কাছে সরকারি কর্মচারীদের দায়বদ্ধ করে তুলতে আরও একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার৷ এই সিদ্ধান্ত একই সঙ্গে অভিনব কিন্ত্ত কঠোর৷
আজকালের প্রতিবেদন: সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরুদ্ধে আজ, সোমবার শাম্তির মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বামপম্হী দলগুলি৷ রাজ্যের ১৫টি বামপম্হী দল রাজনৈতিক মতবিরোধ সরিয়ে এই মহামিছিলে সামিল হচ্ছে৷ এফ ডি আই, নয়া উদারনীতি, বেসরকারীকরণ, জল-জমি-জঙ্গলের কর্পোরেট লুট– সবই হয়ে উঠবে শাম্তি মিছিলের হাতিয়ার৷ গাজায় ইজরায়েলের আক্রমণের প্রতিবাদও জানানো হবে৷ এদিন রামলীলা পার্ক থেকে এই মহামিছিল শুরু হবে দুপুর ২টোয়৷ শেষ হবে দেশবন্ধু পার্কে৷ সেখানেই জনসভা হবে৷ এই মিছিলে ১৫টি বামপম্হী দলের কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও বিভিন্ন মহলের শাম্তিকামী মানুষকে একজোট হয়ে এই মিছিলে সামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বামপম্হী দলগুলি থেকে৷ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু সব বাম শরিক দলগুলিকে একজোট হয়ে এই মিছিলে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান৷ যে ১৫টি দল এদিনের মহামিছিলে অংশ নেবে সেগুলি হল: সি পি এম, সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক, সি পি আই, আর এস পি, ডি এস পি, আর সি পি আই, মার্কসবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক, বি বি সি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বলশেভিক পার্টি, সি পি আই (এম এল) লিবারেশন, সি পি আই এম এল (সম্তোষ রানা), সি আর এল আই, এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ভারত৷
সতর্কীকরণ
এই মহামিছিলের সংগঠকদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে, রোগী বহনকারী হাসপাতালের গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্সকে ছাড় দিতে হবে৷ প্রয়োজন হলে তাদের গম্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্হা করতে হবে৷ অন্য দিকে মিছিলে আসার উন্মাদনায় প্রাণের ঝুঁকি নেওয়া চলবে না৷ বাস বা ট্রেনে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আসা চলবে না৷ এই সব যানবাহনের ছাদে চড়ে যাতে কেউ না আসেন তাও লক্ষ্য রাখা দরকার৷
টোকিও, ৩১ আগস্ট (পি টি আই)– প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের মধ্যে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্যবস্হা গড়ে তুলতে রাজি হয়েছে জাপান আর ভারত৷ দুই দেশের প্রতিরক্ষা এবং বিদেশমন্ত্রীকে নিয়ে এই ‘টু-প্লাস-টু’ নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্যবস্হা গড়ে তোলা হবে৷ জাপান ইতিমধ্যে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া এবং ফ্রান্সের সঙ্গে এমন ব্যবস্হা গড়ে তুলেছে৷ ভারত হবে পঞ্চম দেশ৷ প্রতিরক্ষায় দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা প্রভূতভাবে বাড়াতে রাজি হয়েছেন মোদি এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে৷ জাপানি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেছেন, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিরাট উন্নতি সম্ভব বলে আমি মনে করি৷ বিশেষত সম্প্রতি উচ্চ প্রযুক্তির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানিতে জাপান তার নীতি আরও উদার করায় এর সম্ভাবনা আরও বেড়েছে৷ জাপ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে রবিবার সন্ধেয় টোকিও এসে পৌঁছন মোদি৷ কিওটোতে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর পর পুরো পথটাই মোদির সঙ্গী ছিলেন অ্যাবে৷ একই বিমানে টোকিওতে আসেন তিনি৷ সাধারণত জাপানি প্রধানমন্ত্রীরা রাজধানীর বাইরে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে সংবর্ধনা জানাতে যান না৷ কিন্তু অ্যাবের এই ব্যতিক্রমী আচরণই বুঝিয়ে দিচ্ছে মোদির সফরকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে জাপান৷ প্রথম দিন কিওটোর সঙ্গে বারাণসীর স্মার্ট সিটি চুক্তি এবং অ্যাবের সঙ্গে নৈশভোজের পর মোদি দ্বিতীয় দিনটা কাটালেন ঐতিহাসিক কিওটো শহরে দর্শনীয় স্হানগুলো দেখে৷ প্রায় সর্বক্ষণই মোদির সঙ্গে ছিলেন অ্যাবে৷ প্রায় ২০০০ মন্দির এবং ধর্মস্হান রয়েছে কিওটোয়৷ প্রায় ১০০০ বছর এই শহরই ছিল জাপানের রাজধানী৷ সাদা কুর্তা-পাজামা, সাদা জ্যাকেট এবং সাদা চপ্পল পরে মোদি প্রথমে যান প্রাচীন তোজি মন্দিরে৷ হিন্দু দর্শনে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের ধারণা অনুসারে তৈরি এই বৌদ্ধ ধর্মস্হানটি ৫৭ ফুট ডঁচু, শহরের উচ্চতম প্যাগোডা৷ অষ্টাদশ শতকের এই প্যাগোডাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্হান বলে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো৷ সেখানে সঙ্গ দেওয়ার জন্য অ্যাবেকে ধন্যবাদ জানান মোদি৷ উত্তরে অ্যাবে বলেন, এই নিয়ে দু’বার এখানে এলাম৷ আগেরবার এসেছিলাম কলেজে পড়ার সময়ে৷ সেখান থেকে সোনার পাতায় সাজানো কিনকাকুজি মন্দিরে যান৷ চতুর্দশ শতকের মন্দিরটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল৷ সেটিকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে ১৯৫৫ সালে৷ আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি৷ ছবিও তোলেন৷ এক শিশুর কান ধরে মশকরা করতেও দেখা যায় তাঁকে৷ এর পর প্রধানমন্ত্রী যান কিওটো বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ সেখানকার ডিরেক্টর ২০১২ সালে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পাওয়া এ ইয়ামানকার সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ ভারতে আদিবাসীদের মধ্যে যে সিকল সেল অ্যানিমিয়া দেখা যায় তা কাটাতে জাপানের স্টেম সেল গবেষণা কতটা সাহায্য করতে পারে তা নিয়েও খোঁজখবর করেন তিনি৷ এই রোগে রক্তের লোহিতকণিকা বর্তুলাকারের পরিবর্তে কাস্তের মতো দেখতে হয়ে যায়৷ হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়ে রক্তাল্পতা দেখা যায়৷ জাপান এ ব্যাপারেও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে৷
চিম্তা শীল
| |
|
স্টার থিয়েটার
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টার থিয়েটার
| |
স্টার থিয়েটারের সম্মুখভাগ
| |
সাধারণ তথ্য
| |
অবস্থা
|
সচল
|
ঠিকানা
| |
শহর
| |
দেশ
| |
উদ্বোধন
|
১৮৮৩
|
স্বত্বাধিকারী
|
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
|
স্টার থিয়েটার হল কলকাতার একটি নাট্যমঞ্চ। এটি ১৮৮৩ সালে স্থাপিত হয়েছিল। স্টার থিয়েটার প্রথমে বিডন স্ট্রিটে অবস্থিত ছিল পরে এটি কর্নওয়ালিশ স্ট্রিটে (অধুনা বিধান সরণি) স্থানান্তরিত হয়। স্টার থিয়েটার ভবনটি উত্তর কলকাতার হাতিবাগান অঞ্চলে অরবিন্দ সরণি ও বিধান সরণির সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত। শোভাবাজার সুতানুটি মেট্রো স্টেশন এই থিয়েটারের নিকটবর্তী মেট্রোস্টেশন। স্টার ও মিনার্ভা থিয়েটার হল কলকাতার দুটি সবচেয়ে পুরনো বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চ। স্টার, মিনার্ভা ও ক্লাসিক থিয়েটারে হীরালাল সেন নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। স্টার থিয়েটার ভবনটি কলকাতার একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। ১৯৯০-এর দশকে একটি অগ্নিকাণ্ডে এই ভবনটি ভষ্মীভূত হয়েছিল। ২০০০-এর দশকে কলকাতা পৌরসংস্থা বাড়িটি সারিয়ে আবার নাট্যমঞ্চটি চালু করে। বর্তমানে স্টার থিয়েটারের সম্মুখভাগটি পুরনো স্থাপত্যশৈলী অনুসারে নির্মিত হলেও, ভিতরের অংশটি আধুনিক। এখানে নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার পাশাপাশি চলচ্চিত্রও প্রদর্শিত হয়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এই হলে নাটক বেশি সংখ্যায় মঞ্চস্থ করা হয়। স্টার থিয়েটারের নিচে একটি ভূগর্ভস্থ গাড়ি পার্ক করার জায়গা বানানো হয়েছে।
এই নাট্যমঞ্চটি স্থাপনে বিশিষ্ট নাট্য অভিনেত্রী বিনোদিনী দাসীর নাম বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়। নাট্যকার ও অভিনেতা গিরিশচন্দ্র ঘোষ ১৮৮০-এর দশকে এই মঞ্চে অনেকগুলি নাটক প্রযোজনা ও মঞ্চস্থ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ পরমহংস ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই মঞ্চে নাট্যাভিনয় দেখতে এসেছিলেন। ২০১২ সালে এই ঐতিহাসিক ভবনটিকে তাই সরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়।[১]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
আমরা জ্ঞানমেঞ্চ ওরা অ্যাকাডেমিতে
এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গিয়ে হঠাত্ নতুন করে পর্দা উঠল বাংলা রঙ্গমঞ্চের। চাঞ্চল্যকর সব সংলাপ সমেত এক পক্ষ চলে গেল জ্ঞানমঞ্চ। আর এক পক্ষ থেকে যাচ্ছে অ্যাকাডেমিতে। লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।
আমরা অপদস্থ।
অপমানিতও।
তাই আমরা অ্যাকাডেমি ছেড়ে দিচ্ছি।
কথাগুলো সমস্বরে বললেন কৌশিক সেন, সুমন মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রয়ী: জ্ঞানমঞ্চে কৌশিক সেন, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়। ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।
শুক্রবার দুপুরে জ্ঞানমঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে। কেন অ্যাকাডেমি-মুখো হবেন না বলছেন এই তিন নাট্যকর্মী?
