BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Monday, October 7, 2013

রাজকীয় রাজসূয় আয়োজন

রাজকীয় রাজসূয় আয়োজন


পলাশ বিশ্বাস

রাজকীয় রাজসূয় আয়োজন

ছুটির ঢালাও ইন্তজাম

পাড়ায় পাড়ায় ইফতার পার্টি

ঢালা ও ইলিশ আয়োজন

ভুখা বাঙ্গালি দাওয়াতে

বহুত খুশ, খৈরাত ঢালাও

সরকারি খরচায়

ট্যাক্স পেয়ারদের  টাকায়

মহিষাসুর বধ

প্রতিবাদ কিনতে ঢালাও

ক্ষতিপূরণ আর

জনকল্যাণ মানে

ক্লাবে ক্লাবে অনুদান

ইমাম ভাতা চলছে

হরেকরকম সঙ্গে

চলছে বহুসংখ্যক তুষ্টিতে

পাড়ায় পাড়ায়

ঢালাও টন্ডীপাঠ

পাড়ায় পাড়ায়

শপিং মল

মল জল একাকার

জলমগ্ন বাজার

বন্যা পরিস্থিতি

কুছ পরোয়া নেহী

জেসপ হয়েছে বিক্রী

হলদিয়াও সেই পথে

কুছ পরোয়া নেই


পাড়ায় পাড়ায়

মদের দোকান

কম পড়েছে

সীমান্তে ভাঙ্গণ

কম পড়েছে

রাজনীতিতে অপরাধ

কম পড়েছে

স্মাগলার কম পড়েছে

মগের মুল্লুক কম পড়েছে

পাড়ায় পাড়ায়

বার রেস্তারাঁ

তা ও কম পড়েছে

এখন ঢালাও

চন্ডীপাঠ পিতৃতর্পণ

ছাড়া মাতৃপক্ষ এখন

আস্থা বারোয়ারি মোত্সব

রাস্তায় রাস্তায়

রম বিয়ার হুইস্কির

ঢালাও আয়োজন

পুজো দেখে বিরয়ানি

আর সোডা কিয়স্কে

বিয়ার আর রাম


বিক্রী হয়ে যায় বংলা

উপোস করার বালাই নেই

মোত্সব শুরু প্রতিপধে

শব্দ ভয়ন্কর

প্রতিবাদে বিপত্তি হরেকরকম

যৌণ নির্যাতন বারোয়ারি



বয়ঃসন্ধির ছেলেমেয়েদের উপর মাদকের প্রভাব পরিণতদের তুলনায় অনেক ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী৷ কিন্ত্ত কৈশোরের নেশাসক্তি বয়স্কদের তুলনায় জোরদার কেন, তার উত্তর বিজ্ঞান এখনও পরিষ্কার ভাবে দিতে পারেনি৷

কৈশোরের গডে় উঠতে থাকা মস্তিষ্কে আসক্তি কী কী ভাবে গণ্ডগোল ঘটাতে পারে?

নেশার দ্রব্যের রকমফের আছে৷ ড্রাগ, অ্যালকোহল ইত্যাদি ছাড়াও কৈশোরে বিভিন্ন ওষুধের উপর, অপ্রচলিত মাদকের উপর আসক্তি থাকে৷ বেশির ভাগ মাদক সরাসরি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার নেটওয়ার্ককে টার্গেট করে৷ বাড়ন্ত বয়সে নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকলাপে প্রতিবন্ধকতা এলে গড়ে ওঠার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ বেশির ভাগ মাদক শরীরে ঢোকা মাত্র পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের বোধকে বাইপাস করে সোজা মস্তিষ্কে পাড়ি জমায় এবং প্রভাব ফেলে৷

উদাহরণ স্বরূপ, নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন সেরোটোনিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মোটিভেশন ও রিওয়ার্ড নিয়ন্ত্রণ করে৷ যখন কিশোর-কিশোরীরা একটা কঠিন ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করে কিংবা সাঁতার শিখে যায়, ডোপামিন তাদের পুরস্কৃত হওয়ার অনুভূতি দেয়৷ এই অনুভূতি তাদের বারবার সমস্যার সমাধান খুঁজতে কিংবা নতুন কিছু শিখতে প্ররোচিত করে৷

