BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE 7

Published on 10 Mar 2013 ALL INDIA BAMCEF UNIFICATION CONFERENCE HELD AT Dr.B. R. AMBEDKAR BHAVAN,DADAR,MUMBAI ON 2ND AND 3RD MARCH 2013. Mr.PALASH BISWAS (JOURNALIST -KOLKATA) DELIVERING HER SPEECH. http://www.youtube.com/watch?v=oLL-n6MrcoM http://youtu.be/oLL-n6MrcoM

Thursday, August 11, 2016

কাকদ্বীপে সমুদ্রে নিঃখোঁজ সত্তর জন স্বজন। এবং বিধবা পল্লীর সেই সব মেয়েরা যারা সেদিন মিছিলে হেঁটেছিল। পলাশ বিশ্বাস


কাকদ্বীপে সমুদ্রে নিঃখোঁজ সত্তর জন স্বজন।

এবং বিধবা পল্লীর সেই সব মেয়েরা যারা সেদিন মিছিলে হেঁটেছিল।

পলাশ বিশ্বাস

বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের দাপট। একনাগাড়ে বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। জল জমল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ এখন অবস্থান করছে বাংলাদেশ সন্নিহত পশ্চিমবঙ্গেম।


বঙ্গোপসাগর উত্তাল।উথাল পাথাল সুন্দরবনের মনুষ্যজীবন ও জীবিকা।বিধবা পল্লীর অন্ধকার তমনিশা আরো ঘন আছড়ে পড়া কান্নার দাপটে।


বন্ধ জলে থমকে কোলকাতা ও সমগ্র নাগরিক জীবন মহানগর ও উপনগর সমেত।কিন্তু তাঁদের বিপর্যয় আরো আয়লা আচ্ছন্ন,যারা জীবিকার সন্ধানে স্বামী পুত্রকে সমুদ্রে পাঠিয়ে তাঁদের ফিরে আসার প্রতীক্ষা করে।তাঁরা প্রতিবার ফিরে আসে না ,যেমন এবারও তাঁরা ফিরে এল না।


সমুদ্রে নিঃখোঁজ সত্তর জন স্বজন।সমুদ্র উত্তাল থাকার জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। এরই মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ সত্তর জন  মৎস্যজীবী। নিখোঁজদের অধিকাংশই কাকদ্বীপের বাসিন্দা। তিন দিন আগে সমুদ্রে যান ওই মৎস্যজীবীরা।




গোসাবা থেকে হাসনাবাদ,হাসনাবাদ থেকে কাকদ্বীপ দিনপ্রতিদিনের জীবনযাত্রা এমনটাই।


সীমান্তের এপার ওপার বাদাবনে সীমান্ত নামানুষদের সমাজ বাস্তবের নিয়তি বদ্ধ দিনলিপি ঠিক এমনটাই.যা নিয়ে ভদ্রসমাজের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ নেই।


সুন্দরবন নিয়েও তেমন মাথাব্যথা নের পরিবেশ চিতনাহীন সভ্য মুক্তবাজারি ভোগী ক্রয়শক্তি সমৃদ্ধ বাকী বাংলা ,বাকী বাংলাদেশ বা বাকী ভারতবর্ষের।


তাঁদের নাগরিকত্ব নেই।

রেশন কার্ড নেই।

ভোটার কার্ড নেই।


তাঁদের ভাগে আছে শুধু ঔ সুন্দরবন,সেখানকার মানুষখেকো বাঘ আর কুমীর আর আদিগন্ত ব্যাপী বঙ্গোপসাগর,যেখানে তাঁরা রাষ্ট্র ও সমাজের সব অধিকার,গণতন্ত্র,সংবিধান,আইন কানুনের সব অধিকার থেকে বন্চিত বাদা বন ও সমুদ্রকে আঁকড়ে বেঁচে থাকে এবং মরতে মরতে বাঁচে,বাঁচতে বাঁচতে মরে।


আমরা পৃথীবীর সব মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি,কিন্তু সুন্দরবনের ঔ ব্রাত্য মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারিনা।


এক সেদিন পাঁচই আগস্ট নিখিল ভারত উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতির ডাকে তাঁরা বাংলাদেশ গণহত্যালীলা,ধর্ষণ উত্সব,বেদখলী ও উত্পীড়নের বিরুদ্ধে,নাগরিকত্বের দাবিতে,রেশন কার্ড,ভোটার কার্ডের দাবিতে কাকদ্বীপ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে চলে এসিছিল কয়েক হাজার।


রা কোলকাতায় সেদিনের সেই উদ্বাস্তুদের মহামিছিলে শিযালদহ থেকে হেঁটেছিল।

মতুয়াদের ডন্কার তালে তালে তাঁরা নেচেছিল।


মনুষত্বের,নাগরিকত্বের,নিরাপত্তার দাবিতে সোচ্চার প্রতিটি শব্দের সমর্থনে তাঁরা এক জোট উলুধ্বনি দিয়েছিল।


তাঁরা শুধু দাবি জানাতে এসেছিল এবং তাঁদের অনেকের মাথাতে সিন্দুর সেদিনও ছিল না।


হাতে ছিল না শাখা পলা।অলন্কাহীন সেই সব মেয়েরা রবীন্দ্রনাথের কৃষ্ণ কালো হরিণচোখে ভীত সন্ত্রস্ত সেদিন কোলকাতার পথে হেঁটেছিল হাজারো হাজার,মীডিয়া খবর করে নি।


সুন্দরবন প্রসঙ্গে তাঁরা বাদাবন জল ও সমুদ্রের মত খবরের পরিবেশ চেতনার মৃত  মুখ সারি সারি,যাদের জীবন জীবিকার নাগরিকত্বের অধিকার থাকতে নেই।


তাঁদের প্রতি সমাজের,রাজ্যের রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থাকতে নেই।


তাঁরা এমনিকরে বেঁচে থাকবে,তাঁদের ছবি দিয়ে ফান্ডিং হবে।রাজনীতি হবে কিন্তু প্রতিবার আয়লায়,ভাঙ্গনে,বিপর্যয়ে,জলে জঙ্গলে তাঁদের ক্ষত ক্ষয় হয়ে যাওয়া জীবিকা জীবনের বাস্তবিক লড়াইয়ের কোনো খবর কোনো দিনও হবে না।


তাঁরা মরিচঝাঁপি গণসংহারের মুখ।

মরিচঝাঁপি গণসংহারের সাক্ষী তাঁরা।

প্রতিবার গণসংহার প্রাকৃতিক বিপর্যের মুখোমুখি তাঁরা এখনো বেঁচে আছে।


সেদিন সেই মিছিলের ঔ অসামান্যনারীদের সাথে সাথে গোটা পথ হেঁটেছিলাম।

প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।


প্রত্যেককে কাছ থেকে দেখেচিলাম।


কাকদ্বীপ বাসিনী সেই সব নামানুষ বেনাগরিক মেয়েদের যাদের স্বামী পুত্র বর্তমান,তাঁরা রোজই সমুদ্রে যায়।জঙ্গলে যায়।


কারা ফিরে এসেছে ,কারা ফেরেনি,বা কারা আদৌ ফিরবে না,এখনই জানতে পারছি না।


তার চেয়ে বড় কথা আমাদের ঔ সব স্বজনদের জন্য কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই ব্যক্তিগত ভাবে।আমরা রাষ্ট্র্র মুখোপেক্ষী।রাষ্ট্র যদি ওদের সমুদ্রের গর্ভ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

LinkWithin

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...