শুধুই অভিমান? সস্তার প্রচার? চমক? পাবলিসিটি গিমিক? নাকি অ্যাকাডেমিতে এ বছর আর শো না করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা বিদ্রোহ ঘোষণারই প্রতিফলন ।
৭ অগস্ট অ্যাকাডেমিতে শেষ বার নাটক করেছিলেন কৌশিক, সুমন। সেদিনই শো-য়ের মাঝখানে আগুন লাগে মঞ্চে।
কৌশিক-সুমন-বিপ্লবের দাবি যে অ্যাকাডেমিতে আগুন লাগার একদিন বাদে প্রকাশ ভট্টাচার্য এবং তপনজ্যোতি দাশ একটা মিটিং ডাকেন।
আর সেখান থেকেই শুরু হয় নাটকের নতুন এক অধ্যায়।
কী হল সেই মিটিংয়ের?
উদ্দেশ্য নাকি ছিল সবাই মিলে বসে অ্যাকাডেমির কল্যাণ ও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলা।
কৌশিক: ওদের বক্তব্য হল আগুন লাগার ঘটনাটা সবার চোখ খুলে দিয়েছিল। তাই অ্যাকাডেমির ভালর জন্য ওরা একটা মিটিং ডাকতে চেয়েছিল। যেদিন সেই মিটিং ডাকা হয়, সেদিন সকালবেলা আমরা জানতে পারলাম যে বিভাস চক্রবর্তীরা নাটক করছেন অ্যাকাডেমিতে। সেটা আমাদের বেশ আশ্চর্য লাগে। কারণ একদিনের মধ্যে কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে কী ভাবে সেখানে আবার নাটক করা হচ্ছে তা ভেবে পাই না! তবু আমরা মিটিংয়ে যাই। মিটিংয়ের সভাপতি ছিলেন বিভাসবাবু। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রকাশ ভট্টাচার্য, মণীশ মিত্র, তপনজ্যোতি দাশ, অনীশ ঘোষ, সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। অনেক নাট্যকর্মী সেখানে ছিলেন। আবার অনেকে ছিলেনও না।
বিভাস চক্রবর্তী কেন সেদিন নাটক করলেন?
মিটিংয়ে নানা কথার মধ্যে এই প্রশ্নটাও ওঠে যে বিভাস চক্রবর্তী কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত না নিয়ে কেন শো-টা সেদিন করেছিলেন?
বিপ্লব: অ্যাকাডেমি স্টাফদের একটা নিজস্ব যুক্তি ছিল। ওঁরা চেয়েছিলেন বিভাসদা শো-টা করুন। যদি আগুন লাগাটাকে একটা দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হয়, সেখানে স্টাফদের ভূমিকা খুব পজিটিভ। তবু প্রশ্ন ওঠে অ্যাকাডেমির যে চারটে প্রবেশ-দ্বার আছে, সেখানে তিনটে সেদিন কেন লক করা ছিল? ওঁরা তখন ক্ষমা চান। কৌশিক প্রশ্ন করে শুধু দরজাগুলো খুলে দিলেই কি অ্যাকাডেমি নিরাপদ হয়ে যাবে? তখন প্রশ্ন উঠল প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে যে অচলাবস্থা চলছে, ট্রাস্টি নেই, এক্সিকিউটিভ কমিটি নেই সব নিয়ে কথা হয়। কিন্তু এর মধ্যেও স্টাফদের কথা শুনে মনে হয় তাঁরা দলমতের উর্ধ্বে উঠে কিছু করতে চাইছেন।
ওঁরা কারা?
কথা চালাচালির মধ্যে একটা আশ্চর্য ঘটনা হয় সেদিন। মিটিংয়ে উপস্থিত দুই ব্যক্তিকে কৌশিকের চোখে পড়ে। প্রথমে মনে হয়েছিল তাঁরা নাট্যকর্মী। তার পর ভাবা হয়েছিল ওঁরা বোধহয় অ্যাকাডেমির স্টাফ।
কৌশিক: পরে বুঝতে পারি ওঁরা স্পেশাল ব্রাঞ্চের লোক। ওঁদের একজনের মুখটা চেনা লাগে। কারণ আমি যখন নন্দীগ্রাম আর কামদুনিতে গিয়েছিলাম, তখন উনি এসে কী সব নোটডাউন করতেন। তাই মুখটা চেনা লেগেছিল। রবীন্দ্রসদনে আমার শো থাকলে উনি গিয়ে দেখতেন আমার কোন শো হচ্ছে। আমি প্রশ্ন করি উনি এই মিটিংয়ে কী করছেন। ওঁরা পরিচয় দেওয়ার পর সবাই তখন বলেন, এই মিটিংয়ে ওঁদের থাকার কথা নয়। ওঁদের চলে যেতে হয়। কিন্তু মিটিং শেষে দেখলাম যে ওঁরা গিয়ে অ্যাকাডেমির একটা কাউন্টারে বসেছেন। ওটা এখন তৃণমূল নিয়ে নিয়েছে। মিটিং শেষে দেখলাম কেউ কেউ মিটিংয়ের সব ডিটেলস ওঁদের জানিয়ে আসছে!
নতুন কমিটি
মিটিং শেষে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় একটা অস্থায়ী কমিটি তৈরি হবে অ্যাকাডেমির উন্নয়নের জন্য। তাতে শুধু নাট্যকর্মীই নয়, চিত্রশিল্পী, ভাস্কর সবাই থাকবেন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন প্রকাশ ভট্টাচার্য আর তপনজ্যোতি দাশ।
সুমন: সেদিন সন্ধেবেলায় প্রকাশ ভট্টাচার্য আমাকে মেসেজ করেছিলেন যে অর্পিতা ব্যাপারটা জানতে পেরেছে, আর ও বলেছে আমরা এটা নিয়ে পলিটিক্স করেছি। ঘটনাটা কৌশিককে জানাই। তার পর যৌথ ভাবে অর্পিতাকে একটা মেসেজ করি। আমাদের শো-এর দিনে অ্যাকাডেমিতে আগুন লাগে। তাই আমরা এই কমিটিতে আছি। যাতে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারি। সঙ্গে এটাও বলি যে ও এই কমিটির সদস্য হতে পারে। অন্যান্য সদস্যদের নির্বাচনও করতে পারে। শিল্পের স্বার্থে আমরা ভেদাভেদ ভুলে যেন সবাই এগিয়ে আসি। কিন্তু আমাদের এসএমএস-এর কোনও জবাব মেলে না।
কৌশিক অপমান করেছে!