মেথ বা কোকেন অকারণেই মস্তিষ্কে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে ডোপামিন রিলিজ করতে শুরু করে৷ এর ফলে মস্তিষ্কের খুশি বা পুরস্কার বোধের সার্কিট সম্পূর্ণ ভাবে বোকা বনে গিয়ে এক তাত্ক্ষণিক অতীন্দ্রিয় সুখানুভূতি তৈরি করে৷ কিন্ত্ত এটা যে স্বাভাবিক নয়, তা বুঝতে পেরে মস্তিষ্ক নিজের মতো করে প্রতিরোধের চেষ্টা করে৷ পোস্ট-সাইন্যাপটিক মেমব্রেনে ডোপামিন রিসেপ্টরের সংখ্যা কমিয়ে আনে, যাতে প্রচুর পরিমাণ খুশি হওয়ার রসদ থাকলেও, অত বেশি খুশি না হওয়া যায়৷ কিন্ত্ত এর ফল হয় সাংঘাতিক৷ কারণ এর ফলে ছোট ছোট দৈনন্দিন কারণে একটি শিশুর হাত ছুঁয়ে, একটা সুন্দর ফুল বা পাখি দেখে কিংবা অঙ্ক কষতে পেরে যে সুখানুভূতি, তা-ও হারিয়ে যায়৷ এ সব ছোট ছোট খুশিতে নিঃসৃত ডোপামিন কমে আসা রিসেপ্টরকে উদ্দীপিত করার জন্য নেহাত্ই কম৷ তাই ড্রাগ ব্যবহারকারী বারবার ড্রাগ খুঁজতে থাকে, যাতে আরও বেশি ডোপামিন তৈরি হয়৷ বারবার মাদক গ্রহণের ফলে গঠনশীল মস্তিষ্ক খুব দ্রুত মাদক গ্রহনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেকে অভ্যস্ত করে নেয়৷ ফলে মোটিভেশন ও রিওয়ার্ড সার্কিট ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে যুক্তি ও বুদ্ধির উপর এর প্রভাব পড়তে থাকে৷ পরিণত বয়সেও এই ঘটনা ঘটে৷ তবে কৈশোরে এর পরিসংখ্যান অনেক বেশি৷

অ্যালকোহল, গাঁজা, এমনকি বিভিন্ন ওষুধ আলাদা আলাদা ট্রান্সমিটারকে কাজে লাগিয়ে কিশোর মস্তিষ্ককে সহজেই অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দিতে পারে৷ আপাতগ্রাহ্য নেশার জিনিস ছাড়াও, বাবা মায়েরা ইন্টারনেটে সময় কাটানো, অতিরিক্ত টিভি দেখা, এসএমএস করা ইত্যাদিকেও নেশাই বলে থাকেন৷ ডিজিটাল জেনারেশনের পক্ষে এই ব্যাপারগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কাটানো প্রায় অসম্ভব৷ শৈশবে অতিরিক্ত তথ্যের বোঝা কিংবা বয়সের থেকে পরিণত ব্যবহার করতে শিশুদের বাধ্য করা যে ভাবে শিশু মস্তিষ্কের উপর প্রভাব ফেলে, সে রকম হওয়ার আশঙ্কা কৈশোরে কম৷

