BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Saturday, April 18, 2015

In Andhra Pradesh,task police force killed twenty Tamil workers. Sangbad Manthan published a detailed report in Bengali.

In Andhra Pradesh,task police force killed twenty Tamil workers. Sangbad Manthan published a detailed report in Bengali.
Palash Biswas

সেশাচলম জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২০ জন তামিল দিনমজুর হত্যা : সাজানো সংঘর্ষের প্রমাণ বাড়ছে

সংবাদমন্থন প্রতিবেদন, ১২ এপ্রিল#
অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে এসটিএফ-এর গুলিতে মৃত দিনমজুরদের ছবি আইএএনএস-এর সৌজন্যে। অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে এসটিএফ-এর গুলিতে মৃত দিনমজুরদের ছবি আইএএনএস-এর সৌজন্যে।
৭ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের সেশাচলম জঙ্গলে একই দিনে ২০ জন মারা গেছে অন্ধ্রপ্রদেশ স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের গুলিতে। নিরাপত্তারক্ষীদের বয়ানে, মৃতরা সবাই ওই জঙ্গলে দুষ্প্রাপ্য লাল চন্দন কাঠ কেটে চোরাপাচার করছিল, হাতে নাতে ধরা পড়ে যাবার পর তারা আত্মসমর্পনের বদলে নিরাপত্তারক্ষীদের চ্যালেঞ্জ করে পাথর, ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে; প্রায় দেড়শো জনের আত্মসমর্পনের মুখে পড়ে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে দুটি পৃথক এলাকায় মোট ২০ জন মারা যায়; বাকিরা পলাতক।
কিন্তু ঘটনার কয়েক দিন পর তামিলনাড়ুর তিরুভান্নামালাই জেলার মুরুগাপাণ্ডি গ্রামের এক জনমজুর শেখরের নাম ভেসে আসে সংবাদমাধ্যমে। শেখর কাইতাকামাল জানায়, তারা আটজন ঘটনার দিন বাসে করে অন্ধ্রপ্রদেশে কাজের খোঁজে যাচ্ছিল, যেমন তারা যায়। কিন্তু সেদিন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর সীমান্তে চিত্তুর জেলার নাগারির কাছে বাস পৌঁছলে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ ঢুকে সাতজন জনমজুরকে তুলে নিয়ে যায়। সে একটু আলাদা বসেছিল তার বৌ-এর সঙ্গে, তাই তাকে মজুর বলে চিনতে পারেনি, তাই সে বেঁচে যায়। পরের বাসস্টপে নেমে সে ফিরে আসে নিজের গ্রামে। তিরুভান্নামালাই এবং ভেলোর জেলার গ্রামে গ্রামে এই কথা লোকের মুখে মুখে ফিরছে। শেখর তার পরিবার সহ পলাতক।
ঘটনাস্থলটি লোকালয় থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে। সেখানে ঘটনার পরে যাওয়া সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মতে, ছুরি বাদে আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি, দেহগুলিও পড়েছিল দশ-বারো ফিট ব্যবধানে, আশেপাশের গাছে কোনো বুলেটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। চন্দন গাছের মাত্র ২০টি শাখা পাওয়া গেছে। ফলে পুলিশ যেমন বলেছিল, প্রায় শ'দেড়েক লোক আক্রমণ করেছে, তাদের সবার হাতে চন্দন গাছের কাটা অংশ ছিল — তা ঠিক নয়। লাশগুলির হাতে, বুকে, মুখে খুব কাছ থেকে করা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এমনকি পোড়ার দাগ অবদি পাওয়া গেছে, যা অত্যাচারের চিহ্ন। সব মিলিয়ে সংঘর্ষের কোনো যুক্তিগ্রাহ্য প্রমাণ দেখা যায়নি। বরং সাজানো সংঘর্ষের গল্প ফাঁদা হয়েছে, আসলে ধরে নিয়ে অত্যাচারের পর জঙ্গলে ঠাণ্ডা মাথায় মেরে দেওয়া হয়েছে — এমনই সম্ভবনা। সাজানো ঘটনার ইঙ্গিত জোরালো হওয়ায় তাকে রোখার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ একটি ভিডিও প্রকাশ করে, যাতে দেখা যায়, জঙ্গলের মধ্যে বহু লোক ঘোরাফেরা করছে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক দল সিপিআই-এর এক নেতা দাবি করেছেন, এই ভিডিওটি ভুয়ো — সেটি মামানদুর জঙ্গল থেকে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তোলা ভিডিও।
এরই মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও মাদ্রাজ হাইকোর্ট পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। সেই আদেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তামিলনাড়ু সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছে। সারা তামিলনাড়ু জুড়ে তামিল দিনমজুরদের এই হত্যার বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে।

No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...