এর পর শুরু হয় আরও নাটকীয় ঘটনা। সুমন, কৌশিক আর বিপ্লবের দাবি, পরের দিন ‘অন্য থিয়েটার’ থেকে অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষ, স্টাফ আর ইউনিয়ন মেম্বারদের চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, কৌশিক নাকি বিভাস চক্রবর্তীকে সেই মিটিংয়ে অপমান করেছেন!
কৌশিক: আমি নাকি অফেন্সিভ প্রশ্ন করেছি বিভাসবাবুকে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, সেই মিটিংয়ে কেউ এই অভিযোগ করেনি। বিভাসবাবু নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দলের সেক্রেটারি উপস্থিত। যে নাটকটা (‘নিজের খোঁজে’) অ্যাকাডেমিতে সেদিন মঞ্চস্থ হয়েছিল, তার পরিচালক সনত্ চন্দ্র মিটিংয়ে ছিলেন। মিটিং শেষে উনি আমার হাত ধরে বলেছিলেন ইতিমধ্যে নাটকের সাত-আটটা শো হয়ে গিয়েছে। জানতে চেয়েছিলেন আমি কবে দেখব! আমার প্রশ্ন, যদি আমি বিভাসবাবুকে এত অপমান করে থাকি, তা হলে কেন সনত্বাবু আমাকে তাঁর নাটক দেখার অনুরোধ করেছিলেন?
ইস্তাহার দিলাম
দু’দিন বাদে জানা গেল একটা লিফলেটের কথা যেটা দিয়ে দুটো হোর্ডিংও করা হয়েছিল। একটা রাখা হয়েছিল অ্যাকাডেমির সামনে। অন্যটা রবীন্দ্রসদনের সামনে। অন্যান্য কথার সঙ্গে লিফলেটে এটাও বলা হয়, ‘এই অগ্নিকাণ্ড যেমন আমাদের এই প্রেক্ষাগৃহের পরিকাঠামো, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ইত্যাদি বিষয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে, সেই রকমই আমাদের বিচলিত করছে এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের দোষারোপ এবং অপব্যাখ্যা করার প্রবণতা। এই প্রবণতা হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা ভেবে নেওয়ার অবকাশ থাকছে সাধারণ মানুষের। এই ধরনের দুর্ঘটনাকে তার যথাযথ তাত্পর্যে বিশ্লেষণ না করে, ভবিষ্যত্ কালের দর্শক ও নাট্যশিল্পীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষার কথা না ভেবে, এই রকম একটা ঘটনা থেকেও আত্মপ্রচারের অভিসন্ধিতে এই ঘটনার পেছনে চক্রান্ত খুঁজে আসলে তারা এই সুস্থ নাট্যচর্চার পরিবেশকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আসুন আমরা মিলিত হই, আলোচনা করি, পরামর্শ করি, কী করে হীন ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে দাঁড়িয়ে নাট্যচর্চার পীঠস্থানকে আগুনের হাত থেকে আর আগুন জ্বালানোর হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি।’ লিফলেটে সই করেছিলেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, মণীশ মিত্র, অনীশ ঘোষ, শেখর সমাদ্দার, বিজয় মুখোপাধ্যায়, সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সৌমিত্র মিত্র, প্রকাশ ভট্টাচার্য, তপনজ্যোতি দাশ ও আরও অনেকে।
অ্যাকাডেমির সামনে সেই ইস্তাহার...
সুমন: ইস্তাহারটা পড়ে আমি প্রকাশকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম কেন এমন লেখা হয়েছিল। উনি বলেন: ‘আমি জানি না। আমাকে বলা হয়েছিল অ্যাকাডেমির ভালর জন্য একটা ইস্তাহার বিলি করতে চাই। তাতে তোমার নামটা দিচ্ছি।’ আমি বলেছিলাম, ‘তুমি পঞ্চাশোর্ধ্ব। ইস্তাহারে সই আছে অনীশের। তুমি জানো অনীশ ‘নাট্যস্বজন’-এর সঙ্গে যুক্ত। ও একটা বয়ান লিখছে। তাতে কী আছে তা না জেনে কি সই দেওয়া যায়?’ দ্বিতীয় ফোনটা আমি করলাম রুদ্রবাবুকে। বলেছিলাম: ‘প্রথম নামটা আপনার দেখলাম। বাকিদের না-হয় অ্যালাইনমেন্ট রয়েছে। কিন্তু আপনি তো দাবি করেন আপনি এই সবের উর্ধ্বে। তা হলে আপনি কী ভাবে এই রকম একটা ইস্তাহারে সই করলেন?’ রুদ্রবাবুর যথারীতি পিছলে যাওয়া উত্তর। ইলাসট্রেটিভ উত্তর। আমি বললাম লেটস টক স্ট্রেট। উনি বললেন: ‘জেনে ফোন করছি।’ জানার পরেও ঘোলাটে উত্তর দিলেন। একবার বললেন: ‘আমাকে যা বলা হয়েছিল তা ঠিকমতো ছাপা হয়নি।’ তার পর বললেন কিছু লোকের মনে প্রশ্ন জেগেছে আগুন আমাদের জন্য লেগেছে। দুটো দিক বজায় রেখে কথা বললেন উনি। এমনটাও বললেন, আমাদের কাজের খুব ভক্ত একজন ওঁকে বলেছে শোয়ের সময় আমাদের আরও দায়িত্ববান থাকা উচিত ছিল। আমি বললাম আমরা তো দায় এড়িয়ে যাইনি। আগেই বলেছিলাম আমরা ফায়ার এসকেপের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিইনি। কর্তৃপক্ষরও কিছু দায়িত্ব ছিল। আমি সেই ডায়লগটা শুরু করতে চেয়েছিলাম যেখান থেকে ত্রুটিগুলো বোঝা যেত। জাতপাত ভুলে সেই ডায়লগটাই শুরু করতে চেয়েছিলাম।
একটানা শো করা যাবে না
ইস্তাহার বিলি সংক্রান্ত ঘোলাটে উত্তরে ধাক্কা লেগেছিল ঠিকই। তবে শেষ পেরেকটা পোঁতা হয় ডেট নিয়ে।
কৌশিক: ২ সেপ্টেম্বর আমরা একটা গোটা দিন শো করতে চেয়েছিলাম। ঠিক যে ভাবে ‘রাষ্ট্রের কোনও ছবি নেই’ করেছিলাম, সে রকম একটা ফেজ-২ করতে চেয়েছিলাম। তিনটে নাটক করার ইচ্ছে ছিল। ‘যারা আগুন লাগায়’, ‘ক্যালিগুলা’ আর ‘সমুদ্রের মৌন’ (যাতে কবীর সুমন অভিনয় করবেন)। বলা হল তা করা যাবে না। কারণ মেন্টেনেন্স চলছে। অ্যাকাডেমির বুকিং ক্লার্ক আমাদের বলেন ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলবে। যেহেতু ৮ সেপ্টেম্বর আমার একটা ডেট নেওয়া ছিল, আমি তখন সেদিন ওটা করতে চাইলাম। বুকিং ক্লার্ক রাজি হলেন। শুধু বললেন আমাকে একটা লিখিত দরখাস্ত দিতে। আর ঠিক হল ২ সেপ্টেম্বর সন্ধের শো-টা সুমন আর আমি ভাগ করে অভিনয় করব। তার জন্য সুমনকে একটা লিখিত দরখাস্ত দিতে বলা হল। পরের দিন (১৩ অগস্ট) গিয়ে আমার লিখিত দরখাস্ত দিয়ে এলাম। কিন্তু ১৯ অগস্ট আমাদের দলের ছেলেদের বলা হল ২ সেপ্টেম্বর সন্ধেয় সুমন আর আমি দু’জনে শো করতে পারবে না। আলাদা আলাদা শো করা যাবে। ভাগ করে শো করা যাবে না। কারণ জিজ্ঞেস করাতে কোনও সদুত্তর পাওয়া গেল না।
সুমন: কিন্তু এ রকম শো-তো আমরা আগেও করেছি। কোনও দিন এ রকম নিয়মের কথা শুনিনি। ১২-১৩টা এ রকম শো আমি করেছি। নিয়ম যদি থাকে, কোনও দিন তা আমাদের জানানোই হয়নি।
চূড়ান্ত অপমান করা হল
দলের ছেলেদের সঙ্গে এ রকম ব্যবহারের পর কৌশিকের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কথা হয়। এবং সে কথোপকথন যে মোটেও সুবিধেজনক হয়নি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিপ্লব: অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার তো চলেই গেলেন।
কৌশিক: টেলিফোনে আমি লোকটির সঙ্গে কথা বললাম। আমার সঙ্গে অসম্ভব খারাপ ভাবে কথা বলা হল। বলা হল: ‘এত কৈফিয়ত দিতে পারব না।’ আমি বললাম যে শো করতে চেয়ে আমরা লিখিত একটা দরখাস্ত দিয়েছিলাম। সেটা যে করা যাবে না তার উত্তরটাও লিখিত ভাবে দেওয়া উচিত। কিন্তু তাতেও এঁরা রাজি নন। ওঁদের ব্যবহার দেখে বুঝলাম এখানে অন্য কোনও অ্যাজেন্ডা রয়েছে।
সরকারি মঞ্চের বাইরে
তার পর শুরু হল অল্টারনেটিভ স্পেস খোঁজার চেষ্টা। ঠিক হল এ বার থেকে সুমন, কৌশিক আর বিপ্লব শো করবে জ্ঞানমঞ্চে। কিন্তু অ্যাকাডেমিতে ২ সেপ্টেম্বর তা হলে কোন নাটক হবে?
