রবীন্দ্রনাথকে ছাপিয়ে বাঙালির ইতিহাসে ঢুকে গেল মমতা মোদী যুগলবনদী বাংলার উন্নয়নের অজুহাতে।
আরে বাবা,বাজেটে বরাদ্দ নেই যদি ত একান্তবৈঠকে দাবিপ্তর দেখিয়ে দিদি কি না কি হাসিল করিলেন সেই আনন্দেই বাম ও কংগ্রেস বধের কার্নিওয়ালে বাঙালি রবীন্দ্রনাথকেও ভুলে গেল।
ওপার বাংলায় রাজনীতিতে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা।তবূু রবীন্দ্রনাথকে ওপার বাংলা মনে রেখেছে। অথচ বাংলায় মা মাটি মানুষের বিজ্ঞাপনে তিনি কবিগুরি হইয়া গেলেন,কবি মোদী হলেই না মানাত।
পলাশ বিশ্বাস
মোদি,
গতকাল রাতে
মমতা
গতকাল রাতে আমাদেরই এক সহকর্মী সঙঘ পরিবারের বুদ্ধিজীবী সেলের মাথা ও সাংবাদিক রাতে দিল্লী হয়ে আমাদের কাছে জানতে পারলেন যে রবীন্দ্র জয়ন্তী এ বছর নরেন্দ্র উত্সবে পরিণত এই বঙ্গে।
রবীন্দ্রনাথকে ছাপিয়ে বাঙ্গাির ইতিহাসে ঢুকে গেল মমতা মোদী যুগলবনদী বাংলার উন্নয়নের অজুহাতে।
সাচ্চারে শিক্ষা হয়নি পশ্চিম বাংলার সংখ্যালঘু মুসলমান সমাজের যাদের ধর্মান্ধ মেরুকরণে মমতার মোদীবিরোধী জেহাদ।
মোদী এবং মমতা মিলে বাঙালি মুসলমানকে এবং তাবত বাঙালি হিন্দু জন গণকে এক ঘাটে জল খাইয়ে গাধার টূপি পরিয়ে দিলেন।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।
রবীন্দ্র জয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথ বেমালুম গায়েব,টিভিতে কাগজে দিদি ও মোদী,হাসি হাসি হাসি আরও হাসি।
বাজেটে সব সামাজিক প্রকল্পে হাজার হাজার কোটির কোপ।
বাজেটে মহিলা,শিশু ও তফসিলী, কৃষি,শিক্ষা ও চিকিত্সায় কোনো অনুদান নেই বলতেই চলে।ইন্ডিয়া ইনকারপোরেশনকেও ঘোল খাইয়ে স্বদেশি ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পের দফা রফা করে বিদেশি পুঁজি ও বিদেশী স্বার্থের কাছে দেশ বিকিয়ে লাখো টাকার স্যূট পরে সারদা কেলেন্কারি রফায় হরিদাস পালের বাতাসার মোত্সবে গ্রীষ্মের এই প্রচন্ড দাবদাহে তৃণমূল ঘাসফুল এবং পদ্মফুল এক্কেবারে কৃষ্ণচুড়ো রাদাচুড়ো হযে গেল পাগল হাওয়ায।
আরে বাবা,বাজেটে বরাদ্দ নেই যদি ত একান্তবৈঠকে দাবিপ্তর দেখিয়ে দিদি কি না কি হাসিল করিলেন সেই আনন্দেই বাম ও কংগ্রেস বধের কার্নিওয়ালে বাঙালি রবীন্দ্রনাথকেও ভুলে গেল।
ওপার বাংলায় রাজনীতিতে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা।তবূুতে রবীন্দ্রনাথকে ওপার বাংলা মনে রেখেছে। অথচ বাংলায় মা মাটি মানুষের বিজ্ঞাপনে তিনি কবিগুরি হইয়া গেলেন,কবি মোদী হলেই না মানাত।
শুনেই বুদ্ধিজীবীদের মাথা হা হা করে বললেন,ভুল ছাপা হলে কাগজের দায়িত্ব।
কাগজের খবর নিয়ে বিবাদ হতে পারে তাই আজকের লেখায় এপার বাংলার কাগজ না ধরে ওপার বাংলার কাগজ ধরলাম।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। আবার তা প্রমাণ করলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় গতকাল শনিবার এক মঞ্চে তিনি বসলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে। নিজের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে সরে এসে প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একসঙ্গে কাজ করলে দেশেরই উন্নয়ন হবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে তিনিও একমত।বাংলাদেশি দৈনিক পত্রিকায় যথাযথ মন্তব্যকরেছেন অমর সাহা।
নরেন্দ্র মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন গত বছর। কিন্তু মোদির সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ছিল 'আদায়-কাঁচকলায়'। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদিকে 'দাঙ্গাবাজ' বলতেও 'কসুর' করেননি মমতা। এমনকি মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেননি। সব সময় কঠোর সমালোচনা করে গেছেন মোদির। সেই মোদির পাশে বসেই তাঁকে জানান রাজ্যের দাবি-দাওয়ার কথা।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দুদিনের সফরে গতকাল কলকাতায় পৌঁছান মোদি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি ও মমতা। সেখানেই ভারতের তিনটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদি। এই তিনটি প্রকল্প হলো প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং অটল পেনশন যোজনা।
