নয়াদিল্লি: ফলপ্রকাশের আগে নতিস্বীকার তো বটেই, সম্ভাব্য পরাজয়ের দায়ও 'সন্ত্রাসে'র ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করে দিল সিপিএম৷ শুধু তা-ই নয়, নিজেদের শাসনকালে রিগিং-ছাপ্পা হয়েছে বলে যে স্বীকারোক্তি রেজ্জাক মোল্লা করেছিলেন, তার থেকেও দলের দূরত্ব রচনা করে দিলেন প্রকাশ কারাট৷
শুক্রবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'ফলাফল একতরফা হবে৷ যে ভাবে রিগিং, বুথ দখলের পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাতে এই ভোটে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না৷ রিগিংয়ের জন্য বিকৃত ফলাফল সামনে আসবে৷' রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁর দাবি, পাঁচ দফার ভোটে ৪,৪৭০টি বুথের পুরোপুরি দখল নিয়েছিল শাসকদল৷ এ ছাড়া প্রচুর বুথ আংশিক দখল করা হয়েছে৷ এমন পঞ্চায়েত ভোট পশ্চিমবঙ্গের অতীতে কোনও দিন হয়নি৷
ঘটনা হল, এদিন কারাটের মুখে যে সব অভিযোগ শোনা গিয়েছে, বাম আমলে হুবহু সে অভিযোগই করত আজকের শাসকদল৷ এ প্রসঙ্গে কারাটের জবাব, 'বাম আমলেই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল৷ তার পর সাতটি নির্বাচন হয়েছে৷ তার ফলাফল দেখুন৷ গড়ে ৪০ শতাংশ আসনে বিরোধীরা জিতেছেন৷ রিগিং, বুথ দখল হলে কি এই ফল সম্ভব হত? ২৯ তারিখের পর দেখবেন এবার কী হয়৷ তখন নিজেরাই বুঝতে পারবেন৷ গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন৷' তাঁর অভিযোগ, ছ'হাজারের বেশি বাম প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ বহু জায়গায় বিরোধী প্রার্থীরা ভোট দিতে পারেননি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত ও হাইকোর্টের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করেনি রাজ্য সরকার৷
কারাটকে প্রশ্ন করা হয়, 'রেজ্জাক মোল্লার মতো নেতা স্বীকার করেছেন, বাম আমলেও ছাপ্পা ভোট হয়েছে, হয়েছে অনিয়মও৷' কারাটের জবাব, 'তিনি হয়তো নিজের এলাকার অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা বলেছেন৷ সে ক্ষেত্রে আমি বলব, আমি জানি না৷ অন্য কোথাও কিছু হয়নি৷'
তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কারাট৷ তাঁর মতে, ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সে জন্য কমিশন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে৷ কিন্ত্ত রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেনি৷ 'তা হলে এখন কী করবেন?' সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রথমে বলেন, 'দেখা যাক, কী করা যায়৷' তার পর যোগ করেন, 'এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই৷ তাই সেখানে গিয়ে লাভ নেই৷ আমরা লড়াই জারি রাখব৷ লোককে সংগঠিত করব৷ এই কুকীর্তি দেশবাসীকে জানাব বলেই নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আপনাদের সামনে এসেছি৷'
শুক্রবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'ফলাফল একতরফা হবে৷ যে ভাবে রিগিং, বুথ দখলের পাশাপাশি ভয় দেখিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাতে এই ভোটে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না৷ রিগিংয়ের জন্য বিকৃত ফলাফল সামনে আসবে৷' রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁর দাবি, পাঁচ দফার ভোটে ৪,৪৭০টি বুথের পুরোপুরি দখল নিয়েছিল শাসকদল৷ এ ছাড়া প্রচুর বুথ আংশিক দখল করা হয়েছে৷ এমন পঞ্চায়েত ভোট পশ্চিমবঙ্গের অতীতে কোনও দিন হয়নি৷
ঘটনা হল, এদিন কারাটের মুখে যে সব অভিযোগ শোনা গিয়েছে, বাম আমলে হুবহু সে অভিযোগই করত আজকের শাসকদল৷ এ প্রসঙ্গে কারাটের জবাব, 'বাম আমলেই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল৷ তার পর সাতটি নির্বাচন হয়েছে৷ তার ফলাফল দেখুন৷ গড়ে ৪০ শতাংশ আসনে বিরোধীরা জিতেছেন৷ রিগিং, বুথ দখল হলে কি এই ফল সম্ভব হত? ২৯ তারিখের পর দেখবেন এবার কী হয়৷ তখন নিজেরাই বুঝতে পারবেন৷ গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন৷' তাঁর অভিযোগ, ছ'হাজারের বেশি বাম প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ বহু জায়গায় বিরোধী প্রার্থীরা ভোট দিতে পারেননি৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত ও হাইকোর্টের নির্দেশেরও তোয়াক্কা করেনি রাজ্য সরকার৷
কারাটকে প্রশ্ন করা হয়, 'রেজ্জাক মোল্লার মতো নেতা স্বীকার করেছেন, বাম আমলেও ছাপ্পা ভোট হয়েছে, হয়েছে অনিয়মও৷' কারাটের জবাব, 'তিনি হয়তো নিজের এলাকার অভিজ্ঞতা থেকে এ কথা বলেছেন৷ সে ক্ষেত্রে আমি বলব, আমি জানি না৷ অন্য কোথাও কিছু হয়নি৷'
তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কারাট৷ তাঁর মতে, ভোট যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সে জন্য কমিশন আপ্রাণ চেষ্টা করেছে৷ কিন্ত্ত রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেনি৷ 'তা হলে এখন কী করবেন?' সিপিএম সাধারণ সম্পাদক প্রথমে বলেন, 'দেখা যাক, কী করা যায়৷' তার পর যোগ করেন, 'এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই৷ তাই সেখানে গিয়ে লাভ নেই৷ আমরা লড়াই জারি রাখব৷ লোককে সংগঠিত করব৷ এই কুকীর্তি দেশবাসীকে জানাব বলেই নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আপনাদের সামনে এসেছি৷'
No comments:
Post a Comment