সুমন: ওই দিনের শো-টা আমি করছি। এখন ক্যান্সেল করা ডিফিকাল্ট।
কৌশিক: আমি ৮ সেপ্টেম্বর ডেটটা ছেড়ে দিয়েছি।
বিপ্লব: আমি ৬ সেপ্টেম্বর ডেট ছেড়ে দিয়েছি। শুধু অ্যাকাডেমি নয়। কোনও সরকারি হলে আমরা শো করছি না।
কৌশিক: শুধু মধুসূদন মঞ্চতে ১২ সেপ্টেম্বর একটা শো করছি। ‘কর্কটক্রান্তির দেশ’য়ের। ওটার ডেট নেওয়া আছে বলে আমরা সেটাকে অনার করছি।
বিপ্লব: জ্ঞানমঞ্চে শো-য়ের ডেট ঠিক হয়ে গিয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর সুমন করছে ‘যারা আগুন লাগায়’। ১০ সেপ্টেম্বর কৌশিকরা করছে ‘ম্যাকবেথ’। ১১ তারিখ আমরা করছি ‘ক্যালিগুলা’।
সুমন কেন নাট্যস্বজন-এর প্রোগ্রামে?
এত বিতর্কের মধ্যেও তো সুমনকে দেখা গিয়েছিল নাট্যস্বজন-এর অনুষ্ঠানে। কই কৌশিক বা বিপ্লব তো সেটা করেনি? থিয়েটারের একাংশ তো দাবি করছেন সুমন এক দিকে বিরোধিতা করেন আবার অন্য দিকে নাট্যস্বজন-এর অনুষ্ঠানেও যান।
সুমন: ব্রাত্য আমার পেছনে পড়েছিল ওদের সেমিনারে যেতে। তাই গিয়েছিলাম। আমি জানতাম ভুল সিগনালটা পাঠানোর চেষ্টা হবে যে আমি নাট্যস্বজন-এ জয়েন করেছি। যদিও সেমিনারের আগেই অর্পিতা বলে দিয়েছিল যে আমি স্বজনে নেই। তবে এটাও জানি যে প্রচ্ছন্ন একটা প্রক্রিয়া কাজ করছে এটা বোঝানোর জন্য যে আমি নাট্যস্বজন-এর সঙ্গে রয়েছি। মনে হয় যে কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপারটা ক্ল্যারিফাই হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে আমরা চেষ্টা করছি যে আমাদের কারও শো থাকলে সেটার পরে ওখানে যেতে। এতে একটা সিগনাল যাচ্ছে মানুষের কাছে।
বিপ্লব: আমরা বোঝাতে চাইছি আমাদের একটা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এ কোনও যুদ্ধ ঘোষণা নয়। তবে এটাও ঠিক যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নাটকের দল আমার সঙ্গে আছে।
নামে কী আসে যায়
নাট্যস্বজন-য়ে তাঁরা নাম লেখাননি। সরকারি কোনও মঞ্চে তাঁরা নাটক করবেন না এ বছর। নতুন এই প্ল্যাটফর্মের নাম কী হবে?
সুমন: নাম দেব না। সমমনস্ক কিছু মানুষ একসঙ্গে এসেছি। আমরা খুব অপমানিত, অপদস্থ হয়েছি।
কৌশিক: মনে হল একটা বিকল্প জায়গা দরকার। তৃতীয় সূত্র, স্বপ্নসন্ধানী আর প্রাচ্য আমরা তিনটে দল নাট্যচর্চাটা শুরু করেছি। সেটা পরীক্ষামূলক জায়গায়। অ্যাকাডেমিতে একটা নাটক পাঁচটায় শুরু হলে পরের শো সাড়ে ছ’টায়। এতে সাঙ্ঘাতিক প্রেশার তৈরি হয়। কেন এমন করে নাটক করব আমরা? এই স্পেসটাকে যদি এই ভাবে জনপ্রিয় করা যায়, তা হলে আমাদের কোনও নাটক ভাল লাগলে আমরা সেই দলকে ইনভাইট করতে পারি জ্ঞানমঞ্চে।
সুমন: বহরমপুরের একটা দল খবর পেয়ে আমাদের বলেছে, যে তারিখে আমরা নাটক করতে পারছি না সে তারিখে ওরা নাটক করতে পারে কি না? অলরেডি একটা মেসেজ চলে যাচ্ছে।
এটা কি নাট্যস্বজন-এর বিকল্প
অ্যাকাডেমি বিদায়ের পরে কি একটা নাট্যস্বজন বিরোধী সেন্টিমেন্ট উস্কে দিচ্ছেন তাঁরা?
কৌশিক: আমরা সেটা পারব না। কারণ নাট্যস্বজন-এর একটা পলিটিকাল ব্যাকিং রয়েছে। পঞ্চাশ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে এক একটা দলকে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনটে বাচ্চা ছেলের একটা
দল আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে। এর আগে কোনও কাজ করেনি তারা। একদম নতুন দল কিন্তু। পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্র্যান্ট পেয়েছিল নাট্যস্বজন থেকে। আমরা এ ভাবে টাকা ছড়াতে পারব না। আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
সুমন: আমি তো ব্রাত্যকে বলেছি যে নাট্যস্বজন অরাজনৈতিক সংগঠন হতে পারে না যেখানে ব্রাত্য নিজেই একজন তৃণমূলমন্ত্রী।
নিরপেক্ষ হওয়া যায় কি
ব্রাত্য বসুর ‘আলতাফ গোমস’ নাটকের একটা সংলাপ হল ‘নিরপেক্ষদের ক্যালাও’। এই বিদ্রোহ ঘোষণার পর কি তাঁদের নিরপেক্ষতার অবস্থানটা আরও বেশি মিসলিডিং হয়ে যাবে?
কৌশিক: এই প্রশ্নটা করে ওরা আমাদের স্ট্যান্ড-টা গুলিয়ে দিতে চায়। নন্দীগ্রামের জন্য যখন আমরা পথে নেমেছিলাম, তখন তো আমরা নিরপেক্ষ ছিলাম না। পরিবর্তনের পক্ষে ছিলাম।
বিপ্লব: কামদুনির সময় যখন ওই পরিবারের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তখনও তো আমরা নিরপেক্ষ ছিলাম না।
কৌশিক: এখানে সবাইকে বেছে নিতে হবে তারা তৃণমূল না বিজেপি না সিপিএম। এটা কেন নিরপেক্ষতা বা পক্ষ নেওয়ার মাপকাঠি হবে? অসংখ্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়। তাঁদের তো আমাদের এই অবস্থানটা বুঝতে অসুবিধে হয় না। তা হলে ওঁদের এত সমস্যা কেন হয়? কারণ ওঁরা প্রমাণ করতে চায় যে কৌশিক সেন সিপিএম।
বিরোধিতা নয়, কাজ করতে চাই
বিভাজন হয়েছে সেটা অস্বীকার করছেন না তাঁরা। কিন্তু নাট্যস্বজন-এর বিরোধী তকমাটা যদি গায়ে লাগে?
বিপ্লব: ভাল থিয়েটার করা ছাড়া কোনও অ্যাজেন্ডা নেই আমাদের।
কৌশিক: জ্ঞানমঞ্চটা ভাল বিকল্প জায়গা হয়ে দাঁড়ালে যে কোনও বিশ্বাসী থিয়েটার কর্মী কাজ করতে পারবে। আতঙ্কের পরিবেশটা পাল্টানো দরকার।
ফেরার পথ
এত দিনের সখ্য এত সহজে কি ভোলা যায়? ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার কোনও পথ কি থাকল না? আমরা-ওরা কি হয়েই গেল?
কৌশিক: হ্যাঁ, মঞ্চের আমরা-ওরাটা হয়েই গেল। থিয়েটারের একাংশ অ্যাকাডেমির স্টাফেদের বোঝাল আমরা ওদের অ্যাকিউজ করছি। তা আদৌ সত্যি নয়। আমাদের বন্ধুরা অ্যাকাডেমিতে থিয়েটার করলে দেখতে যাব। কোনও সংস্থা তাদের ফেস্টিভ্যাল অ্যাকাডেমিতে করলে যদি ইনভাইট করে, তা হলে যাব। কিন্তু নিজে থেকে ওখানে এ বছর শো করব না।
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, কলকাতা
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস
| |
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের প্রদর্শনী, জুলাই ২০১০
| |
সাধারণ তথ্য
| |
অবস্থা
|
চালু
|
অবস্থান
|
ক্যাথিড্রাল রোড, কলকাতা
|
ঠিকানা
| |
কার্যারম্ভ
|
১৯৩৩
|
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৩৩ সালে।[২][৩] প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লেডিরানু মুখোপাধ্যায়।[৪] প্রথম দিকে অ্যাকাদেমির কাজকর্ম হত ভারতীয় সংগ্রহালয়ের একটি ভাড়া করা ঘরে। পাশের বারান্দায় এর প্রদর্শনীগুলি আয়োজিত হত।
১৯৫০-এর দশকে লেডি রানু মুখোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ওভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর পৃষ্ঠপোষকতায় অ্যাকাদেমি উঠে আসে ক্যাথিড্রাল রোডের বর্তমান ঠিকানায়। এটি কলকাতার বিখ্যাত গির্জা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের পাশে অবস্থিত।
বেশ কিছু বিখ্যাত ছবি এখানে রক্ষিত আছে। তার মধ্যে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের "সাত ভাই চম্পা" ও যামিনী রায়ের "শিব ও গণেশ" বিখ্যাত।[৩]
নাট্য প্রেক্ষাগৃহ[সম্পাদনা]
অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে একটি নাট্য প্রেক্ষাগৃহ আছে। এই খুব জনপ্রিয় নাট্যমঞ্চ। ১৯৮৪ সাল থেকে এখানে বার্ষিক নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।[৩]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- Jump up↑ Dilip Kumar Roy (1 January 2006)। Museology: Some Cute Points। Gyan Books। পৃ: 155–। আইএসবিএন 978-81-7835-410-1। সংগৃহীত 28 August 2012।
- ↑ Jump up to:৩.০ ৩.১ ৩.২ Swati Mitra (2011)। Kolkata: City Guide। Goodearth Publications। পৃ: 66–। আইএসবিএন 978-93-80262-15-4। সংগৃহীত 28 August 2012।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
মুখোমুখি মমতা LIVE
Last Updated: Friday, August 29, 2014 - 22:46
মুখ্যমন্ত্রী- যারা বলছেন এ রাজ্যে উন্নয়ন হয়েনি তাঁরা নিজের রাজ্যে কী করছেন? ২ একটা বাজে ঘটনা ঘটেছে। আমরা সেসব প্রশ্রয় দিইনি।
>DVC পাওয়ার প্রজেক্ট করছে।
> SEWW প্রজেক্ট করছে
> NTPC কাটোয়ায় প্রকল্প করছে।
> বীরভূমে পাঁচ রাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্দ্যোগে কোল বেল্ট তৈরি হচ্ছে।
> ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডর।
> রেল মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যকে ১২-১৪টি প্রকল্প দিয়েছি।
> একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে।
> ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে রাজ্যে।
> রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিপার্টমেন্ট কলকাতায়।
> ব্যাঙ্কিং ইনভেস্টমেন্ট, ক্ষুদ্র শিল্পে আমরা এক নম্বর।
> ১৩২ টি ক্লাস্টার হয়েছে।
> ১ লক্ষ ১৫ হাজার পুকুর কেটেছি।
> ১০০দিনের কাজে আমরাই শীর্ষে।
> কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা পেয়েছে ১৬ লক্ষ ছাত্রী।
> গোয়ালতোড়ে ১ হাজার একর জমি আছে।
> জোর করে কৃষকের জমি নেব না।
> ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করেছি। আমি জানি কোথায় জমি আছে। সেখান থেকে জমি দিচ্ছি।
> শিল্প পতিরা জমি কিনে নিতে পারেন।
> চাষিরা হলফনামা দেওয়ায় জমির উর্ধসীমা ছাড় দিচ্ছি।
> পানাগড়, দুর্গাপুর, বোলপুরে জমি আছে।
> এইমস কে কল্যানীতে ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকে ১০০ একর জমি দিয়েছি।
> ৩৪১ টি কিষাণ বাজার হয়েছে।
> আইটিআই কলেজ ৩৪১ টি ব্লকে
> আড়াই বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি দেব।
> প্রতি মহাকুমায় পলিটেকনিক কলেজ হবে।
> শিল্পপতিরা কলেজের দায়িত্ব নিন। তাঁরা প্রশিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী পাবে। আমাদের চাপ কমবে।
> রেমন্ডস প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
> স্যামসংয়ের সঙ্গে মৌ সাক্ষরিত হয়েছে।
> বেসরকারি ক্ষেত্রকে ইনভলভ করব।
২৪ ঘণ্টা: কিন্তু আপনারাও তো প্রচুর ঋণ নিচ্ছেন
মুখ্যমন্ত্রী: বাজে কথা।
> আমরা এফআরবিএম করেছি।
> আমরা মাত্রা ছাড়া ঋণ নিতেই পারি না।
> অনুমোদিত মাত্রার থেকে বেশি ঋণ নিতে পারি না।
> বাংলার এত ঋব সত্ত্বেও GDP গ্রোথ জাতীয় স্তরের থেকে বেশি।
> কৃষিতে বৃদ্ধি জাতীয় হারের থেকে বেশি।
> শিল্পক্ষেত্রে বৃদ্ধি জাতীয় হারের থেকে বেশি।
২৪ ঘণ্টা: অগ্নিকন্যা থেকে প্রশাসক। কেমন এই জার্নি?
