BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Sunday, July 28, 2013

নন্দীগ্রামে বিচার অধরা কেন, বিড়ম্বনায় মুখ্যমন্ত্রী

নন্দীগ্রামে বিচার অধরা কেন, বিড়ম্বনায় মুখ্যমন্ত্রী

নন্দীগ্রামে বিচার অধরা কেন, বিড়ম্বনায় মুখ্যমন্ত্রী
ফিরোজ বিবি, নন্দীগ্রামের শহীদ জননী
এই সময়: নন্দীগ্রাম-তদন্ত নিয়ে হাইকোর্টে সিবিআই-এর তোলা অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্য বিধানসভাকেই মঞ্চ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে শনিবার যে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই জবাবদিহি, সেখানে হাজির শুধুই তাঁর দলের সদস্যরা৷ বিরোধীরা যে কিছু বলবে-প্রশ্ন তুলবে, সে অবকাশই ছিল না, কেননা আলোচনা ছাড়া বাজেট পেশের 'প্রহসনে' ক্ষুব্ধ বাম ও কংগ্রেস প্রতিনিধিরা ততক্ষণে ওয়াকআউট করে বিধানসভা কক্ষের বাইরে৷

নিজের দলের লোকজনকেই শুধু সাক্ষী মেনে মমতার পাল্টা অভিযোগ, 'সিবিআই তদন্তে প্রকৃত অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ যারা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল, তাদের কোনও বিচার হবে না, শুধু নিচুতলার অফিসারদের শাস্তি হবে--এই বৈষম্য কেন?' এক সময়ে ঘটনা-মাত্রই সিবিআই তদন্ত চাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বস্ত্তত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা-সংস্থার কাজকর্ম নিয়েই এ দিন সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ তাঁর মন্তব্য, 'তাপসী মালিক হত্যাকাণ্ডে কে তদন্ত করল! কোনও বিচারই হয়নি৷'

নন্দীগ্রামে জমি-রক্ষা আন্দোলনকারীদের উপর ২০০৭-এর ১৪ মার্চ পুলিশি গুলিচালনায় ১৪ জন নিহত হন৷ আহত হন শতাধিক মানুষ৷ হাইকোর্ট ঘটনার পর পরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়৷ তদানীন্তন বাম সরকারের শেষের শুরু এবং পালাবদলের সূচনা-বিন্দু হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে আছে সেই ১৪ মার্চ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরুর পর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে সিপিএম৷ পুলিশের সঙ্গে সিপিএম ক্যাডাররাও হামলা-গুলিচালনায় যুক্ত ছিল--বিরোধীদের এই অভিযোগ ভিত্তি পেয়ে যায় যখন খেজুরির শেরখাঁচকের জননী ইটভাটা থেকে সিপিএমের সশস্ত্র-বাহিনীকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই৷

রাজ্যপাটে পরিবর্তনের পর সেই সিবিআই-এর সঙ্গেই আশ্চর্যজনক ভাবে সংঘাত শুরু হয় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা তৃণমূলের৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং তমলুকের তত্‍কালীন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে পরিচালিত হোক সিবিআই তদন্ত--তৃণমূল সরকারের এই দাবি ঘিরেই মূলত সংঘাত৷ তৃণমূলের অভিযোগ, সে দিনের গুলিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ আর পুলিশ ও ক্যাডার-বাহিনীকে প্রত্যক্ষ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ তাই তাঁদের বিরুদ্ধেও চার্জশিট দিক সিবিআই--এই দাবি তোলে মমতার সরকার৷ কিন্ত্ত সিবিআই জানায়, বুদ্ধদেব-লক্ষ্মণ শেঠদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ তারা পায়নি৷ তবে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ কিন্ত্ত সে অনুমতি দীর্ঘ দিনই ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্য৷ বুদ্ধদেব-লক্ষ্মণদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না-দিলে ওই পুলিশ-কর্তাদের ক্ষেত্রেও চার্জশিটের অমুমতি দেওয়া হবে না--রাজ্য সরকার এমন অদৃশ্য শর্ত চাপাচ্ছে বলে ক'দিন আগেই হাইকোর্টে অভিযোগ করে সিবিআই৷ 

সিবিআই-এর এই অভিযোগে চরম বিড়ম্বনায় পড়েই মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বিধানসভায় জবাবদিহির মোড়কে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে চেয়েছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ বস্ত্তত, মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তোলার আগেই তাঁর দলেরই বিধায়ক 'শহিদ জননী' ফিরোজা বিবি বিচার চেয়ে সরকারের অস্বস্তি বহুগুন বাড়িয়ে দেন৷ বিধানসভার উল্লেখ-পর্বে নন্দীগ্রামের এই প্রবীণা বিধায়ক বলেন, 'বামফ্রন্ট আমলে সংঘটিত গণহত্যা-ধর্ষণের যাতে বিচার হয়, নন্দীগ্রামের সবাই যাতে বিচার পায়--তা সরকারকেই দেখতে হবে৷' 

ফিরোজার এই দাবি-আর্তির প্রেক্ষিতে মুখরক্ষার জন্যই মমতাকে মুখ খুলতে হয়েছে বলেও মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের৷ 'বিচারের দাবি'র সামনে পঞ্চায়েত ভোট-পর্বে নিহতদের বিষয়েও তাঁর সরকার 'মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি' নিয়ে ভাবছে বলে ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্ত্ত কী সেই দৃষ্টিভঙ্গি, তা খোলসা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে গোলমালের দায় নির্বাচন কমিশন এবং বিরোধীদের উপর চাপানোর চেষ্টাও চালিয়েছেন সমানেই৷ এমনকী বাম আমলে নিহতের সংখ্যা টেনে প্রতিতুলনারও চেষ্টা করেছেন৷

No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...