কিশোর মস্তিষ্ক অপরিমেয় তথ্য গ্রহণ করতে ও প্রসেস করতে সক্ষম৷ সুতরাং মস্তিষ্কের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ার কোনও কারণ সে অর্থে নেই| বরং বলা যেতে পারে, অতিরিক্ত টেক্সট মেসেজ পাঠানো বা ফেসবুক, কিংবা ভার্চুয়াল ই-জগত্, কিশোরদের আত্মসচেতনতার, নিজস্ব জগত্ তৈরির এক বৃহত্ মাঠ৷ কিন্ত্ত এর ক্ষতিকর প্রভাব আছে এবং এই প্রভাব দিনে দিনে এক বিচ্ছিন্ন প্রজন্মও তৈরি করতে পারে৷ ফোন কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিন, ই-ভাষা, যে একাকী পৃথিবীর জন্ম দেয়, তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া কিশোর মস্তিষ্ক পরিবার বা সঙ্গীর মুখোমুখি বসে কথা বলার স্বচ্ছতা, মানুষের সঙ্গে মানুষের সরাসরি সম্পর্কের মূল্য কতটা বুঝতে পারবে, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে বইকি৷ উপযুক্ত ভারসাম্য তৈরি করতে হবে বাবা মাকে, স্কুলকে, এমনকি পাড়াপ্রতিবেশীকেও৷ পরিবারের সকলে একসঙ্গে সময় কাটানো, কুকুর বা বিড়াল পোষা, বাবা-মায়েদের সামাজিক প্রকল্পে যোগদান (যেমন, নিঃসঙ্গ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কিংবা অনাথ শিশুদের সঙ্গে সময় কাটানো) খুবই দরকার৷ যাতে কিশোর সন্তানের জগত্ ক্রমশঃ আলাদা না হয়ে যায়৷ যাতে তারা খুঁজে পায় সমতা, ছোট ছোট খুশির মূল্য, সহূদয়তার মূল্য৷



বিশাল মিছিলে শক্তি জানান দিল প্রতিবাদী মঞ্চ

বারাসত: মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে শাসকদলের মদতে গড়ে ওঠা শান্তি কমিটি কামদুনির স্কুল মাঠে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল৷ একাধিক মন্ত্রী-নেতার উপস্থিতিতে সেই শিবিরে অনেক লোকের সমাগম জানান দিয়েছিল, অপরাজিতার গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ ছেড়ে সম্ভবত সরকারের পাশেই থাকবে৷ কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেল৷ সোমবার অপরাজিতার মৃত্যুর চার মাস পূর্ণ হল৷ কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চ সেই উপলক্ষে মিছিল এবং শহিদ বেদিতে মাল্যদানের কর্মসূচি নিয়েছিল৷ সেই মিছিলে যে ভাবে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ হল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের, তাতে শান্তি কমিটির কর্মকর্তাদের কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য৷ তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পড়ুয়ারা সামিল হলেন সেই মিছিলে৷ কামদুনির মৌসুমি-টুম্পাদের পাশাপাশি মিছিলে পা মেলালেন সুটিয়ার বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমীলা বিশ্বাস-সহ সুটিয়ার প্রতিবাদীরাও৷ অপরাজিতার পরিবারের কেউই অবশ্য আসেননি৷ শান্তি কমিটিরও কেউ হাঁটেননি৷ দেখা মেলেনি কলকাতার সুশীল সমাজের কোনও প্রতিনিধিকেও৷ মিছিলে স্লোগান উঠল, 'সুটিয়া থেকে কামদুনি, যারাই শাসক, তারাই খুনি৷'


শান্তি কমিটির তোপের মুখে এদিনের মিছিল নিয়ে প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যদের মধ্যে বেশ সংশয় ছিল৷ তার উপরেই সকালে কামদুনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে চিত্রশিল্পী সমীর আইচ, গীতিকার অসীম গিরি-সহ সাতজন জানিয়ে দেন, তাঁরা মিছিলে থাকতে পারবেন না৷ তবে এর প্রতি তাঁদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷ তাঁদের এই অনুপস্থিতি ভয়ে কি না, সেই প্রশ্নও উঠে আসে৷ যদিও অসীমবাবু জানিয়ে দেন, শাসকদলের সঙ্গে লড়াই করার জায়গা এটা নয়৷ এটা গ্রামের মা-বোনেদের ইজ্জত রক্ষার লড়াই৷ এই লড়াইতে তাঁরা সকলেই আছেন৷


সেই লড়াইয়েরই আঁচ পাওয়া গেল এদিন আম্বেদকর স্কুল মাঠে৷ প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই মাঠে জড়ো হন গ্রামের মহিলারা৷ একে একে আসেন সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চ, বারাসত প্রতিবাদী মঞ্চের সদস্যরাও৷ তাঁদের পরই আসেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পড়ুয়া৷ বিকেল পাঁচটায় মাঠ থেকে বিশাল মিছিল রওনা দেয় কামদুনি মোড়ের শহিদ বেদির দিকে৷ তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে তখন উত্তাল এলাকা৷ তার মধ্যেই মিছিল এগিয়ে চলে৷ স্লোগান-গানে সরব হয় মিছিল৷