মুখ্যমন্ত্রী: > দুই ভূমিকাই এনজয় করি।
> আমি আজও সংগ্রামী। নিজের চরিত্র থেকে কখনই সরে যায়নি।
> এফডিআই-এর বিরোধীতা করে সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছি।
> জনগণই আমার প্রায়োরিটি।
> মা, মাটি, মানুষের বিরোধিতা করে কেউ কিছু করতে পারবে না।
> ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। একটু জেদী বলতে পারেন।
> আমি একগুঁয়ে, অন্যায়ের সঙ্গে সমঝোতা করব না।
> সংগ্রামী মনোভাবই কাজে উৎসাহ যোগায়।
> এই চেয়ার জনগণের চেয়ার।
> সিঙ্গাপুর নিয়ে অনেকে মিথ্যা বলছেন।
> তাঁদেরতো গর্ব করা উচিত।
> পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলার নাম উঠেছে।
> প্রধানমন্ত্রীতো এত দেশ ঘুরছেন। লাভ কী হচ্ছে?
> রেলে ১০০% এফডিআই করে দিয়েছে।
FDI প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
> অরুণ জেটলিকে কী করে বোঝাব কাজ করলে way out থাকা চাই।
> আমরা PPP করেছি।
> ওদের বিকল্প কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের আছে।
> রেলে আমি ভাড়া বাড়াইনি, ব্যায়সঙ্কোচ করে ২ হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়েছি। সেই টাকায় ভর্তুকি দিতাম।
> বাস ভাড়াতো মাত্র ১টাকা বাড়িয়েছি।
২৪ ঘণ্টা: আপ নার জনমোহিনী নীতিতে কী লোকসান হচ্ছে?
মুখ্যমন্ত্রী: আমার আমলে রেলের কোনও লোকসান হয়নি।
> লোকসান হচ্ছে বলে রেল বিক্রি করে দেব?
> প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছু বিক্রি করে দিচ্ছে ওরা।
> ঘরোয়া শিল্পপতিরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করতেই পারেন। কিন্তু দেশীয় শিল্প কে তো বাঁচাতে হবে।
> আমি শপিং মলের বিরোধী নই। একটা দুটো মল বা বিগ বিজনেস হাউসে আপত্তি নেই।
> কিন্তু পাড়ার সব দোকানের সর্বনাশ করতে পারব না।
> ৫০ কোটি মানুষ ছোট ব্যবসায় জড়িত। কোথায় যাবেন তাঁরা?
সারদা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী:
>সিপিআইএম-এর কলঙ্কের সাজা ভোগ করছি।
> রাজনৈতিক কারণে সিবিআই-কে ব্যবহার করা হয়েছে।
> সিবিআই-এর সাফল্যের হার ২.৫%
> কুণালের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট প্রমাণ ছিল। ওকে গ্রেফতার করেছি।
> আসল অপরাধীকে আড়াল করা হচ্ছে।
> সিবিআই সবার টাকা ফেরত দিক।
> সিবিআইকে সাহায্য করব। কিন্তু মিথ্যা কুৎসা করলে কাউকে ছেড়ে দেব না।
> উপনির্বাচনের আগে অতিরিক্ত সক্রিয়তা দেখাচ্ছে সিবিআই।
বিহারে লালু-নীতিশ জোট সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী
> আরও আগে একাজ করা উচিত ছিল।
> লোকসভা ভোটে জোট হলে বিজেপি জেতে না।
> রাজনীতিতে কেউ অচ্ছুত নয়।
> আমরাও আগে সমঝোতা করেছি।
> মাওবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জঙ্গলমহলে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি। সুদিন আসেনি। এসেছে খারাপ দিন।
> বিজেপিকে রুখতে বামেদের জন্য দরজা খোলা রাখছে তৃণমূল। প্রস্তাব এলে সিপিআইএমের সঙ্গেও কথা হতে পারে।
> রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে বারো শতাংশ। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে উদ্যোগী সরকার। ইর্ষার বশে কুতসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা।
সম্পত্তির তালিকা তৈরি, শীঘ্রই মদনকে তলব করে জেরা, জানাল সিবিআই
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Monday, 01 September 2014 11:11 AM
কলকাতা: সারদাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের সম্পত্তির তালিকা ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে তলব করে সেই সব তথ্য যাচাই করা হতে পারে। পাশাপাশি তাঁর আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকে ফের তলবের সম্ভাবনাও রয়েছে। এছাড়াও কার কার সাহায্যে সারদাকর্তা প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছে ছিলেন, তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এদিকে, আজই আলিপুর আদালতে তোলা হচ্ছে ব্যবসায়ী সন্ধির অগ্রবালকে। আর অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য আজ দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার
সিঙ্গুর থেকে আলু নিতে নারাজ বিক্রেতারা, দম-সংকট অব্যাহত
সরকারি আলু দেওয়া হচ্ছে সিঙ্গুরের কৃষিবাজার থেকে। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের দাবি, এত দূর থেকে আলু আনতে খরচ আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে সরকারের শর্তমতো ১৪ টাকায় আলু বিক্রি করতে গেলে পড়তা কিছুই হবে না। ... আরও»
এবার মা-ছেলের বিবাদে নাক গলিয়ে খুনের অভিযোগ তিরোলের সেই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে
প্রথমে লোকসভা ভোটে অন্যের হয়ে ভোট দেওয়ায় গ্রেফতার। আর এবার খুনের অভিযোগ। ফের বিতর্কে আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা ঝর্ণা সিংহ। ... আরও»
সুনিয়ায় গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় গ্রেফতার আরও এক, মূল অভিযুক্ত অধরাই
কাঁথির সুনিয়ায় ঘরছাড়া সিপিএম নেতার স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার আরও এক। কিন্তু এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা-সহ আট। ... আরও»
|
নিজের জোরে পারবেন তো?
বাংলা নাটকের প্রেক্ষাগৃহে দর্শক আসছেন। নাটকের বাজার বেড়েছে, বাড়ছে। খুব বাড়ছে।
কিন্তু এই সাফল্যের কতটা গণমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল? প্রশ্ন তুলেছেন
আশিস পাঠক
| |
আপনি কি নাটকটার রিভিউ করছেন?
হ্যাঁ, কেন?
না, মানে যদি আমাকে একটু শুনিয়ে নেন, কী লিখলেন?
সে কী! রিভিউ তো শোনানোর কথা নয়!
আসলে কী জানেন, নেগেটিভ রিভিউ হলে প্লিজ রিভিউ করতে হবে না।
থিয়েটারের দুনিয়ার এক বিশিষ্ট মানুষ আর এক সাংবাদিকের দূরালাপ। ব্যতিক্রমী আলাপ, এমন কথা মনে করার কোনও কারণ নেই। সিনেমার মতোই, আমাদের নাটকের দুনিয়াতেও এখন ‘হাইপ’ যতটা মূল্যবান, বিরূপ সমালোচনা যাতে না হয় সেটাও সমান জরুরি। ‘প্রিভিউ হলে খুব ভাল, যত হয় তত ভাল, কিন্তু প্লিজ নেগেটিভ সমালোচনা করবেন না’, এই আবদার ইদানীং মোটেই বিরল নয়।
‘হাইপ’ চাওয়াটা দোষের নয়। মাথা ঘামিয়ে, বিস্তর কাঠ এবং খড় পুড়িয়ে, রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে যে নাটকটা জন্ম নেয়, কাল নিরবধি, পৃথ্বী বিপুলা বলে বসে থাকলে তার চলে না। চটজলদি বিক্রি চাই। তা সে যে ভাবেই হোক। সুখের কথা, বাংলা নাটক এখন বিক্রি হয় বেশ ভাল। থিয়েটারে পাঁচশো, এমনকী হাজার টাকার টিকিটও বিক্রি হয়ে প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ হয়ে গেল, এমনও ঘটেছে, ঘটছে ইদানীং। এই ‘পরিবর্তন’ স্বাগত। কেবল সরকারি অনুদানে নির্ভর করে থেকে পার্টির ব্যানারে দিনবদলের বার্তা দেওয়াটাই যে নাটকের দায় নয়, সেই সত্যটা বুঝেছে বাংলা থিয়েটার। বৃহত্তর দর্শকের মনোরঞ্জনের দায় নেওয়ার মতো সাবালক হয়েছে তথাকথিত গ্রুপ থিয়েটার। তার জন্য, তথাকথিত গ্রুপ থিয়েটারের নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করার মতো সাবালক হয়েছে। বিষয়টা নজর করার মতো।
কিন্তু এই সাবালকের একটা বড় নির্ভরতার জায়গা হয়ে উঠছে গণমাধ্যম। শিল্পের পক্ষে এটা আশঙ্কারও বটে। ষাট-সত্তর-আশির বাংলা নাটক গণমাধ্যমের এমন পাশে-দাঁড়ানো পায়নি। সে কালে ‘সমালোচনা’ই ছিল নাটক সম্পর্কে সম্ভাব্য দর্শককে জানানোর একমাত্র জায়গা। এন্টারটেনমেন্ট নিউজ, পেজ থ্রি-র এমন রমরমা তখনও শুরু হয়নি, শুরু হওয়ার পরেও বহু কাল পর্যন্ত সিনেমাই ছিল তার প্রধান দখলদার। ফলে তখন রিভিউ-এর উপরেই নির্ভর করতে হত নাটককে।
| |
থিয়েটার ওয়ার্কশপ-এর ‘চাকভাঙা মধু’ নাটকের একটি মুহূর্ত।
| |
|
স্মরণে ও মীমাংসায়
সম্রাট মুখোপাধ্যায়
| |
|
দ্য টেম্পেস্ট | tuluarts
- tuluart.wordpress.com/2014/04/20/দ্য-টেম্পেস্ট/
- ২০ এপ্রিল, ২০১৪ - লন্ডনের অলিম্পিক উত্সব কেন্দ্রিক ঐতিহ্যবাহী 'গ্লোব থিয়েটার'-এ শেক্শপিয়র উত্সবে 'দ্য টেম্পেস্ট' নাটকটি বাংলা… ... গ্রুপ থিয়েটারে মুভমেন্টের ধারায় স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, আরণ্যক, ঢাকা থিয়েটার, থিয়েটার প্রভৃতি নাট্যদলগুলোর যখন প্রতিষ্ঠা তখন স্বকীয় দেশজচিন্তন ধারার অঙ্গীকার ...
