এই সময়, আলিপুরদুয়ার: শ্রমিক মহল্লা ফাঁকা করে প্রায় সবাই চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায়৷ বাড়ি ফাঁকা পেয়ে সে সময় এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণের পর খুন করেন দুই প্রতিবেশী৷ বার বার ধর্ষণের পর খুন করে চা-বাগানের ঝোপে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই দু'জন৷ তারপর চার দিন ওই মহিলার কোনও খোঁজ ছিল না৷ ডুয়ার্সের এথেলবাড়ি চা-বাগানের শ্রমিকরা শনিবার কাজে না গিয়ে তাঁর খোঁজে দল বেঁধে তল্লাশি শুরু করেন৷ শেষে ঝোপের মধ্যে মহিলার বিবস্ত্র পচাগলা লাশ খুঁজে পাওয়ায়তাঁদেরকাছেরহস্য পরিষ্কার হয়৷ কেননা, অভিযুক্ত ওই দু'জনকে গত মঙ্গলবার ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলেন শ্রমিক মহল্লার কেউ কেউ৷
তার পর থেকে অভিযুক্ত দু'জনকেও আর এলাকায় দেখতে না-পাওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ খবর মেলে ওই চা-বাগান থেকে ১০ কিমি দুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ দিন সকালেই ওই দু'জনকে দেখেছেন কেউ কেউ৷ সঙ্গে সঙ্গে এথেলবাড়ির প্রায় ২৫০ চা-শ্রমিক ছুটে যান সেখানে৷ অভিযুক্তদের টেনে বার করে চলে গণধোলাই৷ পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই দু'জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ শ্রমিকরাও সবাই চলে যান ফালাকাটা থানায়৷ সেখানে ধৃতদের ফাঁসির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ পুলিশ জানিয়েছে , জেরায় ওই দু'জন নিজেদের দোষ কবুল করেছেন৷ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃত রমেশ মোচারী ও ক্ষীরেন রায় ওই চা-বাগানেরই বাসিন্দা৷ মহিলার মৃত্যু সুনিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে দু'প্রান্ত দু'জনে টেনে ধরে রাখেন বেশ কিছুক্ষণ৷ মৃত ৩২ বছরের ওই গৃহবধূর স্বামী পেশায় গাড়িচালক৷ এলাকার বাসিন্দাদের ধূপগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই৷
সেই সুযোগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দু'জন মহিলার তিন মেয়ে ও এক ছেলের হাতে চকোলেট গুঁজে দিয়ে খেলতে পাঠিয়ে দেন৷ পরে আদিবাসী মহিলাকে মদ খাইয়ে নিয়ে চলে যান কাছেই একটি নদীর পাশে৷ পুলিশকে ওই বিবরণ দিয়ে দু'জনই জানিয়েছেন , সেখানেই বারবার ধর্ষণ করেন তাঁরা৷ তার পর শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে রেখে তাঁরা গা -ঢাকা দেন৷ ওই মহিলার প্রতিবেশী রামপ্রসাদ লাকড়া বলেন , 'শরীর খারাপ থাকায় আমিই সে দিন একমাত্র বাড়িতে ছিলাম৷ রমেশ ও ক্ষীরেনকে আমি ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলাম বটে৷ কিন্ত্ত ওই বাড়িতে ওঁরা প্রায়ই যেতেন বলে কিছু মনে করিনি৷ এখন সব বুঝতে পারছি৷ '
মৃতের স্বামী বলেন , 'ওঁরা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন৷ কিন্ত্ত ওঁরা যে আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন , তা কল্পনাতেও ছিল না৷ ' তিনিই পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানিয়েছেন , 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে পুলিশের কাজে আরও সুবিধা হবে৷ '৷
তার পর থেকে অভিযুক্ত দু'জনকেও আর এলাকায় দেখতে না-পাওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ খবর মেলে ওই চা-বাগান থেকে ১০ কিমি দুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ দিন সকালেই ওই দু'জনকে দেখেছেন কেউ কেউ৷ সঙ্গে সঙ্গে এথেলবাড়ির প্রায় ২৫০ চা-শ্রমিক ছুটে যান সেখানে৷ অভিযুক্তদের টেনে বার করে চলে গণধোলাই৷ পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই দু'জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷ শ্রমিকরাও সবাই চলে যান ফালাকাটা থানায়৷ সেখানে ধৃতদের ফাঁসির দাবিতে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ পুলিশ জানিয়েছে , জেরায় ওই দু'জন নিজেদের দোষ কবুল করেছেন৷ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ ধৃত রমেশ মোচারী ও ক্ষীরেন রায় ওই চা-বাগানেরই বাসিন্দা৷ মহিলার মৃত্যু সুনিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা পেঁচিয়ে দু'প্রান্ত দু'জনে টেনে ধরে রাখেন বেশ কিছুক্ষণ৷ মৃত ৩২ বছরের ওই গৃহবধূর স্বামী পেশায় গাড়িচালক৷ এলাকার বাসিন্দাদের ধূপগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিই৷
সেই সুযোগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত দু'জন মহিলার তিন মেয়ে ও এক ছেলের হাতে চকোলেট গুঁজে দিয়ে খেলতে পাঠিয়ে দেন৷ পরে আদিবাসী মহিলাকে মদ খাইয়ে নিয়ে চলে যান কাছেই একটি নদীর পাশে৷ পুলিশকে ওই বিবরণ দিয়ে দু'জনই জানিয়েছেন , সেখানেই বারবার ধর্ষণ করেন তাঁরা৷ তার পর শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে রেখে তাঁরা গা -ঢাকা দেন৷ ওই মহিলার প্রতিবেশী রামপ্রসাদ লাকড়া বলেন , 'শরীর খারাপ থাকায় আমিই সে দিন একমাত্র বাড়িতে ছিলাম৷ রমেশ ও ক্ষীরেনকে আমি ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকতে দেখেছিলাম বটে৷ কিন্ত্ত ওই বাড়িতে ওঁরা প্রায়ই যেতেন বলে কিছু মনে করিনি৷ এখন সব বুঝতে পারছি৷ '
মৃতের স্বামী বলেন , 'ওঁরা প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন৷ কিন্ত্ত ওঁরা যে আমার এত বড় সর্বনাশ করবেন , তা কল্পনাতেও ছিল না৷ ' তিনিই পুলিশের কাছে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া জানিয়েছেন , 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে পুলিশের কাজে আরও সুবিধা হবে৷ '৷
No comments:
Post a Comment