পরে বরুণের দিদি প্রমীলা বিশ্বাস এবং সুটিয়া প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, 'কোনও মতেই এই লড়াইকে দমন করা যাবে না৷' এপিডিআর-এর রাজ্য সম্পাদক ধীরাজ সেনগুপ্তের কথায়, 'ধর্ষক এবং অভিযোগকারীকে এক করে দিয়ে সরকার কামদুনির প্রতিবাদকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে৷' কামদুনি প্রতিবাদী মঞ্চের সভাপতি ভাস্কর মণ্ডল বলেন, 'এত মানুষ এখনও আমাদের সঙ্গে আছেন দেখে আমরা নতুন করে সাহস পাচ্ছি৷' শিক্ষক প্রদীপবাবুর মন্তব্য, 'ধর্ষণ হলেই কি সরকার একটা করে শান্তি কমিটি করে দেবে?'


খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে মিছিলের ভিড় বাড়িয়েছে৷ তিনি বলেন, 'ওরা যদি রাজনৈতিক লড়াই করতে চায়, তাহলে তৃণমূল সেই লড়াই করতে রাজি৷' শান্তি কমিটির সম্পাদক মোনা ঘোষেরও অভিযোগ, ওরা বাইরে থেকে লোক এনেছে৷

http://eisamay.indiatimes.com/city/kolkata/kamduni-pratibadi-mancha-rally/articleshow/23658830.cms


কাঁকসা: ফের বিক্ষোভের মুখে এসার কর্তৃপক্ষ৷


১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মাণ গ্যাস উত্তোলন প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে গ্রামবাসীদের আন্দোলনে৷ সোমবার রাস্তা কেটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ জমি-মালিকরা৷ তাঁদের অভিযোগ, জমির দাম না দিয়েই সেই জমি অধিগ্রহণ করে রাস্তা তৈরি করেছে এসার৷ গত দেড় বছর ধরে এই নিয়ে এসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে৷ তবে তাতে কোনও লাভ হয়নি৷ জমির মূল্যবাবদ এক টাকাও তাঁরা পাননি বলেই সোমবারের এই বিক্ষোভ৷ এসারের তরফে অবশ্য বলা হয়েছে, যে জমিতে রাস্তা করা হয়েছে সেটি সরকারি খাস জমি৷ সব নিয়মমেনেই সেখানে রাস্তা করা হয়েছে৷


কাঁকসা থানার অন্তর্গত মশানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের আকুন্দারা মোড় থেকে জামবন পর্যন্ত সাত কিলোমিটার রাস্তায় ২৩ জন গ্রামবাসীর জমি গিয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ৷ তাই সোমবার এই রাস্তার দু'জায়গায় দু'ফুট করে রাস্তা কেটে দেন তাঁরা৷ সন্তোষ বাউরির জমি গিয়েছে এই রাস্তায়৷ জানালেন, '২২ শতক জমি নিয়ে নিয়েছে এসার৷ কিন্ত্ত দাম পাইনি৷' বসন্ত বাউরিরও একই অবস্থা৷ তাঁর কথায়, '২৫ শতক জমি গিয়েছে৷ টাকা মেলেনি৷ কী ভাবে সংসার চলছে আমিই জানি৷' জমি গিয়েছে শেখ সফিকেরও৷ তিনি বললেন, 'এসারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা অনেক হয়েছে৷ অভিযোগ জানিয়েছি৷ কিন্ত্ত একটা পয়সা পাইনি৷ এসার কর্তৃপক্ষের একটাই কথা, আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে৷ কিন্ত্ত সমস্যা মিটছে কই? বাধ্য হয়ে দু'জায়গায় রাস্তা কেটে দিয়েছি৷ সোমবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ওই রাস্তায় নেমে আমরা বিক্ষোভ করেছি৷' দুপুরের পর বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে৷ প্রশাসনিক কর্তারাও আসেলন৷ তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়৷ তবে জমিহারাদের হুঁশিয়ারি, 'এতেও যদি এসার কর্তৃপক্ষের ঘুম না ভাঙে, তা হলে আরও বড় আন্দোলনের রাস্তায় যেতে আমরা বাধ্য হব৷ এসারের কোনও গাড়ি চলতে দেব না৷'