একটি পোস্টার এবং অন্যান্য ... - পারভেজ চৌধুরী এর বাংলা ব্লগ ...
- www.somewhereinblog.net/blog/pc/28804361
- `চে তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয় আমি এখনো প্রস্তুত হতে পারিনি, আমার অনবরত দেরী হয়ে যাচ্ছে' সেই সময় হু হু করে বিক্রি হয়েছিলো পোস্টারটি বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায়। গ্রুপ থিয়েটারমানেই ক্রাইসিস, টাকা নেই কিন্তু স্বপ্নের বেলায় দু'কুল ছাপিয়ে এক অবিরল জলধারা। ভূমিহীন চাষীর মতন কেবলই শব্দহীন সোনালী ঘন্টা বেজে যায়।
কথপোকথন | Anandabazar - ABP Subscription
- https://www.subscriptions.abp.in/content/কথপোকথন-9
- উত্তর : একটা কথা বুঝতে হবে, গোটা পৃথিবী জুড়ে যাঁরা থিয়েটার করছেন, তাঁরা সবাই আসলে একটা দলেরই সদস্য। সেই দলে সবাই স্বপ্ন দেখে। আর আলাদা আলাদা দলগুলো এক একটা ইউনিট, অনেকটা কোষের মত! অনেক কোষ নিয়ে যেমন মানবদেহ তৈরি হয়। তাই গ্রুপ থিয়েটার কথাটাকে অত সঙ্কীর্ণ অর্থে ধরলে হবে না! প্রশ্ন : তাপস সেন থেকে বাদল দাস, বাংলা থিয়েটারে ...
তিনদিন ব্যাপী 'বাঙালি মুভমেন্ট থিয়েটার' - Muktolikha Blog ...
- www.muktolikha.com/.../নাটকে-হউক-জয়-নব-উত্থান-তিন/
- তানভীর আহমেদ সিডনি (বাংলা একাডেমী), ড. মুকিদ চৌধুরী (বাঙালি মুভমেন্ট থিয়েটার), অনিরুদ্ধ কুমার ধর (বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন), বিদুৎ পাল (সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ), জাহাঙ্গীর আলম (এনটিভি), তাপস রায় (লেখক ও সাংবাদিক), শওকত চৌধুরী (ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি), তোফাজ্জল সোহেল (বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোনল, বাপা) সিদ্দিকী হারুন ...
বণিক বার্তা | সমাপ্তি দিনে সাহিত্যনির্ভর জাতীয় নাট্য আয়োজন
- www.bonikbarta.com/2014-08-30/news/details/12200.html
- ৩ দিন আগে - একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত্ ঘোষ এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ...
গ্রুপ থিয়েটার - RockingMouse সঙ্গীত - RockingMouse Music
- rockingmouse.com/bn/portfolio-item/theatre-groups/
- RockingMouse is an arts and entertainment platform that features music streams with download options. We showcase 25 genres, 1500 MP3s and 300 videos. Artists make their work available to the general public this way so that you will load it onto your phone, play it everywhere and share it with your friends. The higher ...
গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের জাতীয় সম্মেলন - bdnews24.com
- bangla.bdnews24.com/glitz/article776252.bdnews
- ২২ এপ্রিল, ২০১৪ - শুক্রবার সকাল ১০টায় যশোরের পৌর পার্কে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের ফেডারেশনের একুশতম জাতীয় সম্মেলন। এবারে অংশ নিচ্ছে দুইশ'রও বেশি নাট্যদল।
শেষ হল বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের জাতীয় সম্মেলন - খবর
- bangla.bdnews24.com/glitz/article778590.bdnews
- ২৭ এপ্রিল, ২০১৪ - নতুন কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে শনিবার রাতে যশোরে শেষ হল বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারফেডারেশনের ২১তম জাতীয় সম্মেলন।
বরিশালে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা, চলচ্চিত্র ...
- www.prothom-aloblog.com/posts/76/208218
- ১৯ আগস্ট, ২০১৪ - বিখ্যাত বাঙালি নাট্য নির্দেশক, অভিনেতা, নাট্যকার, নাট্যতজ্ঞ ও সম্পাদক উৎপল দত্ত। আধুনিক ভারতীয় থিয়েটারের ইতিহাসে অভিনেতা, নাট্যনির্দেশক ও নাট্যকার হিসেবে তার স্থান সুনির্দিষ্ট। উৎপল দত্ত প্রথম দিকে বাংলা মঞ্চনাটকে অভিনয় করতেন। তাঁকে গ্রুপ থিয়েটার অঙ্গনের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের অন্যতম ...
সাহিত্যনির্ভর জাতীয় নাট্য আয়োজন ২০১৪ শেষ হচ্ছে আজ ...
- arthonitiprotidin.com/2014/08/.../সাহিত্যনির্ভর-জাতীয়-নাট্...