এর আগে নজরুল মঞ্চে পৌঁছেই মঞ্চের সাজঘরে প্রায় আধঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন মোদি-মমতা। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা না গেলেও সরকারি মহল থেকে এটুকু জানা গেছে, মূলত রাজ্যের আর্থিক দাবি-দাওয়া, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ ছাঁটাই করা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মমতা মঞ্চে মোদির পাশে বসে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, 'কেন্দ্র ও রাজ্যকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একসঙ্গে কাজ করলে দেশেরই উন্নয়ন হবে।' আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের সব গ্রামে ব্যাংকিং সুবিধা নেই। সব গ্রামে ব্যাংকের শাখা চাই।'
মোদিও তাঁর ভাষণে মমতার এই দাবির যথার্থ উত্তর দিয়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানেন, সমাধান আমি-ই করব। গরিবের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে হবে আমাদের।'
এর আগে কবিগুরুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাষণ শুরু করেন মোদি। পরে তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে বাংলার গুরুত্ব অনেক। বাংলা থেকেই পরিবর্তনের শুরু। একসময় ভারতের আর্থিক বিকাশের ভিত্তি ছিল এই বাংলা। বহু পরিবর্তনের সূচনা এই বাংলা থেকেই।
তবে মোদির ভাষণে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কোনো উল্লেখ ছিল না।
নজরুল মঞ্চ থেকে মোদি কলকাতার রাম কৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে রাম কৃষ্ণ মিশনের অসুস্থ স্বামী আস্থানান্দকে দেখতে যান। সেখান থেকে যান রাজ্যপালের বাসভবন রাজভবনে। পরে মমতাও সেখানে যান এবং দুজন প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠকের আলোচ্যসূচি জানা না গেলেও একটি টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, সেখানে মোদির হাতে পাঁচ পৃষ্ঠার একটি স্মারকলিপি তুলে দেন মমতা। এতে আছে রাজ্যের দাবি-দাওয়া।
পরে মমতা রাজভবন থেকে চলে যান। তবে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে রাজ্যপালের দেওয়া নৈশভোজে আবার মমতার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। রাতে মোদি রাজভবনেই থাকবেন বলে জানায় সরকারি সূত্র।
আজকালের প্রতিবেদনঃ
অরুন্ধতী মুখার্জি, অরূপ বসু: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবার রাজ্যে এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠক করলেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মূল বৈঠকটি হয় রাজভবনে৷ রাজভবনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন৷ তাতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাজ্যে কীভাবে কম টাকা পাচ্ছে প্রকল্প ধরে তার উল্লেখ করেন৷ মোটামুটি ভাবে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ৯ হাজার কোটি টাকা বকেয়া বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই টাকা দাবি করেছেন৷ মমতা ব্যানার্জির লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যাতে সেই টাকা পাওয়া যায়৷ রাজভবনের বৈঠকটি ছিল মূলত রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে৷ সেখানে উপস্হিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ নজরুল মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানেও দু'জনে একসঙ্গে ছিলেন৷ রটে যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত একটি বৈঠক হয়েছে৷ যদিও বি জে পি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিন্হা দাবি করেন এরকম কোনও বৈঠক হয়নি৷
নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী দু'জনের কথাতেই কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার কথা উঠে এল৷ দু'জনেই মনে করেন কেন্দ্র-রাজ্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে রাজ্যগুলির উন্নয়ন হবে, দেশেরও সার্বিক উন্নতি হবে৷ তাঁদের ভাষণের মধ্যে দিয়ে মানুষের উন্নতিতে কেন্দ্র-রাজ্য পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উঠে আসে৷ প্রসঙ্গের উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বা্যনার্জি বলেন, মানুষ বিশেষ করে গরিব মানুষের উন্নয়নে যতটা প্রতিশ্রুতি থাকে ততটা কার্যকর হয় না৷ সেটা খেয়াল রাখা উচিত৷ নারী কল্যাণে আমরা 'কন্যাশ্রী' প্রকল্প চালু করেছি সেটাই আজকে কেন্দ্রের 'বেটি বাঁচাও' প্রকল্প বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকান৷ গরিব মানুষের জন্য অনেক কিছু করার আছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানের উল্লেখ করতে ভোলেননি৷ প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে গরিব মানুষের উন্নতিতে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷ তিনি বলেন, গরিব মানুষ সাহায্য চায় না শক্তি চায়৷ আমাদের সেই শক্তি জোগাতে হবে৷ তিনিও রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঞ্চস্হ রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে বলেন, গরিব, বিপন্ন মানুষকে শক্তিশালী করলেই দেশ শক্তিশালী হবে৷ রাজভবনে যে স্মারকলিপিটা দেন তাতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সামাজিক প্রকল্পে এবং দুর্বল শ্রেণীর জন্য কেন্দ্রের যে প্রকল্পগুলি আছে তাতে রাজ্য সরকারের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে না৷ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জঙ্গলমহল ও পাহাড়ে কতটা শান্তি বিরাজ করছে তা মনে করিয়ে দেন৷ কেন্দ্রের যে-সব বড় প্রকল্প আছে তাতে রাজ্যের যা পাওনা তা রাজ্য পাচ্ছে না৷ যেমন সর্বশিক্ষা অভিযানে ৮৮৯৪ ছ২০১৪-১৫গ্গ কোটি থেকে কমে রাজ্য পেয়েছে ২ হাজার কোটি ছ২০১৫-১৬গ্গ টাকা৷ মিড-ডে মিল প্রকল্পেও কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের যা পাওনা তার ৬৭ শতাংশ টাকা কমে গেছে৷ সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে রাজ্য ৫০ শতাংশ টাকা কম পাচ্ছে৷ কৃষি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্প আছে তা কমে যাওয়ায় রাজ্যের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷ এই খাতে ৩৬১ কোটি টাকা রাজ্য কম পাচ্ছে৷ প্রসঙ্গত কৃষিতে তিনটি প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা আসে৷ পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া– এই তিনটি জেলার উন্নয়নের জন্য এখন আর কেন্দ্রের সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না৷ মমতা ব্যানার্জির অনুরোধ এই তিনটি জেলার উন্নয়নের জন্য যে-সব কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু ছিল তা আবার শুরু করা হোক৷ পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির জন্য কেন্দ্র যে অনুদান দেয় সে টাকাও কেন্দ্র আর দিচ্ছে না৷ ফলে এ-সব জেলায় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য রাজ্যকে অসম লড়াই করতে হচ্ছে৷ বিশেষ পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের জন্য অনুদানের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার প্রচণ্ডভাবে কমিয়ে দিয়েছে৷ এই খাতে ৮ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ৫৫৮২ কোটি টাকার মতো৷ রাজ্য সরকার এই খাতে ৬৪২৬ কোটি টাকার মতো দিয়েছে৷ সুতরাং মুখ্যমন্ত্রী তার স্মারকলিপিতে বলেছেন, এই খাতে কেন্দ্রের থেকে বেশি অর্থ খরচ করেছে রাজ্য৷ দার্জিলিঙে জি টি এ-র জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তারও পুরোটা পাওয়া যায়নি৷ সেই ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে কেন্দ্রের তিন বছর ধরে ৬০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু এ পর্যন্ত রাজ্য পেয়েছে মাত্র ৩১৫ কোটি টাকা৷ বাকি টাকা এখনই যাতে কেন্দ্র ছেড়ে দেয় সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ জানিয়েছেন৷ নির্মল বাংলা গড়ার জন্য কেন্দ্র যেন তাদের টাকা দেওয়ার পদ্ধতি পাল্টায়৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, নদীয়, হুগলি এবং বর্ধমানে নির্মল বাংলা প্রকল্প দারুণভাবে কাজ করেছে৷ নদীয়া জেলা এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপুঞ্জের পুরস্কার পেয়েছে৷ সবার 'শৌচাগার' এ রাজ্যে সফল করতেই হবে– মমতা ব্যানার্জি একথা বলেছেন৷ সেজন্য এই খাতে টাকা দেওয়ার পদ্ধতি পাল্টানোর দাবি জানিয়েছেন৷ পুলিস এবং অন্যান্য বাহিনীর আধুনিকীকরণ, পার্বত্য অঞ্চলের জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় সহায়তা, এ দুটি প্রকল্পের দায় আর কেন্দ্র নিচ্ছে না৷ মমতা ব্যানার্জির অনুরোধ, এই দুটি প্রকল্প যেন আবার চালু করা হয় এবং কেন্দ্রের টাকা যেন আবার পাওয়া যায়৷ এভাবে মুখ্যমন্ত্রী পরিবহণ প্রকল্প, ধান সংগ্রহ, শস্য ঋণ, এ-সব খাতে কেন্দ্রের সহায়তা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন৷
আধুনিক ইসকো, প্রকল্পের সূচনা করলেন মোদি
রবিবার আসানসোলে রাষ্ট্রায়ত্ব ইস্পাত কারখানা ইসকো-র আধুনিকীকরন প্রকল্পের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এদিন সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে দক্ষিনেশ্বরের মন্দির ও বেলুড় মঠ পরিদর্শনের পর হেলিকপ্টারে চেপে আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবার জন্য আসানসোলে আগে থেকেই উপস্হিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা৷ ইসকোর এই আধুনিকীকরনের জন্য প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে৷ আশির দশক থেকেই ক্রমশ রুগ্ন হতে থাকা ইসকো এর ফলে, ইস্পাত ব্যবসায় নিজের হারানো জমি যেমন কিছুটা ফেরত পাবে, তেমনই নতুন কর্মসংস্হানও হবে৷ ভিলাই ও রাউরকেল্লার ইস্পাত কারখানার মতো ইসকোকেও দেশের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে এদিনের অনুষ্ঠানমঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷
ভুল, মানলেন ইয়েচুরি
পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে ইউপিএ সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল, মানলেন সিপিএমের নতুন সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ মেনে নিলেন, ভুল ইস্যুতে লড়াই করার জন্যই একের পর এক নির্বাচনে বামেদের ভরাডুবি হয়েছে৷ ইয়েচুরি বলেন, পরমাণু নীতির বদলে যদি মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে সমর্থন তুলে নেওয়া হত, তা হলে সাধারণ মানুষ সেটা বুঝতে পারতেন, সমর্থন করতেন৷ কিন্তু পরমাণু শক্তির বিষয়টির সঙ্গে মানুষের কোনও সরাসরি সংযোগ নেই৷ বামেরাও জনগণকে বিষয়টির গুরুত্ব বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিল, স্বীকার করেছেন ইয়েচুরি৷ তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে ধারাবাহিক হারের পর দল একাধিকবার এই বিষয়টি নিয়ে আত্মসমালোচনা করেলেও ততক্ষনে দেরি হয়ে গিয়েছিল৷ যার ফলস্বরূপ ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটেই বামেদের ক্ষমতা অনেকখানি কমে যায়৷ এরপর ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটে৷ তখনই তাঁরা বুঝেছিলেন, রোজকার দরকারি জিনিস, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব হলে মানুষ বামেদের পাশেই থাকত৷
আনন্দবাজারের খবরঃ
বার্নপুরেও সহযোগিতার সুরে মোদী-মমতা
কলকাতার নজরুল মঞ্চের পর আসানসোলের বার্নপুর! ফের একমঞ্চে মোদী-মমতা! ফের দু'জনেই শোনালেন উন্নয়নের প্রশ্নে সহযোগিতার সুর! রাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে রবিবার সকালে বার্নপুরের জনসভায় দেশের উন্নয়নে 'টিম ইন্ডিয়া' কার্যকারিতার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সাম্প্রতিক অতীতে মোদীর সমালোচনায় মুখর হলেও এ দিন মমতা সেই সুরেই তাল মেলালেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ মে, ২০১৫
দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে মোদী পৌঁছলেন আসানসোলে
সফরের দ্বিতীয় দিনে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দক্ষিণেশ্বর মন্দির এবং বেলুড় মঠ ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পর সেখান থেকে তিনি পৌঁছলেন আসানসোলের বার্নপুরে। সেখানে ইস্কোর আধুনিকীকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একমঞ্চে উপস্থিত হয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১০ মে, ২০১৫
No comments:
Post a Comment