BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Saturday, July 27, 2013

নয়া পুরনিগম গড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর

নয়া পুরনিগম গড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর
এই সময়: রাজ্যে আরও একটি পুর নিগম তৈরি হচ্ছে৷ বিধাননগর, দক্ষিণ দমদম, রাজারহাট-গোপালপুর ও নিউটাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিকে নিয়ে গঠিত হবে এই নতুন পুর নিগম৷ এর আওতায় আসবে বিধাননগর সংলগ্ন কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকাও৷ আগামী বছর এই পুরসভাগুলির ভোটের আগেই নিগম গঠন হয়ে যাবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম৷ এই সংক্রান্ত একটি বিল আগামী মাসে বিধানসভার অধিবেশনে পেশ হওয়ার কথা৷ 

রাজ্যে এখন ৬টি পুরনিগম রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, চন্দননগর, আসানসোল, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়ি৷ জনসংখ্যা, এলাকার সামাজিক অবস্থান ও নাগরিক জীবন বিচার করে পুরনিগম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাম আমল থেকেই আলোচনা চলছে৷ শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল৷ এক্ষেত্রে কলকাতা শহর লাগোয়া সল্টলেক, লেকটাউন, বাগুইআটি, ভিআইপি রোড ও বিমানবন্দর সংলগ্ন অঞ্চল এবং নিউটাউনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ কারণ এগুলি পুরসভার অন্তর্গত হলেও, এইসব এলাকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে কলকাতার প্রায় কোনও ফারাক নেই৷ এখানে বাসিন্দাদের আর্থ সামাজিক অবস্থা, লাইফ স্টাইল-সবই মহানগরের বাসিন্দাদের মতো৷ অথচ বহু পরিষেবা থেকেই তারা বঞ্চিত৷ বিশেষত পানীয় জল, রাস্তা, পরিবহণ ব্যবস্থার বড় সমস্যা রয়েছে৷ বর্ষায় জল জমা বা নিকাশি সমস্যাও রয়েছে৷ পুরসভাগুলি আর্থিক কারণে এলাকার সব উন্নয়ন করতে পারে না৷ ফলে নানা ভাবে ভুগতে হয় সারা বছর৷ এই জট কাটাতেই হাওড়া, শিলিগুড়ি মতো শহরে কর্পোরেশন করা হয়েছে৷ একই কারণে এবার সল্টলেক, লেকটাউনকেও আনা হচ্ছে পুর নিগমের আওতায়৷ জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই তিনটি পুরসভা ও নিউটাউন বড় শহরের সমান৷ বিধাননগরের জনসংখ্যা সওয়া ২ লক্ষ, দক্ষিণ দমদমে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার, রাজারহাট-গোপালপুরে ৪ লক্ষ২ হাজার৷ নিউটাউনের বাসিন্দা সাড়ে ১৪ হাজার৷ আর সেখানে কাজের সুবাদে যাতায়াত করেন ৪৯ হাজার মানুষ৷ 

সরকারের এই সিদ্ধান্তে সংশ্লিষ্ট পুরসভাগুলি কী ভাবছে? বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী এদিন বলেন, 'কর্পোরেশন হলে অর্থ বরাদ্দ বাড়বে৷ ফলে সল্টলেকবাসীরা আরও বেশি পরিষেবা পাবেন৷ তৃণমূলেরই আর এক জনপ্রতিনিধি, দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রধান অঞ্জনা রক্ষিত অবশ্য সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, 'কর্পোরেশন হলে এলাকার অসুবিধা হবে৷ কারণ গরিবরা কোনও পরিষেবা পাবে না৷ পুরসভা যে ভাবে কাজ করে পুরনিগম তা পারবে না৷' রাজারহাট-গোপালপুরের পুর প্রধান আবার অন্য দাবি করেছেন৷ তাঁর কথায়, 'এই কর্পোরেশন হলে সল্টলেক বাড়তি সুবিধা পাবে৷ তাই আমরা রাজারহাট ও নিউটাউন নিয়ে আলাদা কর্পোরেশন চাইছি৷ নিউটাউন-কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি৷ 

কী বলছে সরকার? পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরনিগম গঠিত হলে আর্থিক সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে৷ কারণ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো সংস্থার পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়৷ পুরনিগমের জন্য রাজ্য সরকারও বাড়তি বরাদ্দ অনুমোদন করে৷ যেগুলি পুরসভা পায় না৷ শুধু দমদম, লেকটাউন, নিউটাউন বা সল্টলেক নয়, সল্টলেক সংলগ্ন কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার ধরনও অনেক উন্নত মানের৷ পুরমন্ত্রীর কথায়, 'ওইসব অঞ্চল নামেই পঞ্চায়েত৷ কিন্ত্ত ওখানে এখন আর চাষ হয় না৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কলকাতায় শহরবাসীর লাইফ স্টাইলে আর ফারাক নেই৷' তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর পুরভোট হবে৷ তখন ওই এলাকাগুলিতে কর্পোরেশন হিসাবেই নির্বাচন হবে৷ 

বিধাননগরকে কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়া হবে একথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ প্রথমে বিধাননগর কমিশনারেট এবং পরে মহকুমাশাসকের অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই কথা৷ গত কয়েকদিনে সেই লক্ষেই কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য প্রশাসন৷ সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের দপ্তর থেকে পুরসভাকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয় কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি কি না৷ সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছিল পুরসভার বিভিন্ন দপ্তরে কত কর্মী আছেন৷ সেই কর্মীদের কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসতে কোনও রকম অসুবিধা আছে কি না৷ জানতে চাওয়া হয়েছে পুর এলাকা থেকে যা কর আদায় করা হয় তা কর্পোরেশনের জন্য যথেষ্ট কি না৷

No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...