এসারের মুখপাত্র রবীন ঘোষ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'জমি তো রাজ্য সরকারের৷ কোনও ব্যক্তির নয়৷ আমরা সব নিয়ম মেনে সরকারের কাছ থেকে জমি নিয়েছি৷ কারও অভিযোগ থাকলে আলোচনা করা যেতে পারে৷' কাঁকসার বিডিও রাখি বিশ্বাস বলেন, 'এ নিয়ে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি৷ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব৷'


আজকের শিরোনাম...
• গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, কাঁকসায় কাজ বন্ধ এসারের
• তেলঙ্গানা নিয়ে বিক্ষোভ, অনশন অব্যাহত
• পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ উদ্ধার ডুয়ার্সে
সবিস্তার...

এ বারের মাতৃবন্দনায় আনন্দবাজার ইন্টারনেট সংস্করণের বিশেষ নিবেদন
• পুজো প্রস্তুতির ফোটো-ফিচার 'আগমনীর আলোয়'

দুই সহোদর শহর কলকাতা ও হাওড়ার কিছু পুরনো বাড়ির পুজোর ইতিকথা।
 চেতলার আঢ্যবাড়ি
• শিবপুরের বসুবাড়ি
অবশেষে ঘাড় থেকে দায় নামার আশায় সরকার
সুপর্ণ পাঠক • কলকাতা
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে রাজ্য সরকারের শেয়ার কার হাতে যাবে, আজ, সোমবারই তা চূড়ান্ত হবে। সোমবার সকাল এগারোটা থেকে শুরু হওয়া নিলাম প্রক্রিয়া ঠিক করে দেবে নতুন অংশীদারের নাম। শিল্প দফতরের অন্তত এমনটাই দাবি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শেষ পর্যন্ত সত্যিই কেউ পেট্রোকেমে সরকারের শেয়ার কিনতে রাজি হলে, দায় নামবে রাজ্যের ঘাড় থেকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শিল্প মানচিত্রে অন্যতম 'শো-পিস' প্রকল্পের শনির দশা এখনই কাটবে না। কারণ, সংস্থার ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ শেয়ারের মালিকানা কার, তা নিয়ে বিবাদ চলছে। রাজ্য ওই শেয়ার নিজের বলে দাবি করলেও পেট্রোকেমের অন্যতম প্রধান শরিক চ্যাটার্জি গোষ্ঠী সেই দাবি চ্যালেঞ্জ করে মামলা ঠুকেছে। এই বিতর্কিত শেয়ার রাজ্য নিলামে চড়াচ্ছে কিনা, তা নিলামের ২৪ ঘণ্টা আগেও স্পষ্ট নয়। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রবিবার বলেন, "কালই তো নিলাম। তখনই জেনে যাবেন। সব কিছু হচ্ছে স্বচ্ছতার শর্ত মেনেই।" বিস্তারিত...
সমঝোতায় আগ্রহী রাজ্য, সুর
নরম করল কামদুনিও
অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য • কলকাতা
টানা চার মাস ধরে চলছিল সংঘাতের আবহ। অবশেষে প্রতিবাদী কামদুনির দিকে শান্তির হাত বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। উপলক্ষ একটি রক্তদান শিবির। কামদুনির প্রতিবাদী মঞ্চের পাল্টা হিসেবে গড়ে ওঠা তৃণমূল-প্রভাবিত কামদুনি শান্তিরক্ষা কমিটির তরফে রবিবার এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবাদী মঞ্চের সম্পাদিকা মৌসুমী কয়াল-সহ কয়েক জন সদস্য। তাঁদের সামনেই রাজ্যের মন্ত্রীরা সংঘাত ছেড়ে উন্নয়নের পথ ধরার আহ্বান জানান। 'রাগ-বিদ্বেষ' ভুলে গিয়ে প্রতিবাদী মঞ্চকেও সেই কর্মকাণ্ডে সামিল হওয়ার ডাক দেওয়া হয়। মঞ্চের তরফেও এ দিন সরকারের সঙ্গে নতুন করে বিরোধিতায় না-যাওয়ারই ইঙ্গিত মিলেছে। শান্তির আহ্বান অতএব বিফলে যাবে না বলেই আশা করছে প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, কামদুনি-সমস্যা যে গলার কাঁটার মতো বিঁধে থাকছে, সেটা কিছু দিন ধরেই বুঝতে পারছিলেন সরকারের শীর্ষ নেতারা। বিস্তারিত...