- ৩ দিন আগে - বাংলা সাহিত্যের গল্প, কবিতা ও উপন্যাস, স্থানীয় লোককাহিনী ও ঐতিহ্যের ওপর লেখা কাব্য, গল্প, উপন্যাসের নাট্যরূপ ও পা-ুলিপি সংগ্রহের মাধ্যমে এ নাট্যদল গঠন করা হয়। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ... বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল আকতারুজ্জামান।
হিমঘর তৈরির নামে ৩০০ কোটি হাতান সুদীপ্ত সেন
| |
সোমনাথ মণ্ডল
| |
|
চাপে ঢিলে হবে না সারদা তদন্ত, নির্দেশ মোদীর
সারদা মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক চাপ যতই আসুক, সিবিআই তদন্তকে কোনও ভাবেই লঘু করা হবে না বলে, বুঝিয়ে দিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপান যাওয়ার আগে এই মর্মে নির্দেশও দিয়ে গিয়েছেন সিবিআই প্রধান রঞ্জিত সিন্হাকে। শুধু সিবিআই কর্তৃপক্ষ নয়, স্বরাষ্ট্র-অর্থ-আইন-সহ বিভিন্ন মন্ত্রককে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যখন তদন্ত চলছে, তখন কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেন তাতে নাক না গলান। প্রধানমন্ত্রীর আরও নির্দেশ, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যেন সিবিআই প্রধানের সঙ্গে দেখাও না করেন।
জয়ন্ত ঘোষাল
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
সেই ঝর্ণার হুমকি-মারে আত্মঘাতী যুবক
গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোহন দাস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আফতাবের উঠোনে খেলা দেখলেন নিতু, মাঠে মদন
অত্রি মিত্র
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মুকুলের আশ্বাসে ধর্মঘটে যাচ্ছেন না আলু ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসের পরে আলু। মুকুল রায়ের দৌত্যে উঠে গেল তিন দিনের আলু ধর্মঘটের ডাক, আজ থেকে যা শুরু হওয়ার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে এই মর্মে আশ্বাস পেয়ে ধর্মঘট আপাতত প্রত্যাহার করা হল বলে রবিবার আলু ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পুলিশকর্তাদের দিকেও নজর সিবিআইয়ের
রাজীবাক্ষ রক্ষিত
নিয়ম ভেঙে সুদীপ্ত সেনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা কিংবা সক্রিয় ভাবে সারদা-কর্তার ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করা এমন অভিযোগ ওঠায় এখন অসম পুলিশের কয়েক জন শীর্ষকর্তা সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। সিবিআই গোয়েন্দাদের বক্তব্য, তদন্তে প্রাথমিক ভাবে সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে অসম পুলিশের একাংশের যোগসাজশের প্রমাণ মিলেছে।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নিষ্ফল আশ্বাস মন্ত্রীর, ঝামেলায় রাজ্য ছাড়তে পারে কাগজকল
সুব্রত সীট
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
অসমের গায়ক ও ব্যবসায়ীকে ফের জেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ভিন্ রাজ্যেরও বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠেছে। তাঁদের মধ্যে অসমের গায়ক-চিত্রপরিচালক সদানন্দ গগৈ এবং ব্যবসায়ী রাজেশ বজাজ আবার পড়েছেন জেরার মুখে। সিবিআই সূত্রের খবর, রবিবার সকাল থেকেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে ওই দু’জনকে জেরা করা হয়। তাতে কিছু তথ্যও মিলেছে বলে গোয়েন্দাদের দাবি।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
মন্দিরে যেতেন মদন-সুদীপ্ত, কর্তৃপক্ষ বলছেন চিনি না
কুন্তক চট্টোপাধ্যায়
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
নকল নিয়ে ইস্তফা বাড়াবাড়ি, মত কৃষ্ণকলির
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
আজ পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী
কিশোর সাহা
সরকারি পর্যায়ে সম্পর্ক রাখলেও পরস্পরের উপরে চাপ বজায় রাখার পথেই হাঁটছে তৃণমূল ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালিম্পং সফরের প্রাক্কালে রবিবার দু’দলের কর্মকাণ্ডে তাই স্পষ্ট হয়েছে। তৃণমূলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের সময়ে রীতি মেনে পাহাড়ের প্রশাসন তথা জিটিএ প্রধান বিমল গুরুঙ্গ যাতে উপস্থিত থাকেন, সেই ব্যাপারে এ বার তাঁকে অনুরোধ করা হয়নি।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
ব্যবস্থা নিতে এত দেরি কেন, প্রশ্ন ইউজিসির
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
তদন্ত কী হবে, গুঞ্জন বিশ্বভারতীতে
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
রাস্তায় দেখা হবে, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি বুদ্ধের
নিজস্ব সংবাদদাতা
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
হাত ধরার বন্ধু এখন কে, বিতর্ক চড়ছে কংগ্রেসে
সন্দীপন চক্রবর্তী
আগামী বিধানসভা ভোট মাথায় রেখে মিত্র-সন্ধানে নেমে বিতর্ক দানা বাঁধছে কংগ্রেসের অন্দরে! কয়েক মাস আগে লোকসভা ভোটে একা লড়ে তাদের হাতে-থাকা ৬টির মধ্যে চারটি আসন বাঁচাতে পেরেছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই চার আসনই মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে। এই দুই জেলার বাইরে বাকি রাজ্যে দলের ফল মোটেও আশাপ্রদ নয়। রাজ্য জুড়ে কংগ্রেস ৯.৬% ভোট পেয়েছে ঠিকই।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
বাসে আগুন, মৃত রাজ্যের ৫ জন
নিজস্ব সংবাদদাতা
পুজোর মুখে দক্ষিণ ভারত বেড়াতে গিয়ে চলন্ত বাসের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল দুই মহিলা-সহ এই রাজ্যের পাঁচ ভ্রমাণার্থীর। গুরুতর জখম হয়েছেন ছ’জন।শনিবার গভীর রাতে তামিলনাড়ুর রমানাথপুরম জেলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। রামেশ্বরম মন্দির দেখে মোট ৭৮ জনের দলটি বাসে চেপে ইস্ট কোস্ট রোড ধরে কন্যাকুমারী যাচ্ছিল। চলন্ত বাসে আচমকাই আগুন লেগে যায়।
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪
পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয় বাড়ছে, ঋণের বোঝাও
জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
৩১ অগস্ট, ২০১৪
আমি চোর নই, সিবিআই-কে পাল্টা আক্রমণের পথে মদন
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ অগস্ট, ২০১৪
সারদার দু’টি টিভি চ্যানেলই চালু, কী ভাবে, তদন্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ অগস্ট, ২০১৪
লপসিতে অরুচি আফতাব-পড়শি নিতুর
অত্রি মিত্র
আলিপুর জেলে কুখ্যাত জঙ্গি আফতাব আনসারির পাশের ঘরেই রাখা হল সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ওরফে নিতুকে। ফাঁসির আসামিদের জন্য বরাদ্দ এক নম্বর সেলে রয়েছে মার্কিন তথ্য কেন্দ্রে হামলা ও খাদিম-কর্তা অপহরণের মূল পাণ্ডা আফতাব। একই সেলে ঠিক তার পাশের ঘরেই নিতুকে রেখেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আফতাবের মতো নিতুর উপরেও সারা ক্ষণ সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
৩১ অগস্ট, ২০১৪
একলা পথে আলো জ্বালার শপথ আবেগের চিত্রনাট্যে
ঋজু বসু
৩১ অগস্ট, ২০১৪
সরকারি অবহেলায় বন্ধ ফল-সব্জি রফতানি
অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য
৩১ অগস্ট, ২০১৪
মুকুলের হস্তক্ষেপ, সুর নরম করলেন আলু ব্যবসায়ীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ অগস্ট, ২০১৪
সন্ত্রস্ত এ বার জুতো কারখানা, অভিযুক্ত তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩১ অগস্ট, ২০১৪
জুজু বিজেপি, নারাজ নন বাম-নামে
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঠেলায় পড়লে বিড়াল নাকি গাছে ওঠে! বিজেপি-র জুজু দেখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কি সিপিএম-কে বন্ধু ভাবেন? রাজ্য রাজনীতিতে এ যাবৎ অসম্ভব এক রাজনৈতিক সমীকরণের সম্ভাবনা হঠাৎই মাথাচাড়া দিল তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার একটি মন্তব্যে। রাজনীতিতে কেউই অচ্ছুত নয় বলে মন্তব্য করে মমতা জানালেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির মোকাবিলায় এবং পরিস্থিতির প্রয়োজনে সিপিএমের তরফে কোনও প্রস্তাব এলে তিনি আলোচনায় রাজি।
৩০ অগস্ট, ২০১৪
উত্তরেও ছড়াচ্ছে সিবিআই-শঙ্কা
কিশোর সাহা
৩০ অগস্ট, ২০১৪
এ বার মদনকে জেরা করতে চায় সিবিআই
নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়িতে সিবিআই হানা এবং পরপর দু’দিন তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জেরার মধ্যেই ইঙ্গিতটা ছিল। শুক্রবার সিবিআই সূত্রে জানিয়ে দেওয়া হল, সারদা কেলেঙ্কারিতে এ বার পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। সিবিআই অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হা সম্প্রতি বলেছিলেন, সারদা-কাণ্ডে যাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে, তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৩০ অগস্ট, ২০১৪
ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়ে পদ গিয়েছে, মন্ত্রীর ভরসা যায়নি
নিজস্ব সংবাদদাতা
৩০ অগস্ট, ২০১৪
No comments:
Post a Comment