ওসামা-নিধনের নায়করা সাঁতরে বাঁচল সোমালিয়ায়
সংবাদ সংস্থা • বারাওয়ে ও ত্রিপোলি
অপারেশন জেরোনিমো-র সাফল্যের পুনরাবৃত্তি হল না। দু'বছর আগে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনকে মেরেছিল মার্কিন সেনার যে দল, সেই 'সিল টিম সিক্স' সোমালিয়ায় পিছু হটতে বাধ্য হল শনিবার। সাঁতরে প্রাণ বাঁচালেন মার্কিন সেনারা।কেনিয়ার নাইরোবি শহরের শপিং মলে জঙ্গি নাশকতার সূত্রে সোমালিয়ার আল-শাবাব গোষ্ঠীর নাম এখন গোটা বিশ্বের কাছেই পরিচিত। ওয়েস্টগেট মলে হামলা চালানোর দায় তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে। ফলে মার্কিন প্রশাসনের সন্ত্রাসদমন অভিযানে আল-কায়দা ঘনিষ্ঠ আল-শাবাব এখন গুরুত্বপূর্ণ নিশানা। কিন্তু অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েও আল-শাবাবের প্রতিরোধের মুখে অভিযান বাতিল করতে বাধ্য হল আমেরিকা। সংবাদ সংস্থা-র কাছে এ কথা স্বীকার করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সেনা সূত্রই। অন্য দিকে আল-শাবাব তাদের ওয়েবসাইটে ফলাও করে মার্কিন সেনার ফেলে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্রের ছবি দিয়েছে। বিস্তারিত...
কার্ফু উপেক্ষা করেই সংঘর্ষ বিজয়নগরমে
সংবাদ সংস্থা • হায়দরাবাদ
ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে তেলঙ্গানা-বিরোধী আন্দোলন। সীমান্ধ্রের বিজয়নগরম, বিজয়ওয়াড়া-সহ বেশ কিছু এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। বিজয়নগরমে কার্ফু, দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ উপেক্ষা করেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তার মধ্যেই আজ অনশনের দ্বিতীয় দিনে ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি জানিয়েছেন, অন্ধ্র বিভাজনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে কাল, সোমবার দিল্লিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁর দলের নেতারা। জগনের মা তথা অন্ধ্রপ্রদেশের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী রাজশেখর রেড্ডির স্ত্রী বিজয়াম্মা। প্রসঙ্গত অন্ধ্রের বিভাজন রুখতে আগামিকাল থেকে নয়াদিল্লিতে অনশনে বসার কথা তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর। বিস্তারিত...
• পরের পর উদ্বোধনে মমতা, বার্তা শান্তি সম্প্রীতির
• আকাশের মুখে হাসি, দিনভর পুজো-প্রস্তুতি জোরকদমে
• পটচিত্রে-পুরাণে দুর্গার সংসারের গল্প
• বৃন্দাবন থেকে কলকাতার মণ্ডপে
রাজসজ্জা ছেড়ে এ বার ঢাকে কাঠি মহারাজের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
এত দিন অভিবাদন জানাতেন রাজার সাজেই। এ বার পুজোয় রাজকীয় আবরণ আর আভরণ ছেড়ে মাটির আরও কাছাকাছি নেমে আসছেন তিনি। একেবারে ঢাকির সাজে ঢাক বাজাবেন মহারাজা! তিনি যে তিনিই, অব্যর্থ ভাবে চিনিয়ে দেবে তাঁর গোঁফজোড়া। আদি ও অকৃত্রিম। তাতে বদল নেই। নবরূপে এই মহারাজকে দেখা যাবে কলকাতা বিমানবন্দরের ভিতরে এয়ার ইন্ডিয়ার টিকিট কাউন্টারের সামনে। কয়েক দশক ধরে এই সরকারি বিমান সংস্থার নানান ওঠা-পড়ার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন মহারাজ। সুদিন বা দুর্দিন, সব সময়েই তাঁকে হাসি মুখে সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। মহারাজ আদতে ওই বিমান সংস্থার মুখ, তার লোগো। এয়ার ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডার থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে এই মহারাজের বড় কাট-আউট দেখা যায়। বড় বড় গোঁফ, গায়ে লাল জোব্বা, মাথায় লাল পাগড়ি, বুকে ঝুলছে রত্নহার, পায়ে লাল নাগরা জুতো। বিস্তারিত...
আসারামের সঙ্গেই যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত ছেলে
সংবাদ সংস্থা• সুরাত
একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগে এমনিতেই জর্জরিত আসারাম বাপু। এ বার যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল তাঁর ছেলে নারায়ণ সাইয়ের বিরুদ্ধেও। রবিবার আসারাম ও তাঁর ছেলে নারায়ণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই বোন। তাঁরা সুরাতের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ অনুযায়ী ২০০২ সালে আমদাবাদের আশ্রমে কাজ করার সময়ে আসারাম বড় বোনকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাতে পারেননি। ২০০৪ সাল নাগাদ সবরকন্ঠর এক আশ্রমে ছোট বোনকে আসারামের ছেলে নারায়ণ ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। ওই মহিলা তখন আশ্রমে পড়াশোনা করতেন বলে জানিয়েছেন। আসারামের স্ত্রী ও মেয়ে এই ঘটনায় আসারামকে সাহায্য করেছিলেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন ওই দুই বোন। সুরাতের পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানান, শীঘ্রই নারায়ণকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বিস্তারিত...
বিনোদন
• পুজোর পরেই ফিল্ম সোসাইটির সুবর্ণজয়ন্তী
• কে মল্লিকের গান সংরক্ষণের দাবি
জীবনের শেষ ম্যাচেও দ্রাবিড় সেই সেকেন্ড বয়
দীপ দাশগুপ্ত
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংস শেষ হওয়ামাত্র বন্ধু সাংবাদিকের ফোন রাজস্থান রয়্যালসের জন্য টার্গেটটা কি বেশি হয়ে গেল না? কথাটা শুনেই একটা অন্য চিন্তা ঢুকে পড়ল আমার মাথায়। তা হলে কি জীবনের শেষ ম্যাচেও রাহুল দ্রাবিড়কে 'সেকেন্ড বয়' হয়ে থাকতে হবে? কোটলায় রবিবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি ফাইনাল ছিল দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পরস্পরের বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধ। 'ক্রিকেটের ভগবান' বনাম 'ক্রিকেটের দেওয়াল'। সচিন তেন্ডুলকর বনাম রাহুল দ্রাবিড়। অথচ কী আশ্চর্য! যারা কিনা প্রায় গত পঁচিশ বছর যাবত ভারতীয় ক্রিকেটের হরেক উত্থান-পতনের একসঙ্গে সাক্ষী। এক দলে, এক জার্সি গায়ে। আমি যদি খুব ভুল না হই, তা হলে সেই কৈলাশ ঘাটানির অনূর্ধ্ব উনিশ দল থেকে সচিন-দ্রাবিড় একসঙ্গে খেলে আসছে। ওই সময় ঘাটানির অনূর্ধ্ব উনিশ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে যাওয়া মানে ভারতের অনূর্ধ্ব উনিশ দলে খেলে ফেলার সমান।বিস্তারিত...

এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• 'নিঃস্বার্থ' দ্রাবিড়ের প্রশংসায় রাজস